ইফতারে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য এবং নতুন ঢাকার আভিজাত্যের ছোঁয়া একসাথে পেতে রাজধানীর ধানমণ্ডির আড্ডা রেস্টুরেন্টে ভীড় জমাচ্ছেন রসনাবিলাসীরা। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই রেস্তোরাঁটির সামনে ইফতার সামগ্রীর বিশাল পসরা সাজানো হচ্ছে।
সব শ্রেণির ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে আড্ডা রেস্টুরেন্ট তাদের ইফতার সমাহারে পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ এবং নতুন ঢাকার আভিজাত্যের ছোঁয়া দুইটিই একসাথে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে৷ সেই সাথে বজায় রাখা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও বাড়তি স্বাদেরও৷
ইফতারের নিয়মিত আইটেম পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, ভেজিটেবল পাকোড়া, ছোলা ভুনা, রেশমি ও বোম্বে জিলাপি ছাড়াও আড্ডার ইফতার আয়োজনে আরো রয়েছে স্পেশাল ওনথন, ফিশ ফিংগার, চিকেন ললিপপ, টেংগি কাবাব, স্প্রিং রোল, চিকেন রোল, প্রাউন টোস্ট, ফ্রাইড চিকেন, চিকেন উইংস ও দইবড়া।
ইফতারের জন্য এখানে গরু ও খাসির হালিম পাওয়া যাচ্ছে। খাসির হালিমের দাম পাতিলের সাইজ হিসেব করে ১২০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। আর গরুর হালিম পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। এছাড়া চিকেন টিকা ৩৫০ টাকায়, চিকেন বটি কাবাব ৪০০ টাকায়, চিকেন মালাই বটি কাবাব ৪৩০ টাকায়, চিকেন রেশমি কাবাব ৩৭০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকা, তান্দুরি চিকেন ১৪০ টাকা, জালি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন রেশমি কারি ৩০০-৬০০ টাকা ও চিকেন মালাই কারি ৩০০-৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আড্ডার ঢাকাইয়া ইফতার আয়োজনের মূল আকর্ষণ হচ্ছে আস্ত হাঁসভুনা- ৬০০ টাকা, আস্ত কবুতর ভুনা- ২০০ টাকা, চিকেন বার্বিকিউ ১০০-৪০০ টাকা ও মাটন লেগ পিস- ১৫০০ টাকা। এছাড়া বিফ বটি কাবাব ৩৫০ টাকা, বিফ আফগানি কাবাব ৪৫০ টাকা, বিফ ভুনা ৩০০-৬০০ টাকা, বিফ জুসি কারি ৪৫০ টাকা ও বিফ আচারি কারি ৪৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রোজাদারদের জন্য আলাদা চারটি ইফতার প্যাকেজেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্টুরেন্টে। প্যাকেজ ১ (থাই মিক্স) পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। প্যাকেজ ২ (ইন্ডিয়ান মিক্সড) মিলবে ৩০০ টাকায়। প্যাকেজ ৩ (ইন্ডিয়ান মিক্সড) পাবেন ৩২০ টাকায় আর প্যাকেজ ৪ (রেগুলার) পাওয়া যাবে ১৬০ টাকায়।
২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ধানমন্ডির ৪ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়িতে আড্ডা রেস্টুরেন্ট যাত্রা শুরু করে। চাইনিজ, থাই, ইন্ডিয়ান ও সি ফুডের জন্য এরই মধ্যে এই রেস্টুরেন্ট বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গত তিন বছর ধরে রেস্তোরাঁটি রমজানে রকমারি ইফতারের আয়োজন করে আসছে।
রেস্টুরেন্টটির একাউন্টস এক্সিকিউটিভ ফজলে রাব্বি বলেন, তিন বছর ধরে আড্ডা রেস্টুরেন্ট রমজানে ইফতারের আয়োজন করছে। ভাল সাড়া পাচ্ছি। এরই মধ্যে গ্রাহকদের কাছে আমাদের নিজস্ব আইটেমগুলোর চাহিদা বেড়েছে।