ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের যে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, তা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটি কূটকৌশল বলে মনে করছে বিএনপি। যে মামলাতে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সে মামালাটিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করে দলটি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ৩ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এরপর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন খোকার ওই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, উচ্চ আদালত সাদেক হোসেন খোকাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং বিনা বাধায় দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে খোকাকে পলাতক দেখিয়ে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তা ছিল আইন বর্হিভূত।
রিপন বলেন, দুদকের করা মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। আর এই মামলায় নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আইরানুগ হয়নি। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সরকার সাদেক হোসেন খোকাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে।
রিপন অভিযোগ করেন, সাদেক হোসেন খোকা পলাতক নন, তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই উচ্চ আদালতের রায় না মেনে নিম্ম আদালতে সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করাটাও ছিল অবৈধ। উচ্চ আদালত তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সময় বেধে দেয়নি। অথচ নিম্ম আদালত তাকে পলাতক দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকা যাতে রাজনীতি করতে না পারেন এই হীন প্রচেষ্টায় এ রায় দিয়েছেন আদালত। একতরফাভাবে মামলা চালিয়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে মামলা পরিচালনার সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার আইনজীবীরা আদালতে বলেছিলেন, ছয়মাসের সময় দিলে তিনি সুস্থ হয়ে মামলা পরিচালনা করবেন। আদালত সে আবেদন গ্রহন করেনি।
সাদেক হোসেন খোকার গুলশান বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুলশানে খোকার ৫ কাঠা জায়গা রয়েছে। আর এই জায়গা অবৈধ নয়। অথচ দুদক এই বাড়ি নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সাদেক হোসেন খোকাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার এটা একটি কূটকৌশল বলেও মন্তব্য করেন রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
Anwar Hossan liked this on Facebook.
Helal Ahmed liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Mahabub Rahaman liked this on Facebook.
C M Eaoyor Shaikh liked this on Facebook.
টিক বলেছেন
Imrul Kayes Emrul liked this on Facebook.
Ahad Khan liked this on Facebook.
Rafiqul Islam liked this on Facebook.