ঢাকা: করণ-অর্জুনের ভাব হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু ভক্তদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগেই আছে। আর তাই ভক্তদের টুইট-যুদ্ধ থামাতে তাই মাঠে নামলেন সল্লুভাই নিজেই।
একটা-দুটো নয়, পর পর ২৪টি টুইট! লিখেছেন, ‘শাহরুখ-আমির আমার বন্ধু। চুলোয় যাক এসব ১, ২, ৩ নম্বরের খেলা।’
হুমকিও দিয়েছেন ভক্তদের। কারও যদি এই সহজ সরল বন্ধুত্ব পছন্দ না হয়, তা হলে নেট-দুনিয়া ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন তিনি।
পুরনো ঝগড়া মিটে গিয়ে বলিউডের খান ভাইয়েরা যে এখন বন্ধু, তার প্রমাণ মিলেছিল আগেই। কখনও তাঁদের দেখা মিলেছিল ইফতার পার্টিতে। কখনও আবার সালমানের বোন অর্পিতার বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা মিলেছিল বাদশার।
এমনকী, সল্লুভাইয়ের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার আগের দিনই শাহরুখ পৌঁছে যান সালমানের গ্যালাক্সিতে। ওই সময়ে সল্লুভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন আমিরও।
আর সবশেষে সালমানের আসন্ন ছবি ‘বজরঙ্গি ভাই’-এর ফার্স্ট লুক রিটুইট করে চমকে দিয়েছিলেন বাদশা। লিখেছিলেন, ‘হিরো হওয়ার চেয়ে ভাই হওয়াই ভাল।’
তবু খানভাইদের নিয়ে জল্পনা থামেনি এতুটুকু। ঝগড়া থামেনি ভক্তকুলেও। সেই কবে ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে দুই খানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রেগেমেগে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কিং খান। সে দিনের কথা ধরে বসে আছেন অনেকেই।
সল্লু মিঞা টুইট করে জানালেন, ‘বছরের পর বছর হিরোদের মধ্যে মারামারি করতে করতে ক্লান্ত।’
ফের লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে এসব? ভালবাসায় এত ঘৃণা কেন?’
তোপ দেগেছেন ঠিক তার পরই, ‘এসব চলতে থাকলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ছেড়ে বেরিয়ে যাব আমি।’
ভাইয়ের স্টাইলেই লিখেছেন, ‘ব্যস খাল্লাস। খতম।’
লিখেছেন, শাহরুখ-আমিরও এসব মোটে পছন্দ করেন না। এসআরকে ও আমির আমার বন্ধু। চুলোয় যাক আপনাদের ১, ২, ৩ নম্বর দেওয়া…। কিছু বুঝেছেন?
নিজে ২৪টি ইট করলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, টুইট করা তাঁর একেবারে পছন্দ নয়। ছুড়ে দিয়েছেন প্রশ্ন, ‘আপনারা এত সময় পান কী ভাবে? সময় নষ্ট করবেন না। আমি খুব খুশি হব, কেউ যদি আমায় ফলো-ই না করেন।’
‘বাদশা’ বড়, না ‘ভাই’, নাকি বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’— ভক্তদের টুইট-যুদ্ধ এ বার থামে নাকি দেখার। সালমান কিন্তু উত্তরের অপেক্ষায়। স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভেবে-চিন্তে জবাব দেবেন। তার পর ভেবে দেখব, এখানে থাকব, কি না।’