আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া প্রথমে নাশকতার নয় মামলায় জামিন নেওয়ার জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে যাবেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে নাইকো দুর্নীতি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে যাবেন। ওই সব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ সকাল থেকে পুরান ঢাকার জনসন রোড, ভিক্টোরিয়া পার্ক, আদালত চত্বরসহ পুরো এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, র্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা আদালত এলাকায় নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছেন। তল্লাশি ছাড়া কাউকে আদালত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, আদালতে খালেদা জিয়া হাজির হওয়ার আগে এজলাসকক্ষে হাজির হয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী সিএসএফের সদস্যরা।
নাইকো মামলার নথির তথ্যমতে, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
২০০৮ সালের ৫ মে নাইকো মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। এতে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম একটি মামলা করেন। পরে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে, নাশকতার মামলাগুলোর মধ্যে গত ১১ মে দারুসসালাম থানার ৪(৩)১৫ এবং ৮(২)১৫ নম্বরের দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৫১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এর পর গত ২৬ মে দারুসসালাম থানার ৬(২)১৫ নম্বর মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
গত ২৯ মে খালেদা জিয়াসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে একই থানার আরো দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
সর্বশেষ ৬ জুন দারুসসালাম থানায় ২৯(২)১৫, ৫(২)১৫, ৩১(২)১৫ ও ৬২(১)১৫ নম্বরের আরো চারটি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১০৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার মামলাসহ পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান।