https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
বাংলাদেশের মানুষেরা সব আটকে আছে নানা রঙ্গের নকসী কাটা জালে ঘেরা খাঁচায়। সবাই যার যার খাচার মধ্য থেকে থেকে এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে সেই খাচার বাইরের কোন কিছুকেই গ্রহন করতে পারেনা তাই খাচায় খাঁচায় দিনরাত যুদ্ধ লেগে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার নেই যেহেতু বিগত ৪৯ বছর ধরে বাংলাদেশকে ভারতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হচ্ছে তাই বিভিন্ন খাচার মানুষেরা উপায়হীন বিভিন্ন সুরে গান গায়। বাংলাদেশে না আছে রাজণীতি না আছে অর্থনীতি না আছে আইন না আছে শৃংখলা। এসবের কিছু দরকার হয়না খাঁচায় বন্দী প্রানীদের। সবাই সুখী হতে চায় সবাই অনেক টাকার মালিক হতে চায়। সবাই যার যার স্বার্থে আর অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে অপরাধিদের সাথে দেশদ্রোহীদের সাথে সমঝোতা করে চলে ।
অপরাধীরা রক্ত চায়, টাকা চায়, লাশ চায়, তাদের চাইবার শেষ নেই সীমা নাই। যেহেতু বাংলাদেশে কখনো কোন সমীক্ষা হয় না সেহেতু কেউ জানেনা কতজন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। হাসপাতালগুলো লক ডাউন করা হয়েছে সবার আগে। কারণ বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো কসাইখানার মত। ডাক্তার হাসপাতাল চায় টাকা। অন্য সবার মত এরাও রক্তচোষা অদ্ভত। সেবার চিকিৎসা শব্দগুলো অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজন্ম বিদেশীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে বাংলাদেশের মানুষ দাস হিসাবে গলায় শেকল বাধা অবস্থায় জন্ম নেয়। তারপর নিজেদের স্বার্থের সাথে মিল রেখে খাচাতে ঢুকে যায় আর সেখানেই বসে ফেসবুকিং করে।
মানুষের যা থাকেনা সেটার জন্যই মানুষ হাহাকার করে মরে। যেমন একজন দুর্বল মানুষ কুস্তি দেখতে পছন্দ করে। উপমহাদেশে মারামারির মুভিগুলা বক্স অফিস হিট করে কারণ উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষ মানসিকভাবে দুর্বল । ওরা মনে মনে যা কল্পনা করে তা যখন মুভিতে দেখায় তখন ওরা মন্ত্রমুগ্ধের মত তা দ্যাখে । মুভি ভাল ব্যবসা করে।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে।
১৯৭৪ সালে ভারতের রাজ্যসরকার ছিল শেখ মুজিব আর আওয়ামীলীগ
২০২০ সালে ভারতের রাজ্যসরকার হলো শেখ হাসিনা আর আওয়ামীলীগ
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে নাখেয়ে মানুষ মরেছিল ১০ লাখ (ভারতের দেওয়া তথ্য অনুসারে)।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে কতজন মানুষ মারা যাবে সেটা জানার উপায় নেই ।
বাংলাদেশে সঠিকভাবে কোন তথ্য জানা যায়না। চারিদিকে মৃত্যুর উৎসব চলে অথচ সঠিক সংখ্যা জানা যায় না কখনো কেউ জানতে আগ্রহী নয়। ৫-৬ মে , ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে এবং সারা বাংলাদেশে কতজন হেফাজতে ইসলামের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল কেউ জানেনা। এর আগে গনজাগরণ মঞ্চে গ্যাজা টানা নৃত্যের তালে তালে কতজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে জানা যায়নি। তার আগে বিডিআরদের কারা হত্যা করেছিল কেউ জানেনা। এর আগে বা পরে অদ্যবধি কত লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে সে সংখ্যা কেউ জানেনা । কারন যার যার খাচাতে সে সে বাস করে। কেউ কারু খবর রাখেনা। যার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে সে জানে। আর কেউ জানেনা। জেলে কতজন মানুষকে ভুয়া মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে কেউ জানেনা। তাদের জমিজমা কারা দখল করেছে কেউ জানেনা। সবাই জানে ফেসবুক কিভাবে চালাতে হয় আর যার যার মনের মাধুরী মিশিয়ে মিথ্যা বলতে হয়। এইসব অনেক না জানা তথ্যের মতই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস একটি রহস্য।
খালেবিলে লাশ ভাসে। পচাগলা লাশ পশুতে খায় অথবা বাতাসে মিশে যায়। বাংলাদেশে কতজন নারী ধর্ষিতা হয় কেউ জানেনা। কারণ পুলিশের থানাগুলাই ধর্ষনের অন্যতম ক্ষেত্র সুতারাং পুলিশ নিজের বিরুদ্ধে নিজে রিপোর্ট লিখবেনা। কিছু পুলিশকে টাকা দিয়ে আজকাল অভিনয় করানো হচ্ছে। ভাল পুলিশের । করোনা ভাইরাস কিছু করুক বা না করুক ফেসবুকের বুকে বসা বিভিন্ন খাঁচার পাবলিকের মাঝে পুলিশের ইমেজ মেরামত করতে সাহায্য করছে।
পুলিশে খাবার বিতরন করছে
পুলিশে মৃত করোনা রোগীর জানাজা পড়ছে
পুলিশে মানুষের পীঠের চাড়া তুলে নিচ্ছে
১৯৭৪ সালের ভারতের রাজ্যসরকার শেখ মুজিবের সাথে ২০২০ সালের ভারতের রাজ্যসরকার হাসিনার মিল হলো দুই সময়েই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চাল সরিয়ে মজুদ করে বেশী দামে বিক্রি করে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। করোনার কারনে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে । ব্যাংক লুট করার ক্ষমতা তো ১৬ কোটি মানুষের নাই সেজন্য তাদের কাজে বেরুতে হয় খাচার ভেতরে খাদ্য এনে ক্ষুধা নিবারনের তাগিদে। বাইরে গেলেই পুলিশে পিটাই । কাজ না করলে টাকা নেই। টাকা না থাকলে খাবার নেই। যদি কেউ করোনা থেকে বেঁচে যায় তাহলে ক্ষুধার কারনে মরে যাবে।
বাংলাদেশে শিল্প বলতে কিছু নেই। কিছু গারমেন্টস এখনো আছে। করোনার কারণে এইসব শ্রমিকদের রক্ত চুষে মুনাফা করার কাজ স্থগিত হয়ে গেছিল কিছুদিন সেজন্য কাজের জন্য তাদের ডেকে নিয়ে এসে আবার তাদেরকে ফিরে যেতে বলা হলো। সারা শহর স্তব্ধ সবকিছুই বন্ধ। কোন যানবাহন চলছেনা। এতগুলা শ্রমিক এই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে শহরে এসে হাজির হলো হেটে হেটে তারপর ফাক্টরীর বন্ধ দরোজা থেকে ফিরে গেলো।
দেশের জনগন যার যার খাঁচাতে বন্দী। অন্যায় সহ্য করে করে ওদের চামড়াতে অন্যায় ছাড়া আর কিছু সহ্য হয়না । তাই সয়ে যায় সব। সবাই ভাল থাকার স্বপ্ন দ্যাখে শুধু নিজের জন্য । অন্যের শ্রমের ফসল ভোগ করতে চায় নিজে পরিশ্রম না করেই । যার শ্রম ভোগ করতে চায় সেই শ্রমিকটিকে ব্যবহার করে একজোড়া জুতা বা একজোড়া প্যান্টের মত। অনুভুতিহীন বস্তুর মত । বিভিন্ন খাচাতে বসা বাংলাদেশের জনগন কখনো জেগে উঠবেনা তাই রুবানা হকেরা নিশ্চিন্ত শোষনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
খাঁচাতে বসা মানুষগুলা বেশ আছে। ধারে কাছে বোকাসোকা কেউ হেটে গেলে আটকে ফ্যালে। মূখোশ এঁটে খেলা করে ভাল মানুষের ভূমিকাতে। তারপর ক্লান্ত হয়ে যায়। ঘেমে যায় । মুখোশ খুলে যায়। আসল চেহারা দেখা যায়। বোকাসোকা মানুষকে ধরে রাখে বলে — আমি যেটুকু বুঝাবো তার বাইরে বুঝতে যেওনা।
আমি এখন ভাল মানুষের অভিনয় করছি তুমি বোকা মানুষ বোকাই থাকবে আমাকে খারাপ মানুষ ভাবতে যাবেনা।
আমি তোমাকে শুধুমাত্র এই কাজের জন্য চাই
আমি আরো অনেক কিছু চাই – তুমি তা দিতে পারবেনা সেজন্য আমি অন্যদের কাছে যাই। অভিনয় করি। এভাবে বিভিন্ন বিভাগ আছে। সবার কাছে সব কিছু নেই। সেজন্য আমাকে নানা রং আর রুপের মুখোশ পরিধান করতে হয়। নানা ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়। তোমাকে আমি একটি গন্ডি এঁকে দিয়েছি। তুমি এই গন্ডি থেকে বের হবেনা। তোমার চিন্তা ভাবনা বুদ্ধি সব এই গন্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবে। এই গন্ডির বাইরে আমি কি করি সেটা তোমার দেখার বিষয় নয়।
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে এসে বিপদে আছে। এখানে অনেক ভাইরাস । করোনার চাইতে বিষাক্ত ভাইরাস হলো নিষ্টুর হৃদয়হীন শোষকেরা যারা শুধু ভালদের ভালটুকু শুষে নেয় বিনিময়ে তাদের ভেতরে জন্ম নেওয়া বিষাক্ত ভাইরাস উদ্গীরণ করে অন্যদের বিষাক্ত করে। করোনা এখন নিজেই আক্রান্ত।
ভাইরাসের সাথে ভাইরাস মিশে যদি ভাল কিছু আসে। বাতাস যদি বিষ মুক্ত হয়। সেই প্রত্যাশায় আছি।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা ।
I really like your writing style, wonderful information, thanks for posting :D. “He wrapped himself in quotations- as a beggar would enfold himself in the purple of Emperors.” by Rudyard Kipling.