লর্ডসে সেঞ্চুরির পর তামিম ইকবালের সেই ‘উড়ন্ত’ উদ্যাপনটা নিশ্চয় মনে আছে। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ বলতেই ওই ছবিটা মূর্ত হয়ে ওঠে মুহূর্তেই। ওটাই ছিল দুই দলের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ। সাদা পোশাকে আবারও দুদল মুখোমুখি হবে আগামী বছর। ২০১৬ সালের অক্টোবরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে ইংল্যান্ড।
২০০৩ সালের অক্টোবরের পর ইংল্যান্ড সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিল ২০১০ সালের মার্চে। এরপর একই বছর মে মাসে ইংল্যান্ডে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে পিঠাপিঠি দুটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশের সঙ্গে আর টেস্ট খেলেনি ইংলিশরা। এর মাঝে ওয়ানডে খেলেছে কেবল দুটি, ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে। দুটিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে ইংলিশরা।
অর্ধযুগ পর অনুষ্ঠেয় দুই দলের এ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে থাকছে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে। এ সিরিজ সম্প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছে ‘স্কাই স্পোর্টস’। আগামী বছর ইংলিশরা এলেও ইংল্যান্ডের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশকে খেলতে অপেক্ষা করতে হবে আরও চার বছর। সূচি অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে ইংল্যান্ডে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার সম্ভাবনা সামান্যই।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান অবশ্য ইংলিশদের দিকেই হেলে। ৮ টেস্টে প্রতিটি হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে পরিসংখ্যান তবুও কিছুটা স্বস্তিদায়ক, ১৬টির তিনটিতে জিতেছে লাল-সবুজের দল। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যেভাবে পারফর্ম করছে, তাতে অতীত পরিসংখ্যান ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল। আগামী বছরও একই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে ইংলিশদের বিপক্ষে পুরোনো রেকর্ডও বাধা হওয়ার কথা নয় মুশফিকদের।
তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান।
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Ðrêãm Wêãvêr Sûjõñ liked this on Facebook.
Sohel Khalasi liked this on Facebook.
MadZy Anik MoLlick liked this on Facebook.