প্রিয় কাঁঠালের দারুণ পুষ্টিগুণ

ঢাকা: অনেকেরেই প্রিয় ফলের তালিকায় শীর্ষে রসে ভরা কাঁঠাল। মিষ্টি স্বাদের এই ফলের দেখা পাওয়া যায় গ্রীষ্মের মাঝ থেকে পুরো বর্ষাজুড়ে। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আরটোকারপাস হিটেরোফিলাস’। গরমে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকারে এর অবদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী কাঁঠালে আছে খাদ্যআঁশ ২ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, শর্করা ৪ গ্রাম, চর্বি ০.৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩০৩ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.১৯৭ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২৯৭ আই.ইউ, ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, থায়ামিন (ভিটামিন বি১) ০.০৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেবিন (ভিটা বি২) ০.১১ মিলিগ্রাম, নায়াসিন (ভিটা বি৩) ০.৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.১০৮ মিলিগ্রাম। কাঁঠালের এসব উপাদান মানবদেহের নানা উপকার করে থাকে, আসুন জেনে নেয়া যাক।

* কাঁঠালে ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ নামক চিনি রয়েছে। এই চিনি কাঁঠালকে তাড়াতাড়ি হজম করার শক্তি দেয়।

* কাঁঠালে খাদ্যআঁশ উত্তম বাল্ক জোলাপের সৃষ্টি করে। ফাইবার উপাদানগুলো কোলন থেকে ক্যান্সার মুক্ত করে।

* তাজা ফলের মাঝে অল্প পরিমাণে ভিটামিন-এ, ফ্লাভোনয়েড পিগমেন্ট রয়েছে। এই উপাদানগুলো যৌগ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ফুসফুস ও মৌখিক গহ্বর এর ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।

* কাঁঠাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি এর অনেক ভালো একটি উৎস। এতে ১৩.৭ মিলিগ্রাম অথবা ২৩% আরডিএ রয়েছে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে সংক্রামককারী এজেন্ট এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিভিন্ন ক্ষতিকারক মৌল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

* কাঁঠাল ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এ সমৃদ্ধ একটি ফল। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এ সমৃদ্ধ ফল পাওয়া বিরল। এতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন-বি-৬, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন এবং ফলিক এসিড রয়েছে।

* কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং আয়রন এর অনেক ভালো একটি উৎস। পটাসিয়াম হার্ট রেট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের কোষ ও পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে এই উপাদানগুলো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

* কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি আছে, যা শরীরে খুব দ্রুত শক্তি যোগায়। * কাঁঠালে কোলেস্টেরল নেই। তাই এটি একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ফল।

* চিকিৎসা শাস্ত্রমতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী নারী ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী নারীরা কাঁঠাল খেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

সতর্কতা: স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা এড়াতে কাঁঠাল খুবই উপকারী। তবে গরমের এই সময়ে যেকোনো খাবারই বেশি খাওয়া ঠিক নয়, তাই কাঁঠালও খেতে হবে পরিমিত পরিমাণ।

১২ thoughts on “প্রিয় কাঁঠালের দারুণ পুষ্টিগুণ

Leave a Reply to Kazi Rony Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.