পল্লবীতে জোড়া খুন: আসামি শাহীন চার দিনের রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানার ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি শাহিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় তাকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানার পুলিশ।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের লাশ দাফন করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল বলেন, আজ বৃহস্পতিবার নিহত সুইটি আক্তারের স্বামী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি তার ব্যবসায়িক পার্টনার শাহিনকে একমাত্র আসামি করা ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকেও আসামি করা হয়।

পরে দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করেন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নিহত সুইটি আক্তারের চাচাতো দেবর মো. মাসুদ রানা বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার সময় ময়না তদন্ত শেষে নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে আমি গ্রহণ করি।

পরে বাদ আসর সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর গান্দাইল গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারনে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তকারী ডাক্তার মতামত দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম আমার চাচাতো ভাই। গ্রেপ্তারকৃত শাহিন আমার কাজিনের ব্যবসায়িক পার্টনার। শাহীন সম্পর্কে আমি আর কিছু জানিনা। নিহত আমিরুল ইসলাম আমার কাজিনের মামা। তিনি চল্লিশোর্ধো মানুষ।

প্যরালাইজড রোগে তার এক হাত এক পা আক্রান্ত ছিল। তিনি তেমন কিছুই করতেন না। ভাই বোনদের পড়াশোনা করাতে গিয়ে তিনি বিয়েও করেননি। মাঝে মধ্যে ঢাকায় ১০/১৫ দিনের জন্য ভাগনের বাসায় বেড়াতে আসতেন।

গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় বুধবার দুপুরে পল্লবী থানার ইর্স্টান হাউজিংয়ের ২০ নম্বর সড়কের ‘ক্রিস্টাল ডি আমিন’ নামের একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় থেকে আমিরুল ইসলাম ও তার ভাগনে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুইটি আক্তারের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

১০ thoughts on “পল্লবীতে জোড়া খুন: আসামি শাহীন চার দিনের রিমান্ডে

Leave a Reply to Imran Shah Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.