প্রতারণা চক্র -৫

নীচের লেখাটা আমি লিখেছিলাম জুলাই মাসে। প্রতারণা চক্রে পা দেবার প্রথম দিন থেকে। এই নোটটি আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। সেদিন প্লেনে বসে আমি যখন নোটটি লিখি আমি তখন জানতাম না আমি প্রতারিত হতে যাচ্ছি। প্রতারক আনোয়ার পারভেজকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলাম আমি কানাডা থেকে লন্ডনে। আমার ব্যাগে ছিল ১০০০০ পউন্ডের একটা ব্যাঙ্ক ড্রাফট, ৫০০ পাউন্ড, তিনটা আংটি (১৪০০ ডলারের), প্লেন ভাড়া ১১০০ ডলার আর কাপড়চোপড়, সব কিছু ঋন করে কেনা। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ লন্ডনে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাংকে পাউন্ড দেখাতে হবে সেজন্য পাউন্ডগুলো ঋন চেয়েছিল। ভিসা হয়ে গেলে তা আমি ফিরিয়ে এনে আমার ঋন পরিশোধ করে দেবো। এটাই কথা ছিল। কিন্ত প্রতারণা চক্রের পরিকল্পনা ছিল অন্য – ভিসার কথা বলে পাউন্ডগুলো মেরে দিয়ে বাংলাদেশে যেয়ে আমার কাছ থেকে আরো টাকার জন্য চাপ দেওয়া। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের ভিসার মেয়াদ ছিল ১৭-১-২০১৩ পর্যন্ত। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ঢাকাতে যায় ১৭-১-২০১৩ তারিখে।

আমার মন বার বার আমাকে বাঁধা দিয়েছে। আমি ভেবেছি আমার মন ভুল। আসলে মনই সব সময় ঠিক । মনের কথা শুনতে হয়। যদি সেদিন আমি মনের কথা শুনে টরেন্টো এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে যেতাম। বাসায় যেয়ে লম্বা ঘুম দিতাম তাহলে এইভাবে নোংরা একটা নর্দমার কীটকে বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়ে মোট ৩০০০০ ডলার নস্ট ড্রেনে ফেলে দিতাম না। নর্দমার কীট প্রতারক আনোয়ার পারভেজ রুবেল এখন বাংলাদশে বসবাস করে এবং নানাভাবে নানা মানুষকে প্রতারিত করে টাকা উপার্জন করে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ একটি প্রতারক ও বাটপার পরিবারের ছেলে।

অসমাপ্ত অনুভুতি

    July 14, 2012 at 5:14pm

ভাবছি আজ একটা গল্প লিখলে কেমন হয় ? কানাডা থেকে বিলাতে যাচ্ছি আমি। সাথে অনুভব করছি এক অন্যরকম অনুভূতি । এর আগে অনেকবার বিলাতে গেছি আমি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে গেছি কিন্তু এমন অনুভব অনুভূত হয়নি। আমার ল্যাপটপের ব্যাটারি মরে যাবে খুব তারাতারি । আর আমি এই লেখা শেষ করতে পারবোনা কানাডা ফিরে যাবার আগে । কারন বিলাতে 220 ভোল্টেজ আমেরিকাতে ১১০ ভোল্টেজ। আমেরিকা আর ইউরোপের এই ভোল্টেজ স্টান্ডার্ড এর পার্থক্যের পেছনে রাজনীতির প্রভাব ব্যাপক। তিন ফেজ এ ইলেক্টিক জেনারেশনের পেছনে কাহিনী এই রকম – তিন ফেজ এর বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের শুরু হয়েছিলো ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে। নিকোলক টেলসা নামের এক ব্যক্তি এই আবিস্কার করেন। অনেক গবেষনার পরে উনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন ৬০ হার্টজ পার সেকেন্ড (60 hertz per second) সব চাইতে ত্বরিত গতি বিকল্প তৎক্ষানিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে। তিনি বেছে নেন ২৪০ ভোল্ট যা থমাস এডিসনের সাথে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটায় যার আবিস্কার ছিলো ১১০ ভোল্ট যা নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ন । প্রত্যক্ষ বিদ্যুৎ ও বিকল্প বিদ্যুতের অনেক পার্থক্য আছে। কেনো যে আমি থমাস এডিসনের প্রসংগে লিখছি আমি জানিনা। বিলাতে গেলেই ফোন মরে যায়, ল্যাপটপ মরে যায়। সব মরে যায় । দেখি প্রেম মরে কিনা। যাক আমার অনুভূতির কথাতে আসা যাক। আজ সব কিছু খুব তারাতারি করেছি আমি। খুব ভোরে অফিসে গেছি তারাতারি এয়ারপোর্টে আসতে পারি যাতে সেজন্য। রাতে তিন ঘন্টা ঘুমিয়েছি মাত্র। আমার অফিস থেকে এয়ারপোর্ট আধা ঘন্টার পথ আমি ট্রেনে বা বাসে আসিনি। ট্যাক্সিতে এসেছি। আমি খুব ঘাবড়ে গেছিলাম এক সময় । দুপুরে মনে হচ্ছিলো আফিসে বিসুভিয়াস এসে বসে আছে আমার ঘাড়ের পেছনে। কাল রাতে এই রকম মনে হয়েছে। মনে হয়েছে আমি আর চলতে পারবোনা। চলন শক্তি হারাতে বসেছি। পথে হাটতে হাটতে থমকে গেছি । কি হলো আমার। সেই বেপরোয়া ভাব আর সেই স্বাধিন আমি কেন এমন হোচট খাচ্ছি বারে বারে। আমার সেই আমিতে আজ একি হলো। এক দীর্ঘ একাকিত্বের পরিসমাপ্তি আসলেই কি ঘটবে। নাকি আমি আবার একা হয়ে যাবো সেই আগের মতোন। আর মাঝে কেবল কিছু পাথরে ঘা খাওয়া, হাটুতে থেতলানো ব্যাথা নিয়ে ককিয়ে উঠা শুধু। তবে এমন তো হতে পারে এইসব অবস্থা বদলে যাবে। বদলে যেয়ে আমি ঝর্নার মতো আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবো। এমন হতে পারে ম্লান মুখে ক্লান্ত হাসি বদলে এক উজ্বল সূর্য রশ্মি ছড়িয়ে ছিলে ফেলবে দুঃখগুলোকে। এমন হতে পারে এখন আর কেউ মুখোশ পড়েনা । এখন সবাই যা কিছু বলে সব কিছু সত্যি বলে। এমন হতে পারে সেক্সপিয়ারের কথা পচে গেছে বস্তায় থেকে থেকে – পৃথিবী কোন নাট্যমঞ্চ নয় – আমরা কেউ অভিনয় করছিনা। অনেক কিছু হতে পারে । এইসব ভাবনা ভাবছি কারন দুঃখ স্মৃতিগুলো ভুলে যাচ্ছি বোধহয় সেজন্য । তাহলে দেখা যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে দুঃখরাও বুড়ো হয়ে যায় ।

সান উইং এর একটা খুব ছোট প্লেনে চড়েছি আমরা । লোকজন যাবার সময় আমাকে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে। আমি টাইপ করছি তাই আমার হাতের একটু অংশ বাইরে লোক জনের পথের এক টুকরো বাধা হয়ে আছে । এই প্লেনের ভেতরে সব চাইতে সুন্দর যে দৃশ্য তা হলো এই প্লেনের যাত্রীরা । সবাই নানা রকম দেশে থেকে আসা মানুষ । একটা প্লেনের মধ্যে অনেক রঙ্গের ফুলের বাগানের মত। গত ২৩ বছর ধরে আমি কানাডিয়ান । তাই আমি খুব গর্ববোধ করি অনেক দেশের মানুষকে একখানে দেখলে । নানা ভাষা বলছে নানা ধরনের পোষাক পড়েছে আর নানা ধরনের ধর্মে বিশ্বাসী সবাই এক দেশে বসবাস করে শান্তিপূর্নভাবে। এটি একটি গর্বের বিষয় । এই গর্বকে সমুন্নত রাখার পেছনে আইনের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কানাডাতে “সাম্প্রদায়িকতা” আইনত দন্ডনিয় অপরাধ । অতিতের “সাম্প্রদায়িকতা “ আর এই সাম্প্রদায়িকতার কারনে মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া অনিষ্ট থেকে আমরা কানাডিয়ানরা শিক্ষা নিয়েছি । আর আইনকে শক্ত করেছি। বিভিন্ন কমিউনিটিগুলোকে তাদের ধর্ম ও সাংস্কৃতি উৎযাপনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমের সহনশীলতার অনুশীলন করেছি। এইভাবে এইসব নানা রঙ্গের ফুলকে ঘৃনা না করে বা উঁচুনিচু জাগা থেকে না দেখে সবাইকে একটা সমান জাগা থেকে দেখার চেস্টা করেছি । এই চেস্টা অব্যাহত আছে । এক আকাশের নীচে এক পৃথিবীতে সবাই একটি পরিবারের সদস্যের মতো ।
যাক প্লেনের ফুলের বিবরন দিতে যেয়ে নিজের ভুলের কথা বলতে ভুলে যাচ্ছি।

একটা ছোট্ট শিশু কাঁদছে । খুব জোড়ে। অনেকদিন্ পরে বাচ্চার কান্না শুনলাম । আমার পাশে দুটো বাচ্চা ছেলে মেয়ে বসেছে। খেলা করছে। মায়ের সাথে যাচ্ছে । খুব ভাল লাগছে আমার। আমার ক্লান্তি নেই এখন আর। ভয়ও চলে গেছে। পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ফ্রি অয়াই ফাই কে ধন্যবাদ। অন্তত ফেসবুকে কিছুক্ষন বন্ধুদের সাথে কথা বলে সময় কাটানো গেছে। আরে সেই কথা তো বলতেই ভুলে যাচ্ছি। পরিবর্তন । সেই পরিবর্তন অপেক্ষা করছে আমার জন্য বিলাতে।
একবার পড়েছিলাম একটা বই, নাম ছিলো ঃ বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন (সম্ভবত) । লেখকের নাম ভুলে গেছি। যাক আরও একটা বই পড়েছিলাম শংকরের। বইটা অনেক মোটা ছিলো আর আমি অনেক ছোট ছিলাম তাই একটি ঘটনা আমার মনে গভীর দাগ কেটেছিল । সেই বইয়ে লেখা ছিলো একটা স্লেজ গাড়ির কথা যা ঘোড়া বা কুকুর দিয়ে টানা হতোনা। দুইজন কৃশ্নাঙ্গীকে দিয়ে টানা হতো বিলাতি সাহেবের স্লেজ । সারা বিশ্বেই তখন মানুষকে প্রত্যক্ষ পন্য হিসাবে বাজারে বেচাকেনা হতো। এখন আমরা নিজেরাই পন্য হয়ে নিজেদের বিকিয়ে দেই । অথচ শুনতে পারিনা এই কথা। স্বাধিনতার ঝান্ডা উচু করে রাখি যাতে কেউ বুঝে ফ্যালে যে আমরা নিজেদের বিক্রির জন্য সদা প্রস্তুত। বিলাতের সাহেবদের আমরা ভয় পায়। আদোর করি। প্রভু হিসাবে সন্মান করি। সাদা রং দেখে আভিভুত হয়ে যায় । দাসপ্রথার ব্যাপক প্রভাব আমাদের মনের মুকুরে ছেয়ে আছে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে। তাই সাদাদের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে গর্ববোধ করি। সাদাদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করতে পছন্দ করি । আমার পাশে সাদা আছে তার অর্থ আমাকে নরম ভেবোনা আমার পাশে শক্তি আছে। সাদারা খুব উপভোগ করে এই আদোর।
আজকের এই ফ্লাইটের মতই বিলাতে এখন নানারঙ্গের ফুলের বাগান হয়ে গেছে। তবু এখনও বিলাতি সাহেবদের আদেশেই এই ফুলেরা সব বিকোশিত হয় কুসুমে কুসুমে । যাক আমার আজকের অনুভুতির কথা না বলে আমি সেই তখন থেকে খালি ফুলের বাগানেই বিচরন করছি । যেহেতু নানারঙ্গের এই ফুলেরা মানুষ তাই এই ফুলের বাগানে সুবাসিত ঘামের গন্ধে। যাক সেটা একটি বিশেষত্ব। কোথাও চামেলির ঘ্রান আর কোথাও ঘামের গন্ধ ।

প্রতিদিন সকালে আমার বেড়াল নেক্সাস আমার শিয়রে বসে থাকে । কারন ওর ক্ষুধা পায়। খাবার শেষে আবার আসে । তখন ওর খেলার সময়। ওর সাথে অনেকক্ষন খেলা করতে হয়। তারপর এক সময় ক্লান্ত হয়ে সে ঘুমাতে চলে যায়। নেক্সাস আমাকে কামড় দেয় । আমার শরিরে এখন অনেক বিড়ালের কামড়ের দাগ আছে। আজ এই প্লেনে বসে নেক্সাসকে খুব মনে পড়ছে। এখন নিশ্চয় সে আমাকে খুজছে লেপের ভেতরে থাবা দিয়ে সরিয়ে। আমার তোষকের চারিপাশে অনেকবার পায়চারি করা হয়ে গেছে এ্যাতক্ষনে। খুব জোড়ে অনেকটা সময় ধরে সুর করে “মাউ” “মাউ” করে কান্নাও করবে সে আমি জানি। আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলে কান্না করে আর ফিরে এলে ঘরের দরোজার ভেতরে এসে অপেক্ষা করে। নেক্সাসের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাকে দেখে দেখে । এই রকম এক অভ্যাস হয়ে গেছে আমারও একা থেকে থেকে।

