মেয়েরা স্বামীর কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেন

একটি পরিবার গড়ে ওঠে নারী পুরুষের ভালোবাসাকে উপজীব্য করে। তবে সংসার ভালোভাবে চলার জন্য একজন নারীর যেমন ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন, তেমনি পুরুষেরও হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলে না। একটা মেয়ে সব মা বাবার কাছেই রাজকন্যা, কিন্তু বিয়ের পর রাজকন্যা যে দাসী হয়ে পড়বে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই একটা মেয়ে যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসে তখন তার মনের মধ্যে স্বামীকে নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা কাজ করে। আসুন জেনে নেই মেয়েরা তাদের স্বামীর কাছে কোন পাঁচটি জিনিস প্রত্যাশা করে।

সম্মান প্রদর্শনের ক্ষমতা, সহানুভূতিশীলতা এবং সততা
মেয়ে মানুষ ঘরের অলংকার এবং এদের জন্মই হয়েছে ঘরের কাজের জন্য এ ধ্যান ধারণা অনেক পুরুষই পোষণ করে। কিন্তু মেয়েরা এ ধারনাকে ঘৃণা করে এবং তারা সবসময় স্বামীর কাছ থেকে সম্মান প্রত্যাশা করে। আর সম্মানের সাথেই যুক্ত থাকে সহানুভূতি। কাজে সবসময় সরাসরি সাহায্য না করেও একটু হাসিমুখে কথা বলেও সহানুভূতি প্রদর্শন করা যায়। মিথ্যা জিনিসটা মেয়েরা খুব অপছন্দ করে, কারণ মিথ্যা থেকে ভালো কিছু আসে না। তাই প্রত্যেক মেয়েই জীবনসঙ্গী নির্বাচনে সততাকে মূল্যায়ন করে থাকে।

যে হৃদয় ত্যাগ স্বীকারে বদ্ধপরিকর
ত্যাগী, দয়ালু পুরুষকে মেয়েরা অনেক বেশি পছন্দ করে। যে পুরুষ অন্যদের সাহায্য করে, দুস্থদের পাশে দাঁড়ায়, মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ভালো না বেসে উপায় থাকে না। আর যে মানুষটা বাইরের মানুষকে এত ভালোবাসে, ঘরের মানুষের জন্যও তার মমতার কমতি থাকবে না এটা সহজেই বোঝা যায়।

পরিবারের জন্য গভীরতম ভালবাসা
সব মানুষের কাছেই নিজের পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা মেয়েই চায় তার স্বামী তার পরিবারকে ভালবাসুক এবং প্রাপ্য সম্মান দিক। এটা আসলে কোন ভালোবাসার পাল্লা নয়, এটা মেয়েদের একটি সহজাত চাওয়া। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের পর একটা মেয়েকে নতুন পরিবেশে, নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু পুরুষকে তেমন কিছুই করতে হয় না। তাই সকল পুরুষেরই উচিত স্ত্রীর পরিবারকে সম্মান করা এবং মন থেকে ভালোবাসা।
ধৈর্যশক্তি
যখন কোন মেয়ে কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে, তখন মানুষটি ধৈর্যশীল কিনা এ ব্যাপারটি পরীক্ষা করে দেখে। কারণ সংসার সুখের জন্য ধৈর্য ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। সংসার কোন যুদ্ধক্ষেত্র নয় যে এক পক্ষ কথার ঝাঁপি খুললেই আর এক পক্ষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। সকল কঠিন মুহূর্তে এক পক্ষকে ধৈর্য ধরতেই হয়। আর যে সকল মেয়েরা একটু অস্থির প্রকৃতির এবং অল্পতেই উদ্বিগ্নতায় ভোগে তারা ধৈর্যশীল পুরুষকেই স্বামী হিসাবে চায়।

ক্যারিয়ার
অন্য সব বৈশিষ্ট্য এবং গুণের সাথে পতি সাহেবের ক্যারিয়ারটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারন অনেক ভালো গুণের অধিকারী পুরুষও যদি সারাদিন সিনেমা দেখে এবং পপকর্ন খায় তবে তার সংসার অচল হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা সংসারে স্বচ্ছলতা না থাকলে ভালোবাসাও পালিয়ে যায়। তাই মেয়েরা বিয়ের আগে ও পরে বারং বার তার স্বামীর ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে।

২ thoughts on “মেয়েরা স্বামীর কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেন

Leave a Reply to Abdul Mannan Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.