পাচার হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা- ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ৭৬ হাজার কোটি কালো টাকা অর্থাৎ অপ্রদর্শিত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আর এই টাকা ব্যবহার হয়েছে সেখানে বাড়ি নির্মাণের জন্য। তিনি বলেন, কালো টাকা বিদেশে পাচার রোধের জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনের ‘রিহ্যাব মেলা-২০১৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কালো টাকা যাতে বাইরে না যায় সে জন্য প্রশ্নহীনভাবে এ দেশে গৃহ নির্মাণ বা কেনার সুযোগ দিতে হবে। গৃহ নির্মাণে কালো টাকা বিনিয়োগে যে আইনি জটিলতা আছে তা দূর করতে হবে। দেশের মধ্যবিত্ত ও গরিবের বাসস্থানের জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে গৃহায়ন সেক্টরে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সেক্টরে বিনিয়োগ করলে ডেসটিনি বা হলমার্ক হবে না। কারণ মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ টাকা মারে না বা আত্মসাৎ করে না। গৃহায়নের জন্য মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষকে দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের বাসস্থান পাওয়ার অধিকার রয়েছে। গৃহায়ন সেক্টরকে বাঁচাতে ৮ থেকে ৯ ভাগ সুদে সিঙ্গেল ডিজিটে গৃহঋণ দিতে হবে। তিনি বলেন, গৃহায়ন খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে জড়িত ৩০০’র বেশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতেও এই সেক্টরকে চাঙ্গা করতে হবে। গৃহায়ন সেক্টর রক্ষায় সরকারের নীতি পাল্টাতে হবে। ঢাকা দুষণে ওয়াসাকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, আজকে বুড়িগঙ্গা, বালু ও তুরাগে দুষণ ছড়াচ্ছে। আমরা এসব নদীর সামনে যেতে পারি না। এই দুষণের জন্য ওয়াসার সিস্টেমই দায়ী। ওয়াসা স্যুয়ারেজ পাইপ লাইন করছে বলে মনে হয় না। এগুলো ড্রেইজিং করতে হবে। আমরা নিজেরাই পাইপ লাইন বসাতো পারি ওয়াসার জন্য বসে থাকবো না। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দুষণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দিন দেখিনি কক্সবাজারে বর্জ্য, কিন্তু এখন দেখছি অনেকে নাকি সেখানে মানব বর্জ্য পাচ্ছে। এটার কারণে হোটেলে এসটিপি নেই (পয়োবর্জ্য পরিশোধনে নিজস্ব সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। তবে আমার হোটেলে এসটিপি আছে। আমি বিদেশ থেকে এসটিপি স্থাপন করেছি। কক্সবাজারের অনেক হোটেল মালিক জানে না এসটিপি কি? অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) মো. ওয়াহেদুজ্জামান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবিউল হক, মেলা আয়োজক কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সোহরওয়ার্দী ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন।

৫ thoughts on “পাচার হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা- ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

Leave a Reply to Moin Ahmed Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.