অন্তর্দ্বন্দ্বে হাতিয়াছাড়া আওয়ামী লীগের এমপি!

প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস। এ কারণে এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আয়েশা ফেরদাউস অভিযোগ করেন, তাঁকে হেনস্তা করতে সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমকে ব্যবহার করছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নবম সংসদের স্বতন্ত্র এমপি ফজলুল আজিমের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর এভাবে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো মন নেই এমপিদের।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজ দলের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংসদ আয়েশা ফেরদাউস বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবহেলিত একটি পশ্চাৎপদ দ্বীপাঞ্চল। তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আলী নোয়াখালী-৬ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যাংকঋণের কারণে নির্বাচন করতে না পারায় তিনি নির্বাচন করেন। ওই সময় তাঁর বিরোধিতা করে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ফজলুল আজিম। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করে তাঁকে পরাজিত করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে তাঁর পক্ষেই রায় আসে। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচনে নোয়াখালী থেকে একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সংসদে এসেছেন। তখন থেকেই ফজলুল আজিম তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে নেমেছে।

আয়েশা ফেরদাউস আরো বলেন, ফজলুল আজিমের এ কাজের সহযোগিতা করছে নোয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তাঁর ছত্রছায়ায় ফজলুল আজিম তাঁর স্বামীকে ডাকাতদের গডফাদার বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ফজলুল আজিম নিজেই বিভিন্ন ডাকাতি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যায় জড়িত। একরামুল করিমের সহায়তায় ফজলুল আজিমের লোক দিয়ে এলাকার বহু নিরীহ নেতা কর্মীকে মামলা-হামলা করে বাড়িছাড়া করা হয়েছে। এখন তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও নানা রকম হুমকি ও হয়রানি করা হচ্ছে।

আয়েশা ফেরদাউস আরো বলেন, ‘ফজুলল আজিম একজন সাংবাদিক দিয়ে জাতীয় দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন ছাপিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, ‘দৈনিক যুগান্তরের নোয়াখালী প্রতিনিধি আমার সঙ্গে কথা না বলেই পত্রিকায় আমাকে কোড করে নিউজ করেছেন। যার প্রতিবাদ পাঠালেও তাঁরা প্রকাশ করেননি। ফজলুল আজিম ও একরামুল করিম চৌধুরী যৌথভাবে আমার এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভাগিদার হতে চায়। তারা কমিশন চায়, তা দেওয়া হয়নি বলেই আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।’

সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নোয়াখালীর এমন পরিস্থিতির বিষয়টি জানানো হয়েছে। সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর বিষয়টি দলীয় ফোরামে তোলা হলেও দলের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী কাছে সরাসরি জানানো হয়নি।

৬ thoughts on “অন্তর্দ্বন্দ্বে হাতিয়াছাড়া আওয়ামী লীগের এমপি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *