খরায় পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আমন ক্ষেত

অতিবর্ষণে যখন দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল প্লাবিত, ঠিক তখন রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁওসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলছে খরা। মেঘের আনাগোনা দেখা গেলেও বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টির অভাবে কাঠ ফাঁটা রোদে চৌচির হয়েছে আমন ধান ক্ষেত। সেচ দিয়েও কুলাতে পারছে না কৃষক।

জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রচন্ড দাবদাহ শুরু হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলায়। মেঘ নেই আকাশে। বৃষ্টিপাতের অভাবে আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে খাল-বিল-নদী নালার পানি।

বৃহস্পতিবার ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। অসহনীয় তাপমাত্রায় জনজীবন ও প্রাণীকুল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সদ্য রোপনকৃত ধান ক্ষেত বাঁচাতে সেচ দিচ্ছে কৃষক।

সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী (৬২) জানান, তিনি পানির অভাবে ধান রোপন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, বোরো ধানের দাম না পাওয়ায় তার উৎপাদন খরচ উঠেনি। ক্ষতিতে পরায় সেচ দিয়ে আমন ধানের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না তার। একই সুরে বললেন কৃষক ইসাহাক আলী (৫৮)।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার হেক্টরে। কিন্তু বেসরকারি হিসাব মতে শতকরা ৪০ ভাগ জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বৃষ্টির অভাবে আমন চাষ এখন থেমে গেছে।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আরশেদ আলী জানান এলাকার রোপনকৃত ধানক্ষেত টেকাতে গভীর ও অগভীর ২ হাজার ১৫৩টি নলকূপ চালু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনও সময় আছে আমন ধান রোপনের। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে এবার আমন উৎপাদনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

৯ thoughts on “খরায় পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আমন ক্ষেত

Leave a Reply to Hapej Salahuddi St Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.