হজ যাত্রীদের কান্না দেখার কেউ নেই

ই-হজ সিস্টেমে হজ ভিসা ইস্যুতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হওয়ায় সরকারী ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের হজ ফ্লাইট খালি যাচ্ছে। এতে বিমানকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। নির্ধারিত হজ ফ্লাইটে হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় হাজী ক্যাম্পে কোনো কোনো হজ এজেন্সির মালিকরা তোপের মুখে পড়ছে। অনেক এজেন্সির মক্কা-মদিনার বাড়ী ভাড়ার চুক্তিও বাতিল হচ্ছে। ভুক্তভোগী হজ এজেন্সি’র মালিক-প্রতিনিধিরা হজযাত্রীদের পাসপোর্ট দূতাবাসে পাঠিয়ে হাজী ক্যাম্প ও সউদী দূতাবাসের সামনে পাগলের ন্যায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। হজ ভিসা না পাওয়ায় বিমান ও সউদিয়া এয়ারলাইন্সের সাথেও টিকিট নিয়ে এজেন্সিগুলোকে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে।

হজ ভিসা না পাওয়ায় কোনো কোনো এজেন্সিকে সউদিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিটের লাখ লাখ টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। সউদী দূতাবাসে হজ ভিসা ইস্যু করতে গিয়ে হজযাত্রীদের ছবি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি দিন শত শত সরকার ও বেসরকারী হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে না। দূতাবাস থেকে সরকারী হজযাত্রীদের ভিসা না হওয়ায় গতকাল সকাল ৯টা ৫ মিনিটে (বিজি-৩০১৩ ) হজ ফ্লাইট ৪৪ সিট খালি নিয়েই জেদ্দায় পৌঁছেছে। এ হজ ফ্লাইটে ৪শ’ ১৯ জন ব্যালটী হজযাত্রীর জেদ্দায় যাওয়ার কথা ছিল। ভিসা না হওয়ায় ২৭৫জন ব্যালটী হজযাত্রী এবং ১শ’ জন বেসরকারী হজযাত্রী নিয়ে ফ্লাইটি জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করে। উল্লেখিত ১শ’ জন বেসরকারী হজযাত্রীকে খুঁজে সউদী পাঠাতেও বিমানের কর্মকর্তাদের হিসসিম খেতে হয়েছে। হাজী ক্যাম্পে কর্তব্যরত বিমানের একজন কর্মকর্তা এতথ্য জানান।

এর আগে রোববার বিমানের (বিজি-১০১১) ফ্লাইটেও ৪১৮ জন ব্যালটী হজযাত্রীর স্থলে ৭ জন কম নিয়েই জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করে। গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের বিমানের (বিজি-৩০১৫) হজ ফ্লাইটের ৪১৯জন যাত্রীর মধ্যে ১২৩ জন ব্যালটী হজযাত্রীর তালিকা নিয়ে বিমানের কর্মকর্তাদের চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাতে হয়েছে। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাজী ক্যাম্পে বিমানের হজ টিকিট সেলস-এর কর্মকর্তারা জানান, বাকি ব্যালটী যাত্রীদের ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট দূতাবাস থেকে আসলেই ফ্লাইট বুকিং-এর কাজ করতে হবে। আজ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিমানের (বিজি-৫০১৫) হজ ফ্লাইটে ৪১৯ জন বেসরকারী হজযাত্রীর জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকাত্যাগের কথা রয়েছে। এসব যাত্রীদের সকল ভিসা হয়েছে কিনা তা’ কেউ বলতে পারছে না। আজ বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে (বিজি-১০১৭) ফ্লাইটের ৪১৯ জন বেসরকারী যাত্রীর ভিসা সম্পর্কেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ রাত ১০টা ১৫ মিনিটে (বিজি-৩০১৭) ফ্লাইট যোগে ৪১৯ জন ব্যালটী যাত্রীর ভিসাও বিমানের হাতে পৌঁছেনি। এসব হজ ফ্লাইটে যথা সময়ে ছেড়ে যেতে পারবে কিনা তা’ কেউ জানাতে পারেনি। গতকাল রাত ৯টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-১০১৫) যোগে ৪১৭ জন বেসরকারী হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকাত্যাগ করেছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার আলাউদ্দিন এতথ্য জানিয়েছেন। হজ অফিসের আইটি বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ কবির আল-মামুন জানান, হজ ভিসা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে গতকাল একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও সহজে হজ ভিসা সরবরাহের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

হজ অফিসের পরিচালক হজ (উপ-সচিব) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল গতকাল সউদী দূতাবাসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে হজ ভিসা ইস্যু নিয়ে সৃষ্ট সংকট দ্রুত নিরসনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। যথা সময়ে ভিসা না পাওয়ায় বিমানের হজ ফ্লাইট খালি যাওয়ার বিষয়টিও পরিচালক হজ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন। হজ ভিসা না পাওয়ায় নির্ধারিত হজ ফ্লাইটে হজে যেতে না পেরে হাজী ক্যাম্পের ডরমেটরীতে অপেক্ষমান হজযাত্রীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়েছে। দূতাবাস থেকে কেন ভিসা হচ্ছে না তা’ অবগত হবার জন্য হতাশাগ্রস্ত হজযাত্রীরা দফায় দফায় হজ অফিসের রুমে রুমে গিয়েও কোনো সদুত্তর পাচ্ছে না। গ্রামের বাড়ী থেকে এক সাথে বিদায় নিয়ে আসা এসব হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের হজ ভিসা হচ্ছে তারা সউদীর উদ্দেশে ঢাকাত্যাগ করছেন। সহযাত্রীদের হজ ফ্লাইট হওয়ায় অন্য যাত্রীরা যেতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। অপেক্ষমান এসব আল্লাহর মেহমানগণের কেউ কেউ হজ ভিসা দ্রুত হাতে পেতে মহান আল্লাহ’র কাছে নফল রোজার নিয়ত করছেন।

গতকাল সোমবার আশকোণাস্থ হাজী ক্যাম্পে সরেজমিনে গিয়ে ডরমেটরীতে অবস্থানরত হতাশাগ্রস্ত হজযাত্রীদের সাথে আলাপকালে এতথ্য জানা গেছে। হজ ভিসা যথা সময়ে না পাওয়ায় হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠাতে পারছে না বেসরকারী হজ এজেন্সিগুলো। ফলে ফেতরা পদ্ধতির হজযাত্রীদের মক্কা-মদিনায় বাড়ী ভাড়ার চুক্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এতে এজেন্সিগুলোকে মোটা অংকের অর্থ গচ্চা দিতে হবে। ভিসা ইস্যুর বিড়ম্বনায় পড়ে কোনো কোনো মহিলা হজযাত্রীর ভিসা হলেও তার স্বামীর (মাহরাম) ভিসা পাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে তাদের ফ্লাইট নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়েও অপেক্ষমান হজযাত্রী ও হজ এজেন্সির মালিক-প্রতিনিধিদের মধ্যে অহরহ বচসা হচ্ছে। হজ ভিসা না পাওয়া অনেক এজেন্সির মালিক হাজী ক্যাম্পেও হজযাত্রীদের তোপের মুখে পড়ছেন।

সউদী সরকার হাজীদের সেবার মান বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই চলতি বছর সম্পূর্ণ ই-হজ পদ্ধতিতে হজ ভিসা চালু করেছে। যার সাথে যেমন নিজেরা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না তেমনি বাংলাদেশে সউদী দূতাবাস এবং বাংলাদেশ হজ অফিসের আইটি বিভাগে যথাযথ তথ্য সরবরাহ ও সমন্বয় করে উঠতে পারেনি। ভিসা লজমেন্টের ক্ষেত্রে অন্যান্য বছর ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস থেকে সরবরাহকৃত তথ্য অনুযায়ী ছবির মাপ থাকতো সর্বোচ্চ ৮ কেবি। সেই নিয়মে প্রতিবছর ভিসা লজমেন্ট করে হজ এজেন্সিগুলো অতি সহজেই ভিসা পেয়ে গেছে। কিন্তু এবার ভিসা লজমেন্ট করতে হয়েছে সউদী ওজারাতুল হজ বা হজ মিনিস্ট্রির ওয়েবসাইটে যেখানে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, ট্রান্সপোর্ট বুকিং, ক্যাটেরিং সার্ভিস, ফ্লাইট কনফারমেশনসহ সকল তথ্য দেয়া থাকে। হজ এজেন্সির মালিকরা জানান, এই ওয়েবসাইটে যে নির্দেশনা আজ পর্যন্ত প্রদর্শিত হচ্ছে সেখানে হজযাত্রীর ছবি সর্বোচ্চ ৫০ কেবি পর্যন্ত গ্রহণ করবে বলে বলা হয়েছে। এর অধিক বড় হলে তা ওয়েবসাইটে গ্রহণ করে না।

এদিকে পাসপোর্ট স্ক্যানিংসহ ভিসা লজমেন্টের শুরুর দিকে আশকোনা হজ ক্যাম্পের আইটি সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা জানান, যেহেতু ৫০ কেবি পর্যন্ত ছবি গ্রহণ করবে সেহেতু দ্রুত কাজ করার স্বার্থে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় দেয়া ছবি ডাইনলোড করে ছবি ভিসা লজমেন্টে ব্যবহার করতে পারেন। এরকম পরামর্শ গ্রহণ করতে গিয়েই মূলত হজ এজেন্সিগুলো পড়ে বিপাকে। এ থেকে বাদ যায়নি সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরাও। কারণ, যেসব আইটি কর্মী সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ভিসা লজমেন্ট করেছেন তারাই পরে বেসরকারি এজেন্সিগুলোকে তাদের পদ্ধতিতেই ভিসা লজমেন্ট করার পরামর্শ দেন।

ওদিকে অনেক হজ এজেন্সি ভিসা লজমেন্টসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও হজ অফিস থেকে বিলম্বে ডিও লেটার ইস্যুর কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছে। হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে বলা হয়, ডিও লেটার ইস্যুর জন্য হজ অফিস প্রস্তুত। কিন্তু অনেক এজেন্সি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডিও লেটারের জন্য হজ অফিসে গেলে বলা হয়, আপনাদের ফ্লাইট কয়েক দিন পর, তাই আপনাদের ডিও লেটার পরে দেয়া হবে। একাধিক হজ এজেন্সির মালিক জানান, শেষ মুহূর্তে ডিও লেটার পেয়ে পাসপোর্ট দূতাবাসে গেলেও তারা এখন বিমান টিকেট নিয়ে পড়েছেন নতুন বিড়ম্বনায়। নির্দিষ্ট দামের চেয়েও বেশি টিকিট ফি আগাম পরিশোধ করে বুকিং দেয়া থাকলেও ভিসা অনিশ্চয়তা তাদের বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে। টিকেট এজেন্টদের ওপর বিমান বা সাউদিয়া এয়ারলাইন্স থেকে প্রচ- চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। হয় টিকেট ইস্যু করে নিন বা ছেড়ে দিন।

হজ এজেন্সি মালিকরা আরো জানান, সউদী আরবে ঘর ভাড়ার ওপর ভিত্তি করে তারা বিমান টিকেটের টাকা আগাম পরিশোধ করে বুকিং দিয়ে রেখেছেন, ভিসা জটিলতায় টিকিট বাতিল হলে একদিকে কবে নতুন করে ফ্লাইটের তারিখ পাওয়া যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তেমনি ঘর ভাড়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে অধিক সময় সউদীতে অবস্থানের জন্য নতুন ঘর ভাড়া করা, সেই ভাড়ার স্থান ওজারাতুল হজের সিস্টেমে প্রবেশ করানো নিয়ে পড়বেন নতুন বিড়ম্বনায়। অপর দিকে প্রতিদিন যেসব হজযাত্রীর ফ্লাইট ঘনিয়ে এসেছে তাদের কাছ থেকে এবং তাদের অনেক নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে প্রতিটি মুহূর্তে মুহুর্মুহূ ফোন আসায় এজেন্সি মালিকরা মানসিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। অনেকেই এতটা চাপে রয়েছে যে, হজযাত্রীদের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় তারা কখনও কখনও দীর্ঘ সময় ফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে হজযাত্রীদের সাথে তাদের বাকবিত-া তিক্ততার পর্যায়েও চলে যাচ্ছে বলে জানালেন একাধিক হজ্জ এজেন্সি মালিক।

মাবরুর এয়ার ট্রাভেলসের (৯৭৪)-এর স্বত্বাধিকারী এইচ এম হানজালা গতকাল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, পরিচালক হজ আমার ২শ’ ৯২ জন হজযাত্রীর ডিও লেটার ইস্যুর স্থলে ভূল করে ২শ’ ৯৭ জনের ডিও লেটারসহ পাসপোর্ট দূতাবাসে পাঠায়। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হজ অফিসের ভুলের ডিও লেটারসহ ভিসা ইস্যু না করে পাসপোর্ট হাজী ক্যাম্পে ফেরত পাঠায়। এতে গত ১৬ আগস্ট সাউদিয়া এয়ারলাইন্স যোগে ১শ’ ৭৪জন হজযাত্রীকে সউদী আরবে পাঠানোর কথা ছিল। এইচ এম হানজালা বলেন, পরিচালক হজ ড. আবু সালেহকে বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি ডিও লেটার সংশোধন করে পুনরায় উল্লেখিত পাসপোর্ট যথা সময়ে দূতাবাসে পাঠাননি। এতে বর্তমানে যথাসময়ে ভিসা না পাওয়ায় মাবরুর এয়ার ট্রাভেলসের সাউদিয়ার সিট নিয়ে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

যথা সময়ে হজ ভিসা হাতে না পাওয়ায় বুলবুলি হজ ট্রাভেলস (১৪০৩)-এর ২৩ জন হজযাত্রী গত ১৪ আগস্ট থেকে হাজী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। যশোরের হজযাত্রী বজলুর রহমান মাস্টার, নূরুল হক ও তার স্ত্রী গুলশানারা বেগম, রবিউল বিশ্বাস, আব্দুর রব ও তার স্ত্রী কোহিনূর গতকাল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ভিসা না হওয়ায় গত ১৬ আগস্ট আমাদের হজে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ঠাকুরগাও-এর সরকারী হজযাত্রী আব্দুর রায়হান, দারাব উদ্দিন খান মোহাম্মদ বলেন, ভিসা না হওয়ায় আমরা চরম হতাশার মধ্যে চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। রাত ১০টায় হজ অফিসের আইটির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কবির আল-মামুন জানান, সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাদের আইটি সিস্টেম আপগ্রেড করেছে। এ ব্যাপারে আমরাও দূতাবাসকে সহায়তা করেছি। ভিসা ইস্যু নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরকারি ২৫শ’ হজযাত্রীর ভিসা হাতে পাওয়া গেছে।

এআর

২ thoughts on “হজ যাত্রীদের কান্না দেখার কেউ নেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *