বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
বিটিআরসি, আইন, স্বরাষ্ট্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ছয়টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, এবং নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মহাপরিচালককে আগামী সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুক্তাদির রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিংহভাগেরই মালিকানা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের।
ফলে একজন ব্যবহারকারী তথ্য সরকারকে না দিয়ে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছেন।

কিন্তু সেই সাথে বাংলাদেশে এখনো ডাটা প্রোটেকশন এ্যাক্ট বা তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন না থাকায়, অপারেটরদের কাছে আঙ্গুলের ছাপের মত তথ্য কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্যারিস্টার রহমান।
২৪শে মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বিটিআরসি, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি এবং এয়ারটেলের আইনজীবীরা উপস্থিত হয়ে ওকালতনামা জমা দিয়েছে বলেও জানান ব্যারিস্টার রহমান।
এ মাসের শুরুতেই বাংলাদেশে মোবাইল সিম নিবন্ধনের জন্য আঙুলের ছাপ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চ্যালেঞ্জ করে সরকারকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন খায়রুল হাসান সরকার নামে এক ব্যক্তি।
নোটিসে বলা হয়েছিল, এভাবে মানুষকে তার ব্যক্তিগত গোপন তথ্য দিতে বাধ্য করা দেশের আইনের বিরোধী।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেড়কোটির বেশি মানুষ বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম যাচাই করে নিয়েছেন।

৩ thoughts on “বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

Leave a Reply to Kza Arafin Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.