এক টুকরা বরফেই সেরে যাবে সব রোগ!

মাথা এবং ঘাড়ের যেখানে সংযোগস্থল, ঠিক সেই বিন্দুতে দিনে মিনিট কুড়ি যদি এক টুকরো বরফ চেপে রাখেন তাহলে শরীরের একাধিক রোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। একেবারে তুকতাক নয়। এর পিছনে খাঁটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। বিশেষত চীনে ব্যবহৃত আকুপাঙ্কচার পদ্ধতিতে যেভাবে চিকিৎসা করা হয়, তার সঙ্গে এর বিশেষ মিল রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে।

মেরুদণ্ড এবং মাথার খুলির সংযোগস্থলে হয়েছে ভার্টিব্রা বা সুশুন্মাকান্ড। যেখান থেকে শরীরের সমস্ত নার্ভ বা স্নায়ুগুলি মস্তিষ্কের সঙ্গে গিয়ে মিলেছে। সেই অংশটিতেই এক টুকরো বরফ চেপে রাখতে হবে। প্রথমে হয়তো একটু ঠান্ডা লাগবে, কিন্তু ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে তা সয়ে যাবে এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে একটু গরমভাব অনুভব করবেন। এটা দেহের সমস্ত স্নায়ুকে চাপমুক্ত করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে এন্ডরফিন বা যাকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয় তা নির্গত হয়ে রক্তে মেশে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কী হয়? এর একা লম্বা তালিকা রয়েছে। নিজেরাই দেখে নিন এই ছোট্ট পদ্ধতিতে দেহের কী কী রোগমুক্তি ঘটে –

১) ঘুম ভালো হবে
২) হজমশক্তি বাড়বে
৩) যাঁদের ঘনঘন ঠান্ডা লাগার বাতিক রয়েছে তারাও এর থেকে রেহাই পাবেন
৪) গাটের ব্যাথা, দাঁত এবং মাথা ব্যাথার সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যাবে
৫) নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ভালো হবে, হার্টের ব্যারাম দূরে থাকবে
৬) নার্ভের সমস্যা থাকলে তার থেকেও আরাম পাওয়া যাবে
৭) যৌনরোগ এবং গ্যাস্ট্রোর সমস্যা থাকলে তার থেকেও রেহাই মিলবে
৮) থাইরয়েডের সমস্যা কমিয়ে দেবে
৯) হাইপার টেনশন, আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
১০) হাঁপানি দূরে থাকবে
১১) পুষ্টির অভাব বা অতিরিক্ত চর্বির সমস্যা থাকলেও তা কমাতে সাহায্য করে
১২) সেলুলাইট নষ্ট করে
১৩) মহিলাদের মাসিকের সমস্যা বা সন্তানধারণের অক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে
১৪) স্ট্রেস, ইনসমনিয়া, ক্লান্তির ভাব এবং সাইকো-ইমোশনাল ডিনঅর্ডার কাটাতে সাহায্য করে
যদি কেউ মনে করেন, এটা রোগের ওষুধ তা কিন্তু নয়। আসলে এই পদ্ধতি দেহকে সঠিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে আগে থেকে যদি রোগ থেকে থাকে, তাহলে ওষুধের বিকল্প কখনই নয়।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে স্কিজোফ্রেনিয়া, মৃগীরোগী, যাঁরা পেসমেকার ব্যবহার করেন এবং গর্ভাবস্থায় এই পদ্ধতির প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন। এতে ফল বিপরীত হতে পারে।

৩ thoughts on “এক টুকরা বরফেই সেরে যাবে সব রোগ!

Leave a Reply to Mizanur Rahaman Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.