সারা পাকিস্তানে হামলা চালানোর সক্ষমতা আছে ভারতের

সারা পাকিস্তানে হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা আছে ভারতের। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের পুরোধা আবদুল কাদের খানের (একিউ খান) হুমকির জবাবে এ কথা বলেছেন ভারতীয় পারমাণবিক বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার প্রথম বার্ষিকীতে বক্তব্য দিতে গিয়ে একিউ খান বলেন, ৫ মিনিটের মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির কাছে কাহুতা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিকে টার্গেট করার সক্ষমতা আছে পারমাণবিক অস্ত্রধর পাকিস্তানের। তার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এনসি ভিজ। তিনি বলেছেন, পুরো পাকিস্তানকে টার্গেট করতে পারে ভারতও। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র হলো প্রতিরোধের জন্য। এটা হামলায় ব্যবহারের জন্য নয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এনসি ভিজ বলেন, আমরা ধরে নিই যে, পাকিস্তানের আর্মি জেনারেল আগামীকাল পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিলেন। এতে তাদের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগবে। ওদিকে একিউ খানের বক্তব্যের মধ্যে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজের ডিস্টিগুইজড ফেলো এয়ার ভাইস মার্শাল মনমোহন বাহাদুর। তিনি বলেছেন, একিউ খানের এমন বক্তব্য প্রচারণার এক রকম ভাওতাবাজি। উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী পাকিস্তানি পারমাণবিক পদার্থবিদ একিউ খান আরও বলেছেন, ১৯৮৪ সালের দিকেই পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে উঠতো। কিন্তু তখনকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিলেন। আমরা ১৯৮৪ সালেই পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। সে সক্ষমতাও আমাদের ছিল। পাকিস্তানি এই বিজ্ঞানী ২০০৪ সালে পারমাণবিক প্রযুক্তি হাতবদলের অভিযোগ স্বীকার করেন। তারপর থেকেই তাকে রাখা হয় গৃহবন্দি। ২০০৯ সালে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাকে মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দেন। সারাদেশে তাকে অবাধে চলাচলের অনুমতি দেন। ফলে তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি অনুশোচনা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, তার সেবা ছাড়া প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হতে পারতো না।

৪ thoughts on “সারা পাকিস্তানে হামলা চালানোর সক্ষমতা আছে ভারতের

Leave a Reply to Unous Ali Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.