একা থাকা অনেক কস্টের। যেমন নেক্সাস কান্না করে তেমনি আমিও কান্না করি। তবে নেক্সাসের মত শব্দ করিনা। নিঃশব্দে আমি কাঁদি । শব্দ করে কান্না করা ভাল । তাতে চোখের জল দিয়ে দুঃখগুলো ঝরে যায় কিন্তু নিঃশব্দে কাঁদলে দুঃখগুলো নড়েচড়ে বসে আরো জুত করে । বাংলাদেশের উপনিবেশের ইতিহাসের মত দুঃখগুলো স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায়। একাকিত্বকে দখল করে রাখে নানা আকারের নানা প্রকারের দুঃখরা। এমন কোন কথা নেই যে একাকিত্ব ঘুচলেই দুঃখরা সব রাতারাতি বিদায় নেবে। সেটাই রুপকথাতে হয় । অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো শুধু রুপকথাতেই সম্ভব । একাকিত্বের অবসানে নতুন দুঃখের সূচনা হলেও হতে পারে। একেবারে খাটি সোনা বলে কিছু নেই আর একেবারে সুখি বলে কিছু নেই। জীবনে কিছু সুখের সাথে কিছু দুঃখ থাকতে হবে। আর এইসব দুঃখের পরেও বেচে থাকবে মানুষ সুখের আশায়। যদি শুধুই সুখ থাকে তাহলে কেউ আর সকালে ঘুম থেকে উঠবেনা , ছুটবেনা এখানে অখানে সুখের উপাচার কিনে আনবেনা, যোগ্য করে তুলবেনা সুখের উপাচার কেনার জন্য নিজেদের আর। এইসব ছুটাছুটি সব যাবে বন্ধ হয়ে চিরতরে যদি সব কিছু পাওয়া হয়ে যায়। তাই জীবন চলতে থাকে অনির্দিষ্ট গন্তব্যে। চলতে থেকে এই আশায় যে একদিন দেখা হবে সেই প্রত্যাশিত সুখের সাথে। জীবন চলতে থাকে এই আশায় যে একদিন অবসান হবে এই দুঃখের। আর সেই দুঃখ এমন আর কিসের দুঃখ – এই দুঃখে বুঝতে শেখায় অনেক কিছু ; চিনতে শেখায় অনেক চোখ, মুখ, নাক, অনেক ভাল মন্দ । তাই এই চলতে থাকা আর অবসাদ আর ক্লান্তি ধুয়ে মুছে নেবার প্রতিশ্রুতি দেয় সুখ প্রাপ্তির আশা । সব কিছুরই বিনিময় মূল্য আছে। ভালবাসার আর সুখের আর দুঃখের আর প্রতারনার।

আজকের আবহাওয়া খুব ভাল থাকবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে – একটু আগে এই উড়োজাহাজের কাপ্তান সাহেব ঘোষনা করলেন। আমাদের গন্তব্যে পৌছুতে লাগবে ছয় ঘন্টা। কানাডার ইমিগ্রেশন খুব সুন্দর। অমায়িক । কোন ঝামেলা নাই। বিলাতে গেলেই মহা ফ্যাসাদ। এক বিশাল লাইনে দাঁড়াও আসামীর মত। আর জবাবদিহির সন্মুখিন হও। তার কারন হলো সারা বিশ্বে বিলাতী সাহেবরা যে স্বৈরাচার চালিয়েছে, মানুষের মনে ভীতি স্থাপন করে সেই সব চোখে দেখেছে নিজেদের বীভৎস রুপ আর সেই কারনে সাহেবরা সর্বদা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অন্যের নিরাপত্তা ছিনিয়ে নিলে নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে সেই ফরমুলা তো বিলাতি সাহেবদেরই বানানো তাই ওরা জানে ফেলে আসা সন্ত্রাসের ছাপ চিনে চিনে একদিন পৌছে যাবে নিপীড়িত মানুষ আর এসে ছিড়ে ফেলবে সাহেবদের ঘাড়ের রগ । এইভাবে সন্ত্রাস ঘর বদল করবে যুগ যুগান্তরে। ভয় দেখিয়ে দেখিয়ে এক সমইয় ভয়ও বৃদ্ধ হয়ে যায় । ভয় ক্লান্ত হয়ে যায় । ভয়ও ভয় পেয়ে যায় ।

বিলাতে যেয়ে আবার আমাকে রান্না করতে হবে। তাই ভাবছি একটু চোখ বন্ধ করি। একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি । এই রাতে যদি না ঘুমিয়ে নেই তাহলে আর আগামিকাল বিকেল পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবোনা ।




৩ thoughts on “প্রতারণা চক্র -৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *