সারা বাংলাদেশের মাটি রক্তে লাল হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু রক্তাক্ত লাশ। দড়িতে ঝুলছে মা আর শিশুর নিথর দেহ। বিছানায় রক্তাক্ত শিশু। শিশুকে বেঁধে পেটানো হচ্ছে। কিশোরের চোখ উপরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বলতে যাবোনা হানাদার বাহিনী আমাদের সাথে কি করেছিল। সেই পুরানা বস্তা পচা গল্প এখন বাস্তবে ঘটছে প্রতিদিন। প্রতিদিন ছাত্রলীগের গুন্ডা, আওয়ামীলীগের গুন্ডা, ভারতের রাজ্য সরকারের পালা খুনীরা, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ র্যাব, ভারতের বর্ডার গার্ড বাংলাদশের নাগরিক হত্যা করছে। বাংলাদেশের পৈশাচিক নাগরিকেরাও থেমে নেই। চলছে হত্যা, চলছে ধর্ষন, চলছে আত্মহত্যা। এত কিছু ঘটে যাচ্ছে অথচ বাসবাকী সুবিধাভোগী বাংলাদেশীদের সহ্যের বাঁধ ভাঙেনি এখনো। কারণ কি? কিসের অপেক্ষা করছে ওরা? এইসব মৃত্যুর তাদের উঠোনে এসে পা রেখে ধীরে ধীরে কবে তাদের দিকে এগিয়ে আসবে – সবাই কি সেই শুভ ক্ষণের অপেক্ষা করছে?
সুদূর প্রবাসে এখন ভোর । ভাবছি। আমরা তো বসে থাকিনি সেদিন ঝাপিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু এখন নতুন প্রজন্ম বসে আছে কেনো? কার আশায় বসে আছে? আকাশ থেকে ফেরেস্তা নেমে এসে উদ্ধার করবে তাদের? নাকি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাহাদুর আসবে খালেদার জিয়ার সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমের ঝাড়বাতি থেকে আলো নিয়ে উজ্জ্বল করে দেবে অন্ধকার বাংলাদশ? উবে যাবে বাতাসে লাশের গন্ধ? মুছে যাবে রক্ত? বারে বারে মানুষেরা ভুলে যাবে গণহত্যা চলছে সেই কতকাল ধরে? ভুলে যাবে সবাই মিলে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল চারপাচজন মানুষ মিলে একটি মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেললো। অবশ্য ওরা ওদের দামী মোবাইলে মিনি চলচিত্র করে ফেসবুকে পোস্ট করতে ভুলেনি। শুধু ভুলে গেছিল ওদের বাঁধা দিতে। ভুলে গেছিল যে একজন মানুষকে কিছু হিংস্র পশুরা পিটিয়ে হত্যা করলে বাকি মানুষেরা যদি গোল হয়ে দাড়িয়ে তা উপভোগ করে তাহলে তারা আর মানুষ থাকেনা, তারাও হিংস্র পশু হয়ে যায়। মানুষ মানুষকে রক্ষা করার জন্য জন্ম নেয়। আর পশুরা তাদের ক্ষুধা মেটানোর জন্য মানুষ হত্যা করে, রক্ত পান করে, ব্যাঙ্ক লুট করে, ক্ষমতাতে থাকার জন্য লাশার পাহাড় গড়ে।
সাড়া বাংলাদেশেই প্রতিদিন ধর্ষিতা মেয়ের লাশ পাওয়া যায় অথচ একজন ধর্ষিতা মেয়ের লাশের উপরে সবাই রাজনীতি করে। প্রতিবাদ করে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে লোককে দেখাবে ওরা মানবতাবাদী। মানববন্ধন করে দেখাবে হিংস্র পশুরা কিভাবে মানবতাবাদী চাদরে নিজেদের ঢেকে রেখে যাত্রাদলের নটনটি সাজতে পারে। চারিদিকে যাত্রা পার্টির যাত্রার পালা চলছে আর সার্কাস পার্টির সার্কাস চলছে। বাদর নাচ নাচছে জনগন। কিছু হিংস্র পশুকে যদি তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করা যায় তাহলে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ম হয়ে যাবে।
হিংস্র পশুদের রাজত্ব কায়েম হবে। মানুষ মানুষের মাংস ভক্ষণ করবে আর রক্ত পান করবে।
Good web site! I truly love how it is simple on my eyes and the data are well written. I’m wondering how I could be notified whenever a new post has been made. I have subscribed to your feed which must do the trick! Have a great day!
It’s hard to find knowledgeable people on this topic, but you sound like you know what you’re talking about! Thanks
I do enjoy the manner in which you have presented this particular challenge and it does indeed give us some fodder for thought. Nevertheless, because of what I have experienced, I simply just wish when the feedback pack on that men and women keep on issue and don’t start upon a soap box regarding the news of the day. Anyway, thank you for this superb piece and though I do not concur with the idea in totality, I respect your viewpoint.
Having read this I thought it was very informative. I appreciate you taking the time and effort to put this article together. I once again find myself spending way to much time both reading and commenting. But so what, it was still worth it!