সিরাজগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হয়েছে।
রোববার ভোর ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মূলিবাড়ি এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে রংপুরগামী সাব্বির হোসেন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী আজাদ পরিবহনের আরেকটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও পরে হাসপাতালে মারা যান দুজন। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো একজন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ‘সাব্বির পরিবহনের বাসটি উল্টো দিকে দিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে। পুলিশ বাস দুটি আটক করেছে।’
নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, আজাদ পরিবহনের বাসটির চালক গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের শাজা প্রধানের ছেলে মেনহাজ প্রধান (২৮), একই উপজেলার মোহাদিপুর গ্রামের বাবু মিয়ার ছেলে লিটন (৪২), দুবলাগাড়ি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিলন (২২), আমিনুল ইসলাম (২৫), গাইবান্ধা সদরের আফসার মাষ্টারের সবুজ (২০), বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার চামুর গ্রামের হাবিব তালুকদারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪৬), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মনমতপুর কৈপতপাড়ার কার্তিকের ছেলে চান বাবু, (২২), চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ণতী গ্রামের আসিনাত রায়ের ছেলে বিপ্লব (২৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পোড়াচাকলা কাশিমপুরের মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (২০),বদরগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (১৯), রংপুরের পীরগাছার আবদুল কারী (৪৫), মফিজুর রহমান (৫৪), মাহবুব (৪১) রুস্তম কারী ও বগুড়া শিবগঞ্জের আবদুস সালাম (৪৯)।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন দেবপ্রদ রায় বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ৩৬ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৪ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নেয়ার পথে মৌসুমী খাতুন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত আরেকজনের মৃত্যু হয়। তাদের মৃতদেহ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহ পরিবহনের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে। আহতরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় সে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।’
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন তালুকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেনজন চাম্বু গং, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আশরাফ উজ্জামান।
Valueless Jewel liked this on Facebook.
শান্তি অশান্তি liked this on Facebook.
আমি একটু এরকমই liked this on Facebook.
Jashim Uddin liked this on Facebook.
Rasidul Hassan liked this on Facebook.
Delwar Hossain liked this on Facebook.
Shetol Porosh Sak liked this on Facebook.
Shajahan Mohammed liked this on Facebook.
Saleh Ahmed liked this on Facebook.
Abdul Hai liked this on Facebook.
Aman Ullah liked this on Facebook.
Hossain Shahid Sarwardy liked this on Facebook.
Bilal Hasan liked this on Facebook.
Md Sumon liked this on Facebook.
Omar Faruk liked this on Facebook.