রাজন হত্যা মামলা: আরও দুইজনের স্বীকারোক্তি

সিলেটে চোর অপবাদে পিটিয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে হত্যার ঘটনায় নির্যাতনের ভিডিও ধারনকারী নূর মিয়া, নির্যাতনকারী দুলাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩-এর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন তারা। সিলেট কোর্ট থানার পরিদর্শক আবদুল আহাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩-এর বিচারক আনোয়ারুল হক তাদের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই স্বীকারোক্তি দেয় তারা।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার নূর ও দুলালকে আদালতে উপস্থিত করেন। জবানবন্দী রেকর্ড শেষে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশু রাজনকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনার একই আদালতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সোমবার চৌকিদার ময়না মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। এ মামলায় এর আগে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।

গত ৮ জুলাই সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নির্যাতন করে শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। এরপর দুপুর ১টার দিকে মাইক্রোবাসে তার মৃতদেহ গুম করার চেষ্টাকালে নগরীর কুমারগাঁও এলাকায় গাড়িসহ মুহিতকে আটক করে এলাকাবাসী।

পরে রাজনের বাবা গাড়িচালক আজিজুর রহমান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃতদেহের শরীরে ৬৪টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় করা মামলার আসামি মুহিতের ভাই কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে আটক হন। এছাড়া মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও দুই প্রত্যক্ষদর্শীসহ এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

৫ thoughts on “রাজন হত্যা মামলা: আরও দুইজনের স্বীকারোক্তি

Leave a Reply to Ali Esa Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.