বিয়ের দাবীতে অনশন

বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাসাতে অনশন। দেহভোগ করার পরে বিয়েতে প্রেমিকের উৎসাহ নাই। এই রকম মেয়েকে বিয়ে করবে কেনো প্রেমিক? যে মেয়ে বিয়ের আগেই দেহ দেয়। প্রেমিক বিয়ে করবে এমন একজন মেয়েকে যে বিয়ের আগে কারুকে দেহ দেয় নাই। মন দেয় নাই। প্রেমিকের যৌনাঙ্গ বহুপ্রবেশ করতে পারবে, সেটা জায়েজ, অনেক পুরুষাঙ্গই বহুপ্রবেশ করে, কিন্তু নারীর দেহ শুধু সেই নারীকে যে কিনবে সেই স্বামীর ভোগের জন্য বরাদ্দ। যে ছেলের যৌনাঙ্গ বহুপ্রবেশ করে বিয়ের পরে তার এই অভ্যাস যে চলে যাবে এমন কোন গারান্টি নাই। সেদিন এক কার্টুন দেখলাম – স্বামী স্ত্রীকে বলছে – “তোমার কাজ করতে কস্ট হয় তোমার জন্য একটি সুঠাম দেহী গৃহকর্মী দরকার। স্ত্রী উত্তর দিচ্ছে – তোমার চরিত্র আমার জানা আছে। আমি এবাসাতে গৃহকর্মী হিসাবেই এসেছিলাম”

প্রেমিক আরিফের দরকার ছিল দেহ ভোগ করা। প্রেমিক আরিফ সুরাইয়ার দেহ ভোগ করে এখন অন্য কোন সুরাইয়ার দেহ ভোগে ব্যস্ত। বাংলাদেশে মেয়ের কোন অভাব নাই । ভোগের সামগ্রী ছড়িয়ে আছে সাড়া বাংলাদেশে। তাই দেহভোগ করার পরে যার দেহ ভোগ করা হয়েছে তাকে বিয়ে করতে হবে এমন কোন কথা নাই। যারা ভোগ করে তারা ত্যাগ করেনা। ভোগী আর ত্যাগী দুইটি পৃথক পৃথক স্বত্বা ।

চাপের মুখে আরিফ যদি সুরাইয়াকে বিয়ে করে তাহলে কি তাদের সংসার সুখের হবে ? আরিফ সুরাইয়াকে বিয়ে করতে চাইলে চাপ দেবার দরকার হতোনা। অনশন করার দরকার হতোনা। কান্নাকাটি, লোক জড়ো করার দরকার হতোনা। সংবাদপত্রে প্রকাশের দরকার হতোনা। বাংলাদেশে প্রতিদিন অনেক বিয়া হচ্ছে। সেইসব বিয়ার মত আরিফ আর সুরাইয়ার বিয়ে হয়ে যেতো।  যখন হয়নি তখন চাপ দিয়ে বিয়ে করলে কি ভবিষ্যতে এই দম্পতি সুখি হবে?  বিয়ে মানেই সারাজীবন সংসার করা । অবশ্য বিয়ের অর্থ এখন বদল হয়ে গেছে। বিয়ের সাথে এখন আর “সারাজীবন সংসার করার” কোন সম্পর্ক নাই। বিয়ে করলেই যে সারাজীবন সংসার করতে হবে এমন কোন কথা নাই।
fraud19
২০১২ সালে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। বিয়ের সব খরচা আমাকে দিয়ে করিয়ে বিয়ের পরে সে আমার কাছ থেকে নগদ ১০,০০০ বৃটিশ পাউন্ড নিয়া বাংলাদেশে চলে যায়। তারপর তালাক দিয়া দেয়। টাকা হজম বিয়া খতম। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ এই টাকাগুলার জন্য আমাকে বিয়া করেছিল। টাকা পাবার পরে তালাক দিয়ে দিয়েছে। আরিফ সুরাইয়ার সাথে প্রেম করেছিল দেহ ভোগ করার জন্য । দেহ ভোগ হয়ে গেছে এখন সে পালিয়েছে। সুরাইয়া এখন আত্মহত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে । কি লাভ? আরিফ যদি ফিরে এসে সুরাইয়াকে বিয়েও করে তাহলে কি সুরাইয়া আর আরিফের সংসার সুখের হবে? যে ছেলে বিয়ের আগে প্রেমিকার দেহ ভোগ করে প্রেমিকাতে উচ্ছিষ্টের মত ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সেই ছেলেকে যদি চাপ দিয়ে বিয়া করানো হয় তাহলে সেই ছেলের সাথে প্রেমিকার সম্পর্ক কেমন হবে ? প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্কে কোন প্রেম ছিলনা তাহলে কি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক প্রেমময় হবে? একজন প্রতারক সবসময়ই প্রতারক। যে প্রতারণা করার জন্য প্রেম বা বিয়ে করে সে প্রতারণা করা হয়ে গেলে বা উদ্দেশ্য সফল হলে এমনিতেও চলে যাবে অমনিতেও চলে যাবে। তাকে ধরে রাখার জন্য, তাকে বিয়ে করার জন্য অনশন করার কি দরকার?

তবে সুরাইয়া এই কাজ করে ভাল করেছে। এই প্রচারের ফলে এই এলাকার অন্য সব মেয়েরা জানবে আরিফ ছেলেটা কেমন ও সে কি কি কাজ করে থাকে। আরিফ অন্য যেসব মেয়ের দেহ ভোগ করেছে তারাও এখন জানবে যে আরিফ সুরাইয়ার দেহ ভোগ করেছে। ঐ এলাকার যেসব ভার্জিন মেয়েরা আরিফের বউ হতে পারতো তারাও সাবধান হয়ে যাবে।

বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করার কারণ হলো দুইটা – বিশ্বাস করা ও মানসিকভাবে অদৃশ্য বন্ধনে এক ধরনের অন্যায়বোধে আবদ্ধ করে রাখা । বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ছেলেরা দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য মেয়েদের প্রলুব্ধ করে। ছেলেরা যখন দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য আগ্রহী হয় তখনই বুঝে নিতে হবে যে এই ছেলে এই দৈহিক সম্পর্ক করার জন্যই প্রেমের অভিনয় করেছিল। আর কিছু নয়। এই ছেলে যদি একজনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে থাকে তাহলে যেকোন মেয়ের সাথেই করতে পারবে। একজনের প্রেম-ভালবাসা অন্যদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করার বদঅভ্যাসের অন্তরায় হতে পারেনা।

প্রতারক আনোয়ার পারভেজের কাছ থেকে আমি আমার টাকা ফেরত চাই। আমি আমার টাকা ফেরত চাই সেজন্য আমি প্রতিদিন এই সম্পর্কে লিখি। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ যেখানেই থাকুক, যার সাথেই সম্পর্ক করুক, যেখানেই ব্যবসা বা চাকুরী করুক, বাংলাদেশ বা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, আমি সাড়া বিশ্বকে জানাতে চাই যে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ একজন অপরাধী। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ একজন মিথ্যুক। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ একজন চোর। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের যৌন ক্ষমতা নাই তাই সে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক করার কথা ভুল করেও বলবেনা। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের টাকা দরকার। কারণ সে অলস, অশিক্ষিত, অদক্ষ, কাজ করে টাকা উপার্জন করার মত কোন যোগ্যতা প্রতারক আনোয়ার পারভেজের নাই। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ প্রতারণার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। সেকারনেই সে “বিয়ে” কে টাকা উপার্জনের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ “প্রেম”, “কবিতা”, “গান”, উদ্ভট মিথ্যা গল্প – তার পরিবারের সম্পর্কে, তার নিজের সম্পর্কে উদ্ভট মিথ্যা গল্প, ইত্যাদি ব্যবহার করে অন্যদের কনভিন্স করে থাকে।

