পাবনার হেমায়েতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেবাশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি এই ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করতে নয়, সমবেদনা জানাতে এখানে এসেছি। আমি কোনো গণমাধ্যমে কথা বলতে আসিনি।’
শুক্রবার দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় হেমায়েতপুর শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সেবাশ্রমের আসেন। এ সময় তিনি সেবাশ্রমের কর্মকর্তা ও নিহত নিত্যরঞ্জন পান্ডের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। তিনি নিহত’র পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা-সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন র্যাব-১২ সিও (ডিআইডি) শাহাবুদ্দিন। তাৎক্ষণিত প্রতিক্রিয়ায় শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পুলিশ, প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণ যদি আমাদের সহায়তা করেন, তাহলে খুব শীঘ্রই আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। পাবনার এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগসূত্র আছে কি না সেদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা প্রাথমিক স্তরে অবস্থান করছি। ইতোমধ্যে আমাদের টিম তদন্ত করতে শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবো। তবে ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই সংঘটিত করা হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্যের আলোকে এটি ধারণা করা হচ্ছে।’
এ সময় পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাকমুদা সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক যুগোল কিশোর ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু চন্দর চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বাদল ঘোষ, সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।