বিএনপির নেতা তারেক রহমান ইউকেতে থাকেন। তারেক রহমানের পঞ্চাশতম জন্মদিনে ইউকের বিএনপি সদস্যরা পঞ্চাশটা কেক কিনে এই জন্মদিনের উৎসব পালন করে। কোন দরকার ছিলনা অপচয় করে এই আদিখেত্য দেখানোর কিন্তু বিএনপীর সদস্যরা আওয়ামীলীগের সাথে পাল্লা দিয়ে সব ধরনের উৎসব পালন করে। বিশাল বিশাল কেক কাটা, পার্টি, বড় বড় হোটেলে উপাদেয় খাওয়ার আয়োজন, সব সময় দেখে মনে হয় বিএনপীর এইসব সদস্যরা সবাই লটারী পেয়েছে। এরা কেউ বাংলাদেশের মানুষ মনে হয়না।ইউকের মানুষও মনে হয়না। মনে হয় এরা সব আজব মানুষ। অবাস্তব মানুষ। তেলা মাথায় তেল দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকা মানুষ। ওরা পদ চায়। ওরা খ্যাতি চায়। ওরা ক্ষমতা চায়। উৎসবের ব্যাপারেই শুধু বিএনপি আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিযোগিতা করে। মহা ধুমধাম করে আওয়ামীলীগের লোকেরা মুজিবের জন্মদিন পালন করে হাসিনার জন্মদিনে চুলাচুলি করে। যদি আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিযোগীতা করতেই হয় তাহলে শুধু উৎসবের সময়ে প্রতিযোগীতা করেন কেনো??
আওয়ামীলীগের কোন সদস্যকে বিনা চিকিৎসায় আমি মরে যেতে দেখিনি।
আপনারা নিশ্চয় এতদিনে ফেসবুকের নানা জাগাতে একটা পোস্ট দেখেছেন ? পোস্টটা এই রকম ঃ
মৃত্যুর মুখোমুখি নিহত বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী, অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যাহত।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবুর সহধর্মিণী বনপাড়া পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মহুয়া নুর কচি (৩৮) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অর্থাভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে না পারায় ধীরে ধীরে তিনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।তিনি কিডনী, হৃদরোগ ও জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি রাতে মহুয়া নুর বাবু হঠাৎ স্ট্রোক করেন ও জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, তাকে দ্রুত প্রায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের একটি আইভিআইজি নামের ভাইরাস ইনজেকশান দেয়া খুবই জরুরি।
১২ লাখ টাকা বিএনপি ইউকের সব সদস্যরা শুধু তারেক রহমানের জন্মদিনেই উড়িয়ে দিয়েছে। এখন মহুয়ার পাশে এসে দাঁড়ান । আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিযোগীতা করে নয় মানবতার জন্য । রাতদিন ভোটাধিকার চেয়ে গলা ফাটান । বাবুকে তো ভোট দিয়েই নির্বাচিত করা হয়েছিল । বাবুকে যখন কুপিয়ে হত্যা করা হয় তারপরেও অনেক চিৎকার আপনারা করেছেন। কিন্তু বিচার পাননি। বিএনপীর সংসদ সদস্যরা বাবু হত্যার বিচার চেয়ে গলা ফাটিয়েছে কিