ঢাকা : অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খান তার স্ত্রী ও ছেলের নামে হংকংয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (০৫ জুন) দুদকের করা এক রিভিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কেন পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ ৩ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ১৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, মুদ্রাপাচারের অভিযোগে ২০০৮ সালে মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ ৩ জনের নামে একটি মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছিল। মামলায় গত বছর দুদক ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করলে তা গৃহীত হয়।
সেই প্রেক্ষিতে হংকংয়ের ব্যাংক থেকে দুদককে জানানো হয় যে, মোরশেদ খানসহ ৩ জনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। এ খবর জানার পর ঢাকার বিশেষ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে ফাইনাল রিপোর্টের ওপর নারাজি আবেদন করা হয়। কিন্তু ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সেই নারাজি আবেদন খারিজ করে দেয়।
নিম্ন আদালতের সেই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে রোববার দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। ওই অ্যাকাউন্টে ৬ মিলিয়ন হংকং ডলার অর্থ রয়েছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী।
খুরশীদ আলম খান আরো বলেন, ‘আদালত আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে বাংলাদেশের আদালত বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দিতে পারে কি না? আমি বলেছি মানি লন্ডারিং আইনানুযায়ী পারে। পরে আদালত এই অ্যাকাউন্ট ১০ দিন জব্দ রাখার নির্দেশ দেন। এটি বাংলাদেশের কোনো আদালতের প্রথম বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট জব্দ রাখার নির্দেশ