প্রতারণা চক্র-২

প্রতারণা চক্র-২
প্রতারকের নামঃ ফায়সাল মাহমুদ
প্রতারকের ঠিকানাঃ ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রতারকের কাজের ঠিকানাঃ মাহমুদ গ্রুপ
প্রতারকের কাজঃ দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যৌনকর্মী সরবরাহ করা
এই কাজে প্রতারককে সাহায্য করে তার
স্ত্রী শিমুল
ও স্ত্রীর বোন
সুইটি খান

এই মাসের প্রথম সপ্তাহ আমি তোমাকে ভালবাসবো। তারপরের সপ্তাহে আমি অন্য একজনকে ভালবাসবো। এইভাবে আমার পুরা মাস বুক আছে পাঁচ ছয়জনকে ভালবাসার। ভালবাসা এমনই আজকাল! দেশে পুরুষ কমে গেছে শুনেছো ? তাই পুরুষের খুব চাহিদা। মেয়ে বেড়ে গেছে সেজন্য মেয়েদের ভালবাসা এখন ভাগাভাগি করে মাসে মাত্র এক সপ্তাহ ভালবাসা মিলছে এক একজন মেয়ের ।

এই পরিসংখ্যানের সাথে জীবিত বা মৃত কোন মানুষের ভালবাসার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। ভালবাসা আসলে কি? যারা “ভালবাসা” কে ব্যবসায়ের পূঁজি হিসাবে ব্যবহার করে তারা আসলে কাপুরুষ বা অযোগ্য পুরুষ। নিজেদের টাকা কামায়ের যোগ্যতা নেই সেজন্য “ভালবাসি” বলে একজন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে। তারপর তার কস্টার্জিত টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যায় অন্য একজনের কাছে। এইভাবে সে টাকা উপার্জনের জন্য “ভালবাসা” শব্দের বিনিয়োগ করে।

এখানে “ভালবাসা” শব্দটি হৃদয় থেকে আসা কোন অনুভূতি নয়। এখানে “হৃদয়” অনুপস্থিত। এখানে শুধু কাগজের বদলে মাংসের লেনদেন । কসাই গরুকে ভালবাসেনা। গরুর নিরীহ চোখ কসাইয়ের মন গলাতে পারেনা। গরু নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারেনা সেটার সুযোগ নিয়েই কসাই গরু জবাই করে গরুর মাংস টুকরো করে বাজারে বিক্রি করে দেয়। বাজারে গরুর মাংসের চাহিদা আছে । গরুর নিরীহ চোখ বাজারে তার মাংসের চাহিদার কাছে হেরে যায়।

যেসব প্রতারক “ভালবাসা” শব্দের ব্যবসা করে তারা সবাই কসাই।
যেসব পুরুষ “যৌতুক” নিয়ে বিয়ে করা তারাও কসাই।
বিয়ের সাথে যেকোন আর্থিক লেনদেন থাকা মানেই সেটা বেশ্যাবৃত্তি । খোরমা বিতরণ করে মসজিদেও বিয়ে হতে পারে। বিয়েতে কারুকে দাওয়াত দেবার দরকার নেই। বিয়ে হয় একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্য। বিয়ের জন্য দরকার সাক্ষী ও আইন। আইনের জন্য ম্যারেজ রেজিস্টার আছে আর সাক্ষির জন্য রয়েছে মসজিদে নামাযে আসা মুসলমানেরা। মসজিদে খোরমা বিতরণের জন্য খোরমা খরচা আর ম্যারেজ রেজিস্টারের খরচা ছাড়া বিয়েতে আর কোন খরচা করা অযৌক্তিক।

শত শত মানুষ ডেকে তাদের খাইয়ে, হাজার হাজার টাকা খরচা করে বিয়ে করার পরে সেই বিয়ে ভেঙ্গে যেতে লাগে মাত্র দুই মিনিট যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্য ভালবাসা না থাকে। স্বামী যদি সেই কসাইয়ের মত “ভালবাসা” শব্দকে পূঁজি করে স্ত্রীর টাকা মারার জন্য বিয়ে করার মতলব করে তাহলে সেই বিয়েতে করা সব খরচাই হবে টাকাগুলো টয়লেটে ফেলে দিয়ে ফ্লাস করে দেওয়া।

আমাদের আজকের প্রতারক ফায়সাল মাহমুদ। ফায়সাল মাহমুদের কাজ হলো দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফাইভ স্টার হোটেলে যৌনকর্মী সরবরাহ করা। ফয়সাল মাহমুদ যখন ইলোরাকে বিয়ে করে তখন ইলোরা জানতোনা যে ফায়সাল মাহমুদ একজন প্রতারক, পুরুষ যৌনকর্মী ও যৌনকর্মীদের দালাল।

ফায়সাল মাহমুদকে ভালবাসে ইলোরা শহীদ।
ভালবেসে বিয়ে করে ফায়সালের হাতে উঠিয়ে দেয় তার কস্টার্জিত টাকা, ফ্লাট আর গাড়ীর চাবি। ফায়সাল মাহমুদ সেই টাকা নিয়ে ফুর্তি করে শিমুলের সাথে।
protarok1শিমুল আমেরিকাতে তার চাচাতো ভাই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে ফেসবুকে ফায়সাল মাহমুদের সাথে প্রেম করে। শিমুল খান ইলোরা শহীদের বান্ধবী ছিল। ইলোরা শহীদ তার স্বামী ফায়সাল মাহমুদের সাথে ফেসবুকে পরিচয় করিয়ে দেয় বান্ধবী শিমুলের।

ডিভোর্সের পরে শিমুল খান তার প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে প্রচুর টাকা পায় যা ছিল ফায়সাল মাহমুদের আকর্ষণ আর প্রেমের মূল কারণ। ফায়সাল মাহমুদ আর শিমুল খান প্রেম শুরু করে। ফায়সাল মাহমুদ স্ত্রী ইলোরা শহীদের অবর্তমানে ইলোরার ফ্লাটেই শিমুল খানের সাথে পরকীয়া প্রেম করে তিন বছর।protarok3 এই কাজে শিমুল খানের বোন সুইটি খান যিনি নাকি একজন প্রতিষ্টিত যৌনকর্মী সরবরাহকারী এজেন্ট তার বোনকে সাহায্য সহযোগীতা করে।

ইলোরা শহীদের ঘর ভেঙ্গে যায়। ইলোরা শহীদের দশ লাখ টাকা, ফ্লাট, ও গাড়ী নিয়ে ফায়সাল মাহমুদ শিমুল খানের সাথে চলে যায়। ইলোরা শহীদের করার কিছু থাকেনা। ফায়সাল ইলোরা শহীদের পরিবারকে হুমকি দেয়, ইলোরার প্রাণনাশের হুমকী দেয়, বদনাম করার হুমকী দেয়, ভয়ে ভয়ে ইলোরা শহীদ মুখ বন্ধ করে রাখে। ফায়সাল মাহমুদ ক্যাডার পালে। ইলোরা শহীদের জীবন এখন হুমকীর মুখে।

protarok2টাকা হারিয়ে, বাড়ী হারিয়ে, গাড়ী হারিয়ে, প্রাণনাশের হুমকীর ভয়ে ইলোরা শহীদ কোন শব্দ করতে পারেনা। প্রতারক ফায়সাল মাহমুদ তার স্ত্রী শিমুল খান ও শ্যালিকা সুইটি খানকে নিয়ে ঢাকা শহরের বুকে ইলোরা খানের টাকা, বাড়ী, গাড়ী ব্যবহার করে মহা আনন্দে বসবাস করছে। এই রকম প্রতারক বাংলাদেশে অনেক আছে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের সাথে অন্য একজন প্রতারকের নাম যুক্ত হলো – প্রতারক ফায়সাল মাহমুদ।

সুখের সংজ্ঞা কি? শিমুল খানের সাথে তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিল তিনি সুখি হতে পারেন নি। তালাক হয়ে গেছিল। তখন তিনি কেনো একজন বিবাহিত পুরুষের সাথে প্রেম করলেন? নিজের সংসার ভাঙ্গার ব্যাথা কি শিমুল খানের ভেতরে অনুভূত হয়নি? অন্যের সংসার ভেঙ্গে নিজের সংসার গড়ে কি শিমুল খান এখন সুখি হয়েছে? ইলোরা শহীদের সাথে সংসার ভেঙ্গে দিয়ে, ইলোরা শহীদের টাকা, বাড়ী, গাড়ী নিয়ে ফায়সাল মাহমুদ কি শিমুখ খানকে বিয়ে করতো যদি শিমুখ খান দরিদ্র হতো ? শিমুল খানের টাকার জন্যই ফায়সাল মাহমুদ ইলোরা শহীদের সাথে প্রতারণা করে। এখানে শুধু ইলোরা একা প্রতারিত হয়নি শিমুলও প্রতারিত হয়েছে। প্রতারক ফায়সাল মাহমুদ যদি আর একজন বিত্তশালী মহিলার খোঁজ পায় তাহলে ইলোরাকে যেমন পথে বসিয়ে ছেড়ে চলে গেছে তেমনি শিমুল খানকেও পথে বসিয়ে সেই মহিলার কাছে চলে যাবে। শিমুল খানেদের অভাব নেই। অন্যের সংসার ভেঙ্গে কেউ কি সুখী হতে পারে? টাকা কি কারুকে সুখী করে? টাকা তো কাগজ। একজন মানুষের মন ভেঙ্গে দিয়ে অন্য আর একজন মানুষের মন কি কেউ মেরামত করতে পারে? একজন অর্থলোভী প্রতারক যার কাছে ভালবাসার কোন মূল্য নেই, যার কাছে মনের কোন মুল্য নেই সে তো শুধু কাগজ ভালবাসে। সে তো পশুরও সমতুল্য নয়। পশুরাও ভালবাসে। কিন্তু অর্থলোভী প্রতারকের জীবন একটি কাগজের মত মূল্যহীন। তার মনে সুখ নেই দুঃখ নেই শুধু আছে টাকা মারার চিন্তা।

এই প্রতারক আপনার শহরেই বাস করছে । আমরা আশা করবো অনতিবিলম্বে ফায়সাল মাহমুদ ইলোরা শহীদের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির জন্য ত্রিশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে এবং সাথে ক্ষমা চাইবে।



৯ thoughts on “প্রতারণা চক্র-২

Leave a Reply to Ashik Khan Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.