আরিফের সাথে সুরাইয়ার যৌন সম্পর্ক ছিল এই কথা জানিয়ে সুরাইয়া সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। বিয়ের আগে যারা যৌন সম্পর্ক করে তারা নানা রকমের ঝুকি নেয়। বিয়ের আগে যেসব ছেলেরা যৌন সম্পর্ক করে তারা শুধু একজনের সাথেই যৌন সম্পর্ক হয়তো করেনা। অনেকের সাথে যৌন সম্পর্ক করার ফলে এই বহুগামী প্রেমিক অনেকের মাঝে যৌন রোগ জীবানুও ছড়িয়ে দিয়ে অনেককেই অসুস্থ করে ফেলার ঝুঁকি রয়েছে। এইসব রোগেগুলো হলো – গনোরিয়া, সিফিলিস (কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহের ছিল), হারপি ( দুই ধরনের – ১ – যৌনাঙ্গে ২ – ঠোটে), এইচ আই ভি এইডস (HIV/AIDS) ইত্যাসি। যারা অনেকের সাথে যৌন সম্পর্ক করে তারা সবার কাছেই মিথ্যা ভালবাসার কথা বলে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের মত মিথ্যা গল্প বানায়। ফেসবুকে প্রতারক আনোয়ার পারভেজের অনেক ভুয়া আইডি আছে। এক এক আইডি এক এক মানুষের ছবি নিয়ে প্রফাইল সৃষ্টি করে রেখেছে। সেইসব আইডিতে কখনও মেয়ের ছবি ব্যবহার করেছে, কখনও ছেলের ছবি, কখনও ছেলের সাথে তার বউ ও বাচ্চাদের ছবি, কখনও বুড়ার ছবি, নানা মানুষের ছবি চুরি করে নানা ধরনের চরিত্র ও গল্প লিখে বহু আইডি বানাবার এত সময় ও সুযোগ প্রতারক আনোয়ার পারভেজের আছে কারণ সে প্রতারণা করাই জীবিকা নির্বাহ করে। মিথ্যা কথা বলে অন্যের টাকা মেরে বসে বসে খাওয়া যায় । নতুন গল্প বলার জন্য চিন্তাভাবনা করা যায়। ফেসবুকে কাকে কাকে প্রতারণা করবে তালিকা করা যায়। যাদের প্রতারণা করবে তাদের সম্পর্কে ভালভাবে জানার জন্য প্রতারক আনোয়ার পারভেজ একাধিক ভুয়া আইডি ব্যবহার করে। এইসব আইডি থেকে সে সেইসব শিকারদের বন্ধু হয়ে, সুভাকাঙ্খি হয়ে, ভাই হয়ে, অনেক লম্বা চওড়া উপদেশ দেয়, অন্যের ভাল ভাল কথা চুরি করে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ তার ভুয়া আইডিতে তা ব্যবহার করে, তারপর সেইসব শিকারদের সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিজের আসল রুপে শিকারের কাছে হাজির হয়।

আরিফের জন্য সুরাইয়ার কান্না সমাজের অন্যান্য আরিফ ও সুরাইয়াদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দিচ্ছে। এই ধরনের কাজ করলে তাদের কথাও লুকিয়ে থাকবেনা। চুপচাপ ভোগ ও পলায়নের দিন শেষ। প্রতারণার বিরুদ্ধে শিকারেরা এখন সোচ্চার। কেউ প্রতারণা করে পালিয়ে ভিড়ের ভেতরে মিশে যেয়ে অন্য মুখোশ লাগিয়ে অন্যদেরকে প্রতারণা করতে পারবেনা। প্রতারকের মুখোশ খুলে দিতে হবে । প্রতারকের পিছে ধাওয়া করতে  হবে। সমাজের, দেশের, বা বিশ্বের কোথাও যেন সে লুকিয়ে, মুখোশ বদল করে আর একজনকে প্রতারণা না করতে পারে।

আরিফের মত ছেলের জন্য সুরাইয়া তার মূল্যবান জীবন যেন অপচয় না করে। আরিফ পালিয়ে যেয়ে সুরাইয়ার ভবিষ্যতকে সুন্দর করেছে। আরিফের মত ছেলে সুরাইয়ার জীবন নরক করে দিতে পারতো। অনেক বিবাহিত নারী পুরুষ অন্যের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে।

“বিয়ে” তাকেই করা উচিৎ যে “মানুষ” ও দায়িত্ববান। তাহলেই “বিয়ে” সফল হয় ও “বিয়ে” শব্দের মর্যাদা থাকে। প্রতারক, লম্পট, চোর, কুৎসিত মন মানসিকতা যার সেই পশুকে বিয়ে করে সুরাইয়া নিজের জীবন ধ্বংস করবেনা বলেই প্রত্যাশা করি।

৭ thoughts on “বিয়ের দাবীতে অনশন

Leave a Reply to Mohammad Jabed Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.