থাইল্যান্ডের গণকবরে জীবিত বাংলাদেশি

ঢাকা: অবৈধপথে পাড়ি জমানো অন্তত ৩০ জন অভিবাসীর গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে থাইল্যান্ডে। সেখানে এক বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সংখলা প্রদেশের সাদাও জেলায় এ গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

জানা গেছে, সাদাও জেলার এক পরিত্যাক্ত ক্যাম্পে এ গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। মানব পাচারের শিকার ওই অভিবাসীরা অবৈধ পথে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ার এ সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে বলে ধারণা করছে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ অভিবাসী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে ৩২টি গনকবর আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সথিত থামসুয়ান নামের এক উদ্ধারকর্মী।

উদ্ধার করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে কে কোন দেশের নাগরিক, তা ময়নাতদন্তের আগে বলা সম্ভব নয় জানিয়ে থামসুয়ান বলেন, মৃতদেহগুলোর বেশিরভাগই পঁচে-গলে গেছে।

এসময় তিনি জানান, উদ্ধার পাওয়া একমাত্র জীবিত বাংলাদেশি অভিবাসীকে নিকটবর্তী পাদাং বেসার এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় হাসপাতালের বরাত দিয়ে জীবিত বাংলাদেশি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান জেনারেল সমিয়ত পুমপানমৌং জানান, যেখানে গণকবরটির সন্ধান মিলেছে, সেটি আসলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প। মালয়েশিয়ায় পাচারের আগে এখানে মাটির গর্তে বাঁশের ছাউনি দিয়ে রাখা হতো অভিবাসীদের।

মাশরুম সংগ্রহে ওই এলাকায় যাওয়া গ্রামবাসী এ গণকবরের সন্ধান পায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে আরও জানানো হয়, পাচারকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়া অভিবাসীদের ওই এলাকায় ফেলে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

৫ thoughts on “থাইল্যান্ডের গণকবরে জীবিত বাংলাদেশি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *