বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি গেছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি গেছে। চোরকে পুলিশে দেওয়া হয়নি। কারণ চোর টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে আর লিখিত জবানবন্দী দিয়েছে যে এর পরে সে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে আর টাকা চুরি করবেনা। এটা অনেকটা বাপের পকেট থেকে টাকা চুরি করার মত। কান ধরে বাপে একটু টেনে দিয়েছে। যাঃ দুষ্টু ছেলে – খবরদার আর বাপের পকেট থেকে টাকা চুরি করবেনা !! আসলে ঘটনা উলটা!! প্রভু এখন দাসের পকেট কেটেছে। ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসার দিপক চন্দ্র দাস বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি করেছে । টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্য তার বিরুদ্ধে কোন আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রভুরা দাসেদের পকেট কাটে – এই প্রথম শুনলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি করার সময় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারী দিপক চন্দ্র দাসকে ধরা হলেও চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দিপক চন্দ্র দাসকে চুরি করার সময়ে ধরা হয় তবুও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়না অথচ কোন অপরাধ না করেই হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশের জেল উপচে পড়ছে – এর চাইতে হাস্যকর ঘটনা কি হতে পারে?

দীপক চন্দ্র দাস মনে হয় বাংলাদেশের জামাই। জামাইয়ে চুরি করেছে কিছু বললে একটা লজ্বার ব্যাপার। দুর্ভাগ্যবশত দীপক চন্দ্র চোর যদি বিএনপি বা জামাতে ইসলামী করতো তাহলে চুরি না করলেও তার বিরুদ্ধে বিশ পচিশটা মামলা থাকতো । দীপক চন্দ্র দাস চুরি করা টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে এবং লিখিত জবানবন্দীতে বলেছে শশুরবাড়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি আবার আসে তাহলে ভোল্ট থেকে টাকা চুরি করার সময়ে শাশুড়িকে সামনে রাখবে।

একজন ভারতের নাগরিক কিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি করতে পারে? দিপক চন্দ্র দাস শুধু ভারতের নাগরিক নয়, সে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একজন অফিসার। তাহলে ধরে নিচ্ছি ভারতীয় নাগরিক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারী বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ভোল্ট খুলতে পারে বা খোলার অনুমতি আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মচারী কি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ভোল্ট খুলতে পারবে?

BSF-Killing-at-Indo-Bangla-Borderভারতের সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশী হত্যা করা হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিএসএফ গ্রামে প্রবেশ করে এবং খেয়াল খুশী মত ছেলেদের উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে নির্যাতন করে এবং পরে হত্যা করে খালে বা মাঠে ফেলে দেয়।

বাংলাদেশের তিনদিকে ভারতের সীমান্ত এখন কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। অথচ দীপক চন্দ্র চোরার জন্য বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ভোল্ট খোলা !!
ভারতের জন্য বাংলাদেশের পানি, আকাশ, বাতাস, পাতাল,মাটি, নারী, শিশু, বিদ্যুৎ, সুন্দরবন, সব দেওয়া হয়েছে এখন জানলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টও খুলে দেওয়া হয়েছে। চুরির অপরাধে দীপক চন্দ্র দাসের কিছু হয়না। ভারত কিন্তু বাংলাদেশীদের ছেড়ে দেয়না। নিচে একটি ভিডিও দেওয়া হলো । ভারতের বিএসএফ একজন বাংলাদেশীকে নির্যাতন করছে সম্ভবত গরু চুরির অপরাধে।

বাংলাদেশী এই ছেলেটি পরে মারা যায়

৬ thoughts on “বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা চুরি গেছে

Leave a Reply to Habebullah Misba Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.