দুর অন্ত পরবাসে

প্রজন্মের আইকন তারেক রহমান এবং কিছু অধমীয় স্মৃতির রোমন্থন।

০১.
খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় নি! বয়স সময় আর পজিশন তখন কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় নি।
তবে কাছাকাছি থেকে দেখেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে তখন ” শহীদ জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট” চলে। সকাল ৯ বা সাড়ে ৯ টার মতো বাজে। আমরা মাঠের চারপাশে বসে বসে খেলা উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ কী মনে করে গ্যালারি থেকে উঠে হাটতে হাটতে গেটের দিকে যাচ্ছি, দেখি একটি ব্লাক গাড়ি ড্রাইভ করে কেউ একজন গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে, মুখোমন্ডল একটু পরিচিত মনে হলো, আবার একটু তাকালাম! দেখি অনেক স্বপ্নের মতোই! তিনি অন্য কেউ নন! স্বয়ং তারেক রহমান! দৌড়ে এসে সালাম দিলাম! গ্লাস নামিয়ে সালাম নিলেন! আর বললেন,’ চুপ!’ কোন শ্লোগান নেই, মিছিল নেই, চুপচাপ একা গাড়ী চালিয়ে তিনি সোজা চলে এলেন মাঠে!! উপস্হিত সকল নেতাকর্মি তো পুরো অবাক! সেদিন।
০২.
ঢাকা বিশ্ববিদযালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জেলা প্রতিনিধিদের একটা সমাবেশ চলছিল। হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো কাউকে কিছু না বলে, না জানিয়ে তিনি, একা গাড়ি ড্রাইভ করে চলে এলেন। সে এক মহা আবেগ আর উচ্ছ্বাসের সাথে সাথে ভিতরে ভিতরে ধাক্কার মতো লাগতো! সংগঠনের সঠিক চিত্র স্বচোক্ষে দেখার জন্য তিনি এমন করতেন কিনা জানি না, তবে এমন তিনি প্রায়ই করতেন!
সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সন্তান এভাবে একা একা মুভ করাটা তখন বেশ চিন্তার বিষয় ছিলো, কিন্তু তিনি তা তোয়াক্কা করতেন না!
০৩.
মাননীয় চেয়ারপার্সনের অফিস যখন বনানীতে ছিলো তখন নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকালে কর্মরত সবাই যে পলোশার্ট ড্রেস পরিধান করতেন তিনিও তাই পরিধান করতেন। একই সাথে খাবারের টেবিলে বসে খেতেন। ঐ সময় যাঁরা উনার সাথে দায়িত্ব পালন করার সুভাগ্য অর্জন করেছেন, নিশ্চয়ই তাঁদের মনে থাকার কথা। কোন রকম বাহুল্যতা উনার মধ্যে দেখি নি।

আজ তিনি দুর অন্ত পরবাসে, তাঁকে বুঝতে হলে তাঁর কর্মকৌশল আর কর্মযজ্ঞের বিশ্লেষনের মাধ্যমেই বুঝতে হবে।
অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।
– এজমল হোসেন পাইলট।
সহ- সভাপতি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *