সীমা ও লঙ্ঘনকারী

শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে কটুক্তি করলে বা কোন রকম বিরোধিতা করে লিখলে ধারা ৫৭ খাইতে হবে। কিন্তু শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যরা যেকোন বিষয়ে কটুক্তি করতে পারবে। যাকে খুশী তাকে ভুয়া মামলা দিয়ে জেলে ঢুকাতে পারবে।যাকে খুশী তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করাতে পারবে। যাকে খুশী তাকে যখন খুশী তখন গুলি করে হত্যা করতে পারবে। কোন অসুবিধা নাই। জেল ভেঙ্গে পড়ছে কয়েদির ঠেলায়। আর আদালত উপচে পড়ছে ভুয়া মামলা পাহাড়ে। শেখ মুজিবের নাতী তেলেপোকার উপরে “লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” লিখতে পারবে। তাতে কোন অসুবিধা নাই।

তাহলে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে কার উপদেশে মহানবী মোহাম্মদ সাঃ কে ব্যঙ্গ করে থাবা বাবা ব্লগ বানিয়েছিল । যারা জামাতে ইসলামের সদস্য তারা ছাড়াও বাংলাদেশে এবং সাড়া বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান বাস করে । আল্লাহ্‌ ও তার নবীর নাম তেলেপোকার উপরে লিখে শেখ মুজিবের নাতি নিজের মূর্খতা প্রমান করলো।

সকল সৃষ্টিই আল্লাহ্‌র। তেলেপোকাও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি। কিন্তু তেলেপোকা লিখতে পারেনা। বা কথা বলতে পারেনা। তেলেপোকা যদি লিখতে পারতো বা কথা বলতে পারতো তাহলে আমার মনে হয় সে শেখ মুজিবের নাতির চাইতেও উৎকৃষ্ট চিন্তাভাবনা করতে পারতো। শেখ মুজিবের নাতি সামান্য তেলেপোকার চাইতে নিকৃষ্ট। মানুষ তার কথাতে, কাজে, লেখাতে, অভিব্যক্তির মাধ্যমে তার উৎকৃষ্টতা প্রমান করে। সাড়া বিশ্ব রচনা করে আল্লাহ্‌ আরো একটি জিনিষ রেখেছনে মুমিনদের সামনে। তাহলো – চ্যালেঞ্জ। তা হলো বাঁধা। তা হলো শয়তান।

আল্লাহ্‌ শয়তানকে মুক্ত করে রেখেছেন। শয়তান ছিল আল্লাহ্‌র সবচাইতে প্রিয় ফেরেস্তা। শয়তান মানুষকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে সে আল্লাহ্‌র দিক থেকে মানুষকে দূরে রাখবে। আর আল্লাহ্‌ সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রেখেছেন — একদিকে সৃষ্টির সকল প্রানী অন্যদিকে শয়তান । একদিকে আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল অন্যদিকে শয়তান। এক দিকে বাধার প্রাচীর অন্যদিকে শক্তি, ঈমান, সত্য, নিষ্টা, কঠোর পরিশ্রম, ভালবাসা। আল্লাহ্‌কে যে ভালবাসে সে সকল বাঁধা অতিক্রম করে শয়তানকে পরাস্ত করে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পথে এগিয়ে চলে। শয়তান কিছু করতে পারেনা।

শেখ মুজিবের নাতির মূর্খতাতে উত্তেজিত হবার কিছু নেই। শয়তানে অনেক ভাবে মানূষকে উত্তেজিত করবে। মানুষকে ধ্বংস করার চেস্টা করবে। কিন্তু আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে। শয়তানের প্ররোচণাতে উত্তেজিত হলে চলবেনা। উত্তেজিত হলেই শয়তানে ধারা ৫৭ তে আটকে ধ্বংস করে দেবে সৃষ্টির সৌন্দর্য জীবনকে।

শয়তান আল্লাহ্‌কে অবমাননা করবে। নানা রকমের প্ররোচনা করবে। আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে আর মনে করতে হবে – একটি নিরীহ তেলেপোকা অনেক শক্তিশালী এখন সে আল্লাহ্‌ ও রাসুলের নাম ধরে রাখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ। এই সম্পর্কে সম্পুর্ন উদাসীন থেকে আমরা শয়তানকে পরাভূত করতে পারি।

লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
আল্লাহ্‌ মুসলিম উম্মাকে শয়তানের হাত থেকে দূরে রাখুন। আমীন।



৮ thoughts on “সীমা ও লঙ্ঘনকারী

Leave a Reply to Anamul Haque Feni Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.