ভিন্ন দেশে ভিন্ন আচারে নববর্ষ

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হয় বিশ্বজুড়েই। বিভিন্ন দেশে নববর্ষ উদযাপনের আছে বিভিন্ন রীতি। কিছু সংস্কৃতি আবার বেশ অদ্ভুত। বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রকম অদ্ভুত নববর্ষ উদযাপনের সংস্কৃতি নিয়ে এই আয়োজন।

চিলি
মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপনের রীতি রয়েছে চিলিতে। ১৯৯৫ সালে দেশটির টালকা নামক এক ছোট শহরে একটি কবরস্থানের বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে বাবার সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করতে ভেতরে ঢুকেছিল একটি পরিবার। এরপর থেকে প্রতিবছর এই শহরের মানুষেরা মাঝরাতে কবরস্থানে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করে নতুন বছরটি।

জার্মানি
প্রতিবছর নিউ ইয়ার ইভ, অর্থাৎ নববর্ষের আগের রাতে জার্মানরা ব্রিটিশ শো “ডিনার ফর ওয়ান” দেখে নববর্ষ উদযাপন শুরু করে। ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি এই একটি শো দেখে নববর্ষ উদযাপন করছে তারা।

ইকুয়েডর
কাকতাড়ুয়া পোড়ানোর মাধ্যমে নতুন বছরে খারাপ ভাগ্যকে বিদায় দেয় ইকুয়েডরের মানুষেরা। কাকতাড়ুয়া তৈরি করে প্রতিটি পরিবার মাঝরাতে তা পোড়ায়। আর এই কাকতাড়ুয়া পোড়ানোর মাধ্যমে তারা গত এক বছরের সব অমঙ্গল ও অশুভকে বিদায় দেয়। তাদের বিশ্বাস কাকতাড়ুয়া পোড়ালে তা তাদের জন্য নতুন বছরে সৌভাগ্য বয়ে আনবে।

মেক্সিকো
মেক্সিকানরা নিউ ইয়ার ইভ-এ মৃত ব্যক্তিদের আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করে ও তাদেরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়। তারা বিশ্বাস করে প্রিয় ব্যক্তিদের আত্মা তাদের কথা শুনতে পায়। সেজন্য নববর্ষে সবচেয়ে আগে মৃত প্রিয় ব্যক্তিদেরকেই শুভেচ্ছা জানায় তারা।

ডেনমার্ক
ড্যানিশরা নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রতিবেশীদের বাড়ির সামনে বাসনকোসন ছোড়ে। তাদের বিশ্বাস, যার বাড়ির সামনে সবচেয়ে বেশি বাসন থাকবে, সে সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান কারণ তার সবচেয়ে বেশি ভালো বন্ধু আছে।

আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডের অবিবাহিত মেয়েরা নবর্ষের আগের রাতে তাদের বালিশের নিচে মিস্টলটো নামক লতানো গাছের পাতা রেখে দেয়। তারা বিশ্বাস করে এই পাতা বালিশের নিচে রাখলে তারা ভালো বর পাবে এবং দুর্ভাগ্যের কবল থেকে রেহাই পাবে।

স্পেন
স্পেনের মানুষও একটু ভিন্নভাবে শুরু করে নতুন বছর বরণের আয়োজন। ৩১ ডিসেম্বর রাত বারোটা বাজার আগেই মাদ্রিদের প্লাজা ডি এস্পানা-তে জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। তারপর বছরের শেষ ১২ সেকেন্ড, অর্থাৎ বারোটা বাজার আগের শেষ বারো সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে আঙ্গুর খাওয়া হয়। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় স্প্যানিশরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *