এই দ্বিতীয় পর্ব লাশ পড়ার আগে প্রথম পর্ব পড়ার জন্য এইখানে ক্লিক করুন। প্রথম পর্ব পড়া থাকলে দ্বিতীয় পর্বটি বুঝতে সুবিধা হবে।
লেনদেন শব্দটাটি শুনলে ব্যবসায়ীক লেনদেনের কথাই মনে হবে। তবে সব লেনদেন ব্যবসার সাথে জড়িত নাও হতে পারে। গর্ভবতী হবার তিন মাস পরে আমি জানতে পারি আমি মা হতে চলেছি। আগে যেহেতু আমার এই অভিজ্ঞতা ছিলনা তাই আমার দেহের পরিবর্তনগুলো আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করি। আমার ভেতর আর একটি মানুষ ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। আমি ভাবতাম বসে বসে আমার ভেতর একটি শিশু আছে । সে আমাকে মা বলে ডাকবে। আমি যেমন আমার মাকে জড়িয়ে ধরে মা বলে ডাকি। তখন আমার এক সেকেন্ডের জন্যও মনে হয়নি এই ছেলে বা মেয়ে বড় হয়ে আমাকে খাওয়াবে। কোন ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা আমার মনে হয়নি। একবারও মনে হয়নি টাকার কথা, মুনাফার কথা, বাজারের কথা, বাড়ী, জমিজমা, ব্যবসায়ের লেনদেনের কথা। আমার ভেতর ধীরে ধীরে শিশুটি বড় হয়েছে আর আমি অফুরন্ত ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষা করেছি তাকে দেখার, কোলে নেবার, আদোর করার। আমার ছেলের জন্ম হয় দুপুরে, সেদিন সকালে আমি অফিসে যাই, সম্ভবত রহমান সাহেব নামের এক ভদ্রলোক আমার সহকর্মী ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ম্যাডাম প্রসব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। আপনি হাসপাতালে যান।
শরীফ খান আমাকে জানায় তার সব চাইতে বড় সমস্যা হলো কেউ তাকে ঋন দিতে চায়না, ফলে পুঁজির অভাবে সে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে পাওয়া কন্ট্রাক্টগুলো ধরতে পারছেনা। আমি তাকে প্রশ্ন করি – তোমাকে কেউ ঋন দিতে চায়না কেনো? উত্তরে শরীফ খান জানায় – রানা প্লাজা ধ্বসে গেলে সেখানে তার যে দোকানটি ছিল সেটাও ধবংস হয়ে যায়। সেসময়ে সে বিভিন্ন জাগা থেকে ঋন নিয়ে প্রোডাক্ট উঠিয়েছিল, প্লাজা ধ্বসে গেলে সে সেইসব ঋন ফেরত দিতে পারেনি ফলে বাজারে কেউ আর ঋন দিতে চায়না। তখন আমি ফেসবুকের অনেকের কাছে ব্যাপারটা বল্লাম। শরীফ খানের জন্য আমি আমার চট্রগ্রামের ভাই শাহীনের কাছে বিনিয়োগ করতে বল্লাম । শাহীন বল্লো – আপু আমি তো চট্রগ্রাম থাকি। সাভারে বিনিয়োগ করা আমার পক্ষে সম্ভব হবেনা। তখন আমি আমার ফেসবুকের ছোটবোন অজন্তা ইসলামকে বল্লাম – অজন্তা গাড়ী নিয়ে সাভারে যেয়ে শরীফের দোকানটা দেখে এসো। তারপর যদি কনফিডেন্ট হও, বিনিয়োগ করো। অজন্তা হ্যাঁ বা না কোন উত্তর দেয়নি। তারপর আমি আমার আর এক ভাইকে বলি বিনিয়োগ করার জন্য। সে টাইলস এর ব্যবসা করে তার নিজের এলাকাতে। সে বলেছিল সাভার তার জন্য অনেক দূর হয়ে যাবে। তখন আমি বিনু ভাইকে বলি – বিনু ভাই আপনি ছেলেটাকে সাহায্য করেন – ও আপনাকে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। শরীফ প্রেসক্লাবে যেয়ে বিনুভাইয়ের সাথে দেখা করে। বিনু ভাই আমাকে ফোনে জানান যে শরীফ খান খুব স্মার্ট ছেলে। সে কোনভাবে কোথাও ঠেকবেনা। বিনুভাই শরীফের ব্যবসাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়নি।
এখন যেমন শরীফ আমার একজন অপরিচিত ঠিক তেমনি তখনও সে আমার অপরিচিতই ছিল । বিভিন্ন মানুষের কাছে যেয়ে পূঁজি বিনিয়োগ করার জন্য বলার পেছনে আবার কোন স্বার্থ বা মুনাফার আশা প্রত্যাশা কিছু ছিল না। শরীফ খানের কথা শুনে আমার মনে হয়েছিল সে যা বলছে সবই সত্য। সে আসলেই পূঁজি সংকটে ভুগছে। যদি পূঁজি সরবরাহ করা যায় তাহলে সে উঠে দাঁড়াবে।
আমার পেটে জন্ম নেওয়া ছেলেদের কেউ এভাবে পূঁজি সংকটে ভুগলে আমি এভাবেই তাদের সাহায্য করতাম । এভাবেই ভাবতাম যেভাবে শরীফ খানের জন্য ভেবেছি। এখানে কোন লেনদেন বা মুনাফার বা ভূত ভবিষ্যত ছিল না বা ভাবিনি যে একদিন এক বিশাল অট্টালিকা এনে শরীফ খান আমার হাতে তুলে দিবে – এমন কোন প্রত্যাশা করিনি। শরীফকে পূঁজি পাইয়ে দেবার ব্যপারটা আমার কাছে ছিল একটা চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্টের মত। শরীফের সাথে যদি কেউ অংশীদার হিসাবে ব্যবসা চালিয়ে নেয় তাহলে ও বাসা ভাড়া দিতে পারবে, নিয়মিত বাজার করতে পারবে, আর বাজারে যেসব ঋন আছে তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করতে পারবে। যদি পারে সেটা শুনে আমার ভাল লাগবে। একটি ছেলে উঠে দাঁড়াবে। স্বনির্ভর হবে। এভাবে যদি বাংলাদেশের সব ছেলেমেয়েরা স্বনির্ভর হয় আমার কোন ক্ষতি নাই। লাভও নাই। যদি হয় তাহলে দেখতে ভাল লাগবে। অভিযোগ কমে যাবে। হতাশা কমে যাবে। আমি যখন এসব ভাবছিলাম তখন শরীফ খান হাসছিল। লাশের ঠোটে শয়তানের হাসি।
একদিন শরীফ খানের ম্যানিবাগ, মোবাইল ইত্যাদি হারিয়ে গেছিল। যে বাসে সেটা হারিয়েছিল সেই বাসের কন্ডাক্টর সেটা পেয়ে শরীফের কাছে পৌছে দেয়। কথা শোনার সাথে সাথে আমি শরীফ খানকে বল্লাম।
বাহ! ছেলেটা তো খুব ভাল! খুব সৎ ছেলে। ওকে তুমি দোকানের একটা চাকুরী দাও। খুব ভাল কাজ করবে, যেকোন ব্যবসায়ে এমন একজন সৎ ছেলে দরকার । উত্তরে শরীফ বল্লো আমার সাথে এমনই হয় সব সময়।
এই কথা শুনে সাথে সাথে আমি রেগে গেলাম।
শরীফ খান ভীষন অকৃতজ্ঞ – কথাটা শুনে আমার এটাই মনে হয়েছিল । বাস কন্ডাক্টর “ছেলেটা সৎ” কোন সন্দেহ নেই। আর ছেলেটা সৎ সেটা সেই ছেলেটার গুন । দরিদ্র হলেই তার লোভ থাকবে এমন কোন কথা নেই। আমি অনেক দরিদ্র মানুষকে জানি যারা পরিশ্রম করে নিজের উপার্জন খেতে চায় আর সেজন্যই তারা সামান্য কিছু টাকার জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে জীবিকার্জন করে। শরীফ খান ভাল সেজন্য বাস কন্ডাক্ট তাকে খুঁজে তার হারিয়ে যাওয়া ম্যানিব্যগ আর মোবাইল ফিরিয়ে দেয়নি। কণ্ডাক্টর সৎ সেজন্য ফিরিয়ে দিয়েছে। এখানে শরীফ খানের কোন ক্রেডিট নাই। [পরে বুঝলাম – অনেক মিথ্যা কথার মত এই ঘটনাও একটি নিছক ভুয়া মিথ্যা গল্প ছিল]
শরীফ খানের দোকানে পূঁজি নাই। প্রডাক্ট নাই। তবু তার একজন লোকের দরকার । রুশো করিম নামের ফেসবুকে আমার এক বন্ধু ছিল। ছেলেটা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। শরীফ খান আমাকে বলেছিল যে তার দোকানে সে কম্পুউটার সার্ভিসিং করে, সেজন্য রুশোকে বল্লাম সাভারে যাবে কাজে? রুশো থাকে মোহাম্মদপুর অথবা মিরপুর। সে সাভারে কাজে লেগে গেলো। তারপর আমাকে বল্লো আপা উনার দোকানে কোন প্রডাক্ট নাই। আপা অতদুর থেকে আসতে আমার অনেক টাকা খরচা হয় তারপর দুপুরে খাবার ইত্যাদি, ভাইকে বলে আমাকে আমার বেতন এডভান্স দিয়ে দিলে ভাল হতো। আমি শরীফকে বল্লাম। শরীফ বল্লো – প্রথম মাসে তো আমরা কর্মচারীদের বেতন দিইনা। কথাটা শুনে আমি তাজ্জুব হয়ে গেলাম। ফাইজলামি পাইছো? ফাউ ফাউ মানুষ যেয়ে তোমার দোকানে কাজ করবে?
মানুষ চাকুরী করে বেতন পেয়ে তা দিয়ে চলার জন্য – এ কেমন কথা!
যেহেতু আমি রুশোকে কাজে পাঠিয়েছিলাম তাই এখন আমি অসহ্য বোধ করতে লাগলাম। শরীফ তাকে বেতন দিবেনা। রুশো তেমন ভাল কোন কাজ দেখাতে পারেনি। কিভাবে দেখাবে? শরীফের দোকানে কোন প্রডাক্ট নেই যা বিক্রি করে সে কাজ দেখাবে। রুশো সম্পর্কে অনেক অভিযোগ। অন্যদিকে শরীফের বিরুদ্ধে রুশোর অভিযোগ – আপা দোকানে প্রডাক্ট না থাকলে আমি কি বিক্রি করবো বলেন? আমার চট্রগ্রামের ভাই শাহিনের কাছে কিছু টাকা ছিল আমি শাহীণকে বল্লাম শাহীণ ভাই, রুশোকে তুমি তিন হাজার টাকা বিকাশ করে দাও।
কর্মচারী শরীফ খানের দোকানের আর আমি বেতন দিলাম কানাডাতে বসে। একটা ব্যাপার আমাকে খুব অবাক করতো – শরীফ খান দোকানে বসেনা। ঘটনা কি? সে সব সময় ঘরে থাকে। সব সময় ফেসবুকে, হোয়টস আপ, ইমো, ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন লোকের সাথে গল্পগুজব করে।
ওর বাসাতে একজন ভাই ও একজন বোন – এরা দুইজনেই প্রাপ্তবয়স্ক, কেউ কিছু করেনা। কোন কাজ করেনা। আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকে কাজ করি সেহেতু ব্যাপারটা আমার কাছে এখনো অষ্টাদশ বিস্ময়। চারজন মানুষ কোন কাজ না করে চলে কিভাবে? শরীফ খান জানায় যে তার বাবার প্রচুর সম্পত্তি ছিল যার কিছু তিনি তার ব্যবসায়িক বন্ধুদের দান করে দিয়েছেন আর বাকী সব সম্পত্তি বিক্রি করে তার দীর্ঘ দিনের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য খরচা হয়ে গেছে। সন্তানদের জন্য তিনি কিছু রেখে যাননি। তার প্রাপ্তবয়স্ক ভাই ও বোনটি খুব আদরে বড় হয়েছে তাই ওরা কোন কাজ করেনা।
আমার ছেলেদের আমি অনেক আদোর ও ভালবাসা দিয়ে লালন পালন করেছি। কিন্তু ওরা স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে বা পড়া করছে এবং স্কুলে থাকাকালীন সময় থেকেই কাজ করে। স্বনির্ভর। পরিশ্রমি। আর সেজন্য ওদের শরীর মজবুত আর ওদের জন্য আমাদের ভালবাসাও বিন্দু পরিমান কমে যায়নি।
আমি তখনো জানতাম না শরীফ খান এবং তার পরিবারের আয়ের উৎস কি। কোন ভুতে তাদের টাকা যোগায় যে ঘরে বসে চারজন প্রানী বাংলাদেশের মত দেশে শুয়ে বসে টিভি সিরিয়াল মুভি দেখে খায় ঘুমায় প্রেম করে। নেটফ্লিক্স আছে। আমি কানাডাতে ত্রিশ বছর বাস করি নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রাইব করার মত ডলার নাই আর মুভি দেখার মত সময়ও ছিলনা কোন কালে। কানাডাতে সমাজ কল্যান দফতর থেকে টাকা পাওয়া যায় । যারা পায় তার এমন বসে বসে খায় তবে সে টাকা সবাই পায়না। কেউ কেউ পায়। সমাজ কল্যান দফতর থেকে যারা টাকা পায় তাদেরকে নিম্নলিখিত বেদনার ভেতর দিয়ে আনন্দের সাথে জীবন যাপন করতে হয়ঃ
১- পঙ্গু হতে হবে ( মানসিক প্রতিবন্ধি, হাত পা ভাঙ্গা, হাটু ভাঙ্গা, ডাক্তারের সার্টিফিকেট থাকতে হবে)
২- ৫০০০ ডলারের কম সম্পদ থাকতে হবে
