২০১৬ সালে মধ্যবর্তী নির্বাচন!

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের অন্যতম অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান। বিএনপির এই অন্যতম নীতি-নির্ধারক দেশের একটি অন লাইন পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন দলের পুনর্গঠন, আন্দোলন পরবর্তী ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। এগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়েও কথা বলেছেনদ আযম খান।

তিন মাস সরকার বিরোধী আন্দোলনের পর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এসে বিএনপির অর্জন কী?
বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার নাশকতা ও জঙ্গিবাদের আন্দোলন হিসাবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সরকারের এই অপচেষ্টাকে বিএনপি সফল হতে দেয়নি। আর এই নির্বাচনে বিএনপির অর্জনগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। এই অর্জনগুলো হলো: বিএনপি প্রমাণ করেছে, এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনতো দূরের কথা স্থানীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হতে পারে না এবং দেশের জনগণ বিএনপির পক্ষে।

আপনি বলছেন দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তাহলে কি ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না?
আওয়ামী লীগ সরকার যদি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করে তাহলে এটা হবে সবচেয়ে বড় একটা বিস্ময় ঘটনা। কারণ ২০১৯ পর্যন্ত সরকার নিজেদেরকে নিজেরাই ক্ষমতায় রাখতে চায় না। তাই এটা স্পষ্টভাবে বলা যায়, আগামী বছরের প্রথম বা শেষ দেখে বাংলাদেশে একটি মধবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কোন সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তা ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সাল আমাদের ভবিষ্যৎ বলে দেবে। আর এর উত্তর খোঁজার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কারণ শেষ কথা বলে কিছু নেই।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে কবে নাগাদ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা কারাগারে রয়েছেন। আর তারা সবাই দল পুনর্গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাই তারা কারামুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পুনর্গঠন সম্ভব নয়।

আপনি বলছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপস্থিতিতে পুনর্গঠন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা কী হতে পারে?
কাউন্সিল ব্যাতীত দল পুনর্গঠন হতে পারে। তবে সেটা করতে হবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। আর গণতন্ত্র অনুযায়ী এই ক্ষমতা একমাত্র বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া হয়েছে। তাই তিনি ইচ্ছা করলেই সম্মেলন ছাড়া দল পুনর্গঠন করতে পারবেন।

তাহলে দল পুনর্গঠন কীভাবে করা হবে, জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে না কি বেগম খালেদা জিয়ার একক সিদ্ধান্তে?
অবশ্যই জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দল পুনর্গঠন করা হবে। তবে গঠনতন্ত্রে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা দেয়া আছে। তাই এক্ষেত্রে বেগম জিয়া যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে।

বিএনপি যদি আবারও আন্দোলন শুরু করে তাহলে আন্দোলনের ধারা কী হবে, আগের মতই কি জ্বালাও-পোড়াও নাকি ইস্যুভিত্তিক?
বিএনপি নাশকতা এবং জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে বিশ্বাস করে না। বিএনপিকে নাশকতা ও জঙ্গিবাদের দল হিসাবে চিহ্নিত করতেই সরকার দলীয় সমর্থকরা এই অপপ্রচার চালিয়েছে। কারণ বিএনপির আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আর আগামী দিনেও এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা একই থাকবে।

আতিক/প্রবাস

১৫ thoughts on “২০১৬ সালে মধ্যবর্তী নির্বাচন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *