‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের কথা আসছে কেন? এখন এই প্রশ্ন আসছে না।’

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে সরকার। রোববার সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামান।

এদিন বিকেলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পেলে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। এ সাক্ষাতে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের নিরাপত্তা উন্নয়ন করতে বলেছেন। সেটা আমরা দেখবো।’

‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি’ সম্পর্কিত সংবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গ্রেপ্তারের সময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের কথা আসছে কেন? গ্রেপ্তারতো বিচারিক আদালত যখন বলবে, তখন। এখন এই প্রশ্ন আসছে না।’

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যকার ‘বন্দুকযুদ্ধ’ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যায়। তখন একটা কিছু হয়।’

তবে ‘একটা কিছু’ কী সে সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত কিছু বলেননি। সাংবাদিকরা ‘একটা কিছু’ কী জানতে চাইলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এসময় বর্তমানে দেশে চলমান সংহিসতা বন্ধে প্রচলিত আইনই যথেষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ শুধু আমাদের বাংলাদেশেই হয় নাকি? সারা পৃথিবীতেই বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। যেখানেই সন্ত্রাস হচ্ছে, সেখানেই আপনারা বন্দুকযুদ্ধ দেখছেন। কাজেই যেখানে সন্ত্রাস দমনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, পুলিশ সেখানে অ্যাকশনে যায়, সন্ত্রাসীকে ধরতে যায়, সেখানেই বন্দুকযুদ্ধ হয়।’

উল্লেখ্য, অব্যাহত সহিংসতায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুটি, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি এবং পঞ্চগড়ে একটি মামলা রয়েছে।

১২ thoughts on “‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের কথা আসছে কেন? এখন এই প্রশ্ন আসছে না।’

Leave a Reply to Jone Make Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.