৩ – বয়স অনুসারে নিয়মিত কাজ খুজতে হবে। কাজ খোঁজার প্রমান দেখাতে হবে যদি পঙ্গু না হয়।
৪ – শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে বা কোন কর্মদক্ষতা না থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা অর্জনের জন্য স্কুলে যেতে হবে বা প্রশিক্ষণ নিতে হবে
৫ – ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কাজ করতে হবে
ফিরে আসি শরীফ খানের আদোরের ভাইবোন এবং মা প্রসঙ্গে। আমি আমাদের পরিবারের সব চাইতে ছোট মেয়ে। এবং অনেক আদোরের মেয়ে । আমি কাজ সুরু করি ম্যাট্রিকের আগে থেকে। আমি ঢাকা থেকে মাস্টার্স করেই কানাডা আসি । সারাজীবনই আমি কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করেছি এবং সন্তানদের লালন পালন করেছি। আমার পরিবারের সবাই আমাকে এখনো অনেক ভালবাসে। টাকার জন্য আমি কখনো কারু কাছেই হাত পাতিনি।
ডিসেম্বর ২০১৭ সালে শরীফ খানের একজন প্রাক্তন প্রতিবেশী জানালো – রানা প্লাজাতে শরীফ খানের কোন দোকান ছিলনা। তবে রানা প্লাজার যে দোকানের কথা শরীফ খান আমাকে নিজের দোকান বলে বলেছিল সে দোকানটার মালিক ছিল ফিরোজ কবীর নামের আওয়ামীলীগের এক গুন্ডা। রানা যেমন এক হিন্দু ভদ্রলোকের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নিয়ে প্লাজা তৈরি করেছিল ঠিক তেমনি ফিরোজ কবীরের কাজ ছিল মানুষের জমি দখল করা, লুটপাট করা, এবং ইয়াবা চালান দেওয়া। শরীফ খানের মামারা সবাই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। শরীফ খান ফিরোজ কবীরের গুন্ডাবাহিনীর একজন সদস্য। কৈশর থেকেই শরীফ খান ফিরোজ কবীরের সাথে আছে। রানা প্লাজার সেই দোকানের কর্মচারী ছিল শরীফ খান।
ইন্দোনেশিয়াতে শরীফ খান আমাকে বলছিল এককালে সে ঢাকার রিজেন্ট হোটেলের মেম্বার ছিল এবং সেখানে সে নিয়মিত শিশা টানতো। এর আগে শরীফ খান বলে রানা প্লাজার দোকান যখন ছিল তখন তার হাতে লাখ খানেক টাকা হলেই সে বেড়িয়ে যেতো ঘুরতে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে জানলাম যে ভ্রমণকারীদের সাথে শরীফ খান প্রথম ঘুরতে যায় সে ভ্রমণের পুরো খরচ বহন করেন বিনু মাহবুবা।
শরীফ খান বলেছিল, রানা প্লাজা ভেঙ্গে গেলে তার দোকান হারিয়ে সে দিশেহারা হয়ে যায় এবং বন্ধুদের সাথে ইয়াবা নেয়। তবে এখন আর সে ইয়াবা নেয়না বা ধূমপান করেনা। ফিরে আসি শরীফ খানের গানে। শরীফ খানের গানের অডিও ক্লিপে সব চাইতে আগে যে জিনিষটা আমার কাছে বাঁধে তা হলো তার স্টামিনা নেই। সে হাফিয়ে যায়। সুর থেমে যায়। তখন আমার মনে হয়েছিল যে নিয়মিত ইয়াবা এবং ধূমপান করার কারণে তার স্টামিনা নেই।
ইন্দোনেশিয়াতে তাকে প্রথম দেখে বুঝলাম সে কখনো ইয়াবা বা ধূমপান ত্যাগ করেনি।
শরীফ খানের দুইটা জিনিষ ইয়াবা খেয়ে ফেলেছেঃ
বিবেক আর স্টামিনা।
চলবে
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা