চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে বার্ন ইউনিটে কান্নার শ্যুটিং

আটপেৌরে স্টাইলে শাড়ি পরে মডেল বেশে বার্ন ইউনিটে ঢুকলেন এক নারী। সাথে আরেও দুজন। একজনের হাতে বড় ভিডিও ক্যামেরা। আরেকজন ডিরেকশন দিচ্ছেন। মডেলকে বললেন, ‘চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে নাও’। কৌতূহলি হয়ে তার কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, সাংবাদিক। বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের নিয়ে গান তৈরি করতে চান।

সাংবাদিক অথচ গান তৈরি করতে চান বিষয়টি বোধগম্য না হওয়ায় তাকে আবারেও প্রশ্ন করলে ভিজিটিং কার্ড বের করে দেন। সেখানে তার নাম- রফিকুল ইসলাম বুলবুল। ভুয়া দু’টি পত্রিকার নামসহ (দৈনিক এই বাংলা, সাপ্তাহিক দুর্নীতি রিপোর্ট) তার পদবী দেওয়া আছে সিনিয়র এডিটর এবং ফিল্ম ডিরেক্টর হিসেবে।

প্রশ্নের মুখে পড়ে এবার বললেন ‘আমি বিটিভির সাংবাদিক’। কিন্তু ক্যামেরায় বিটিভির কোন লোগো বা প্রতীক না থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন ব্যক্তিগতভাবে করছি। পরে বিটিভিতে দেখানো হবে।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে তারা এমন কাউকে বার্ন ইউনিটে পাঠায় নি।

বার্ন ইউনিটে রোগী বৃদ্ধির সাথে সাথে এভাবে ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করছে অনেকে। রোগীদের স্বার্থে চিকিত্সকরা বার বার বিনা প্রয়োজনে বার্ন ইউনিটে সাধারণের প্রবেশ না করার অনুরোধ করলেও মানছেনা কেউ। কারণে-অকারণে বার্ন ইউনিটে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন।

এ ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের চিকিত্সক প্রফেসর ডা. মো. সাজ্জাদ খোন্দকর বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলার পরও এখানে প্রতিনিয়ত ভিআইপি লোকজন থেকে শুরু করে সাধারণ লোকজন ঢুকে পড়ছে। আমরা নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করছি। তা সত্বেও মিডিয়া পরিচয়ে অনেকে ঢুকছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা দ্রুত ‘অটোমেশন'(স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) এ যাওয়ার চিন্তা করছি।’

২ thoughts on “চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে বার্ন ইউনিটে কান্নার শ্যুটিং

Leave a Reply to Mizanur Rahaman Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.