পরাজয় জেনেই সেনা চায়না মন্ত্রীরা : নোমান

চট্টগ্রাম : বিএনপির কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘মনজুর আলমের পক্ষে ইতোমধ্যে ব্যাপক জন সমর্থন দেখা যাচ্ছে। মনজুর আলম বিপুল ভোটে বিজয় হবেন নির্বাচনকে। এই জন সমর্থন ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ড. হাসান মাহমুদসহ সরকারের মন্ত্রী এমপিরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধীতা করছেন।’

রোববার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মনজুর আলমের কমলালেবু মার্কার সমর্থনে নগরীর শুলকবহর ও বহদ্দারহাট এলাকায় গনসংযোগকালে তিনি একথা বলেন।

নোমান বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তির চ্যালেঞ্জ। ২৮ এপ্রিল নিরব ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের প্রতিটি নির্যাতনের জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন এ নির্বাচনের প্রতিটি ব্যালট হবে প্রতিবাদের ভাষা। তিনি বলেন-মনজুর আলমের পরিচয় তাঁর কর্মে। উন্নয়নই মনজুর আলমের একমাত্র চাওয়া পাওয়া। গত সাড়ে চার বছরে তিনি তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ড দিয়ে নগরবাসীর মন জয় করেছেন।’

নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বহদ্দারহাট থেকে বারৈপাড়া হয়ে কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত চাক্তাই খাল খননের জন্য মন্ত্রনালয়ের কছে এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছিলেন মনজুর আলম। কিন্তু সরকার অনেক দেরীতে সামান্য টাকা বরাদ্দ দেয়ায় এ কাজ সময়মত পুরোপুরি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এবার নির্বাচিত হলে সরকারের কাছে ধর্ণা না দিয়ে কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী এমপিরা প্রতিনিয়ত আচরন বিধি লংঘন করে বক্তব্য দিয়ে ভয়ভীতি’র মাধ্যমে নির্বাচনী কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। সেতুমন্ত্রীর ঘনঘন চট্টগ্রাম সফরে এবং তার বিতর্কিত বক্তব্যে আমরা ষড়যন্ত্র ও কারচুপির গন্ধ পাচ্ছি। নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে চট্টগ্রামে সেনা মোতায়েনের জন্য ইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম বলেন, ‘সাড়ে ৪ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে নগরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করেছি। আগামীতেও মেয়র হিসেবে নয়, নির্বাচিত হলে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাব। নগর ভবনকে নগরবাসীর আস্থার ঠিকানায় পরিণত করবো।’

শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভা ও গনসংযোগকালে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, মহানগর জাসাসের সভাপতি কাজী আকবর, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পথসভা শেষে মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম ও আবদুল্লাহ আল নোমান কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, বড় গ্যারেজ, সুগন্ধা সড়ক, এশিয়ান হাউজিং, মির্জাপুল, সুগন্ধা ও নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।

এর আগে সকালে ১০টায় নগরীর ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ডের গণসংযোগ পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ মোড় থেকে শুরু হয়। পরে শুলকবহর, মির্জাপোল, মির্জা হাউজিং সোসাইটি,বাদুর তলা, কাতালগঞ্জ, আবদুল্লাহ খান রোড, মুন্সি পুকুর পাড়, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, কাপাস গোলা, মুরাদপুর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করা হয়।

এসব এলাকায় গনসংযোগকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোজাফফর আহমেদ টিপু, মোহাম্মদ আলী, শহিদুল আলম খসরু, কাজী শামসুল আলম, আসিফ চৌধুরী, নেজাম উদ্দীন, শায়েস্তা উল্লাহ, গোলাম মনজুর, শাহ আলম,আইয়ুব খান, মোতালেব সওদাগর, শহিদুর রহমান বেলাল, আতিকর রহমান মালিক, এইচ এম আজাদ, শেখ রাসেল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, শাহাবুদ্দীন বাবু, মহসীন কবির, ইব্রাহিম খলিল, আবদুল আলী মজমুদার রন্টু, মো. সেলিম উদ্দীন, মোহাম্মদ পারভেজ।

১৮ thoughts on “পরাজয় জেনেই সেনা চায়না মন্ত্রীরা : নোমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *