দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি২০-তে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৫২ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার তোলা ১৪৮ রানের জবাবে ১৮.৫ ওভারে ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
রোববার দুপুর ১টায় ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তোলে সফরকারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া রাইলি রুশো করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে আরাফাত সানি ১৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান ২৪ রানের বিনিময়ে ১টি ও নাসির হোসেন ৩৭ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন।
১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কাইল অ্যাবোটের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তিনি করেন ৫ রান।
পরেই ওভারেই সৌম্য আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। রাবাদার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে সৌম্য করেন ৭ রান।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব ও মুশফিক দলীয় সংগ্রহে ৩৭ রান যোগ করেন। অষ্টম ওভারে দলীয় ৫০ রানে মুশফিকুর রহিমকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে জুটি ভাঙেন জেপি ডুমিনি। ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মুশফিক করেন ১৭ রান।
ইনিংসের দশম ওভারে দলীয় ৫৬ রানে সাব্বির রহমান আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। ডুমিনির করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সাব্বির করেন ৪ রান।
পরের ওভারেই নাসির হোসেন আউট হয়ে গেলে স্বাগতিকদের পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। ফাঙ্গিসোর করা একাদশ ওভারের প্রথম বলে রাইলি রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে নাসির করেন ১ রান।
এরপর চতুর্দশ ওভারে দলীয় ৭১ রানে সাকিব বিদায় নিলে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। ওয়াইসের বলে পারনেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সাকিব করেন ২৬ রান।
রাবাডার করা পরের ওভারের শেষ বলে ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাশরাফি। এতে দলীয় ৮৬ রানে স্বাগতিকদের সপ্তম উইকেটের পতন হন। সাজঘরে ফেরার আগে মাশরাফি করেন ৫ রান।
এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে সোহাগ গাজী রান আউটে কাটা পড়লে বাংলাদেশের অষ্টম উইকেটের পতন হয়। গাজী করেন ৩ রান।
ওয়াইজের করা একই ওভারের তৃতীয় বলে ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচি দিয়ে লিটন দাস ফিরে গেলে স্বাগতিকদের নবম উইকেটের পতন হয়। লিটন করেন ২২ রান।
এরপর পারনেলের করা ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজুর রহমান বোল্ড হয়ে গেলে ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।