ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ ছিল বিজিবির ২২০ বছরের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। তাই ভবিষ্যতে আর যাতে আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
রোববার সকালে পিলখানায় বিজিবি দিবস-২০১৫ উদযাপনের কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, পুনর্গঠিত বিজিবি আগামী দিনে সততা আর দেশপ্রেমের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা তাদের ভাবমূর্তি ও আত্মমর্যাদা ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১০ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন কার্যকর হয়েছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার জন্যই বিডিআর আইন সংশোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অপারেশনাল কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি বিজিবির পতাকা উত্তোলন করা হয়। আমাদের নানামুখী প্রচেষ্টার ফলে সীমান্ত বাহিনী এখন সব ধরনের অভিশাপ থেকে মুক্ত। বিজিবি এখন একটি আধুনিক ও গতিশীল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলে সীমান্ত বাহিনী বিজিবির সুনাম ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে এই বাহিনী এখন অতীতের চেয়ে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতি গঠনের নানা কার্যক্রমে এবং বেসামরিক প্রশাসনেও বিজিবির ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী পিলখানায় এসে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এ উপলক্ষ্যে বিজিবি সদর দপ্তরে এক মনোরম কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিরোধীদলীয় নেত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Khandakar Mamun liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
MD Uzzol Baruniya liked this on Facebook.
Imam Uddin liked this on Facebook.