আশরাফের চেয়ারে মোশাররফ

ঢাকা: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন নতুন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আসেন।

এসময় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক এবং সমবায় বিভাগের সচিব এমএ কাদের সরকার মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর নিজ আসনে বসে মন্ত্রী তার দায়িত্ব বুঝে নেন। কিছুদিন আগেও যে চেয়ারে বসতেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রতিমিন্ত্রী ও দুই সচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।

দায়িত্ব নেয়ার আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সৈয়দ আশরাফের বেইলি বোডের বাসায় যান। সেখানে তারা ১৫ মিনিটের মতো একান্তে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমার সঙ্গে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমরা একই দল করি, একই সঙ্গে সংসদে বসি। আমার পক্ষ থেকে তার প্রতি সব সময়ই সহযোগিতা থাকবে।’

দায়িত্বগ্রহণের পর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। পাঁচ বছর আগে ৮ হাজার কোটি টাকার কাজ হতো এখন ১৮ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং কাজ করতে কোন সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এ মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞাতা, মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞত এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমেএকটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাব।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মত লোককে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন এতে আমি ভাগ্যবান। যাতে আমি এ দায়িত্ব পালন করতে পারি আপনারা সহযোগিতা করবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৩ সালে আমি এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রথমে খুলনায় জয়েন্ট করি। ৪-৫ মাসের মধ্যে আমি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হই। তখন এ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ছিল।

তিনি আরও বলেন, দেশের ৮০-৮৫ ভাগ লোক পল্লীতে বাস করে। তাই পল্লী ছাড়া রুপকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ২০২১ সালে মধ্যম এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে যাওয়ার জন্যে পল্লী উন্নয়ন দরকার। আর পল্লী উন্নয়ন করতে হলে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অপরিসীম। তাই এ মন্ত্রণালয় যত তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারবে ততই দেশ উ্ন্নত হবে এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবো।

মন্ত্রণালয়ে আসার আগে সৈয়দ আশরাফের বাসায় কী কথা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উনি আমার সেনারেল সেক্রেটারি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য অনুমতি নিতে উনার বাসায় গিয়েছিলাম ।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দ আশরাফকে সরিয়ে দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর রুল ৩ (৪)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালায়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলমাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।

২ thoughts on “আশরাফের চেয়ারে মোশাররফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *