(১৭ জানুয়ারি ১৯৪২-৩রা জুন ২০১৬) মোহাম্মদ আলী – প্রাক্তন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ৭৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন । মোহাম্মদ আলীর জন্ম হয়েছিল যুক্তরাস্ট্রের কেন্টাকি প্রদেশের লুইসভিল শহরে। জন্মের সময় মোহাম্মদ আলীর নাম ছিল Cassius Marcellus Clay, Jr। তিনি কোন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেননি। ২২ বছর বয়সে তিনি প্রথম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন এবং তার পরেই শ্বেত আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ক্লে থেকে মোহাম্মদ আলী হিসাবে পরিচিত হন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ না নিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, জেলে পাঠানো হয় এবং তার চ্যাম্পিয়নশীপ কেড়ে নেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে তিনি বক্সিং থেকে অবসর নেন। তিনি ৬১টি কুস্তি প্রতিযোগীতায় অংশ নেন এবং ৫৬টিতেই জয়লাভ করেন।
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশে আসেন। তখন বাংলাদেশের রাস্ট্রপ্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। রাস্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত সিনিয়র ফটোগ্রাফার ছিলেন লুৎফর রহমান বিনু। নীচের এই দুইটি ছবিসহ গত এক সপ্তাহ ধরে মোহাম্মদ আলীর যেসব ছবি সমস্ত মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে সব ছবিই লূৎফর রহমান বিনুর তোলা। প্রথম আলোসহ অনেক পত্রিকাতেই বিভিন্ন সাংবাদিক লুতফর রহমান বিনুর তোলা ফটোগ্রাফ ব্যবহার করেছেন কিন্তু উনার নাম প্রকাশ করেননি। বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকেরা খুব নীচু মনের পরিচয় দিয়ে থাকেন এই ধরনের হীণ কাজকর্ম করে। প্রতিটি ছবির নিচে ফটোগ্রাফারের নাম প্রকাশ করা একটি স্বাভাবিক পেশাগত ভদ্রতা, নৈতিক দায়িত্ব, ও সৌজন্যতাবোধ। অনেক সাংবাদিক এইটা ভুলে যান এবং এমনভাবে ফটো সমেত সংবাদটি প্রকাশ করেন যেন এই ফটোটি উনিই উঠিয়েছেন। আইনতঃ এটা কপিরাইট ব্রিচ (Copyright infringement) ও দ্বন্ডনীয় অপরাধ। যখনই কারু গান, কারু ফটো, কারু কবিতা, কারু কোটেশন ব্যবহার করতে হবে তখনই তার নাম উল্লেখ করতে হবে। একজন সাধারন মানুষ এই ভুল করতে পারে কিন্তু একজন প্রথম আলোর সাংবাদিক কি করে এই ভুল করে? যে সাংবাদিক তার প্রতিবেদনে বিনুভাইয়ের ফটো চুরি করে লাগিয়ে দিব্যি চেপে গেছে ১৯৭৪ সালে যখন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন তখন সেই প্রথম আলোর সাংবাদিকের বয়স কত ছিল ? তিনি তখন কোথায় ছিলেন? তিনি কিভাবে এই ছবি উঠালেন ? তিনি কিভাবে মোহাম্মদ আলীর পাশে যেয়ে বা সামনে যেয়ে এই ছবি উঠাতে পারেন ? অনেক প্রশ্ন করা যেতে পারে এবং এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাও করা যেতে পারে। এর পরে এই ধরনের হীণ কাজ করার আগে দশবার ভেবে নেবেন। কারণ যারা যারা বিনুভাইয়ের ফটো নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। অবশ্য মামলা শব্দটা অনেকটা লায়লা মজনুর প্রেমের উপাখ্যানের মত শোনায় বাংলাদেশে। মামলা মানেই এক প্রেমলীলা। তবে চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা। মহান ব্যক্তির ফটো চুরি করে মহান ব্যক্তি সম্পর্কে প্রতিবেদন লেখাটা একটা লজ্বাজনক ব্যাপার। অবশ্য প্রথম আলোর সাংবাদিকদের লজ্বা শরম বলে কিছু নাই। প্রথম আলো ডানেবায়েউত্তরদক্ষিনে প্রথম আলো জ্ জ্বেলেই চোর পূজা করে। চুরি, অবক্ষয়, মিথ্যাচার, দুর্নীতিই প্রথম আলোর সাংবাদিকদের প্রাথমিক দায়িত্ব।
প্রথম আলোর ফটো চোর সাংবাদিক তুমি কার?
যে যখন ক্ষমতায় আসবে প্রথম আলোর সাংবাদিক তার (এই সাংবাদিকতায় কোন নীতি লাগেনা । পদলেহনই একমাত্র দক্ষতা।)
“Boxer Muhammad Ali” holding the National Flag of Bangladesh. Dhaka, Bangladesh (18/02/1978)
Photographer : Mohammad Lutfar Rahman Binu