মেরিন টেকনোলজি আমার অহংকার


  1. প্রায় ৮ বছর পর. আমার আমি হয়ে যেখানে গড়ে উঠা, সেই প্রিয় প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজি তে. অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে. চেনা মানুষ গুলুর প্রায় অনেকেই আজ নেই. যারা আছেন তারাও প্রায় ভুলতে বসেছেন.image

ব্যস্ততার কারণে খুব বেশি একটা সময় দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি. তবে সেই অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ছোট ভাইদের থেকে যতটুকু ভালবাসা পেয়েছি, তাতে সত্যিই নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি. সবকিছু পরিবর্তন হলেও ছোট ভাইদের সেই ভালবাসাটুকু ঠিক আগের মতই আছে.

তবে মেরিন গিয়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম, প্রশাসনিকভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ছাত্রদের ওয়েলফেয়ারের জন্য. রুমের ভিতর বা বাহির, করিডোর, বাথরুম, টয়লেট সব জায়গায়ই একই চিত্র. সংস্কার করার কোনো উদ্যেগ নেই. করিডোরের লাইট গুলু শুনলাম অনেক দিন থেকেই অকেজ হয়ে পরে আছে.

ছাত্রদের কাছে শুনতে পেলাম যদি কেউ গিয়ে কোনো অভিযোগ করে সর্বপ্রথম তাদের রুল নম্বর জানতে চাওয়া হয়. সেজন্য ভয়ে অনেকেই কিছু বলে না. অবাক লাগল, অথচ এই ছাত্ররাই কিছু দিন পর দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আনতে থাকবে. আমার মত যারা বিদেশে থাকে, তাদের কাছে বেপারগুলু আরো বেশি খারাপ লাগে. কিন্তু কি ই বা করার আছে আমার একার পক্ষে. আমি হয়ত কিছুই করতে পারব না.

কিন্তু আমার সেই প্রিয় রুমটির (পুরাতন হোস্টেল-105) জন্য কি আমার কিছুই করার নেই? ছুট ভাইরা যে রুমে আমার হাতের সেই লিখাটি এখনো খুব যত্ন করে ধরে রেখেছে “কথা নয় কাজ”. সেই মানবিক দৃষ্ঠিকোন থেকেই কিছু অনুধান দিয়ে আসলাম রুমের সংস্কার কাজ করার জন্য. আমার দেখাদেখি আশা করব অন্যরাও এগিয়ে আসবে. আর তা হলেই আমার এই পোস্টটা সার্থক হবে.

Sharing and Caring Together

– মো: তাজুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর প্রবাসী

প্রবাসনিউজ২৪.কম

 

৩ thoughts on “মেরিন টেকনোলজি আমার অহংকার

Leave a Reply to Anwarul Hassan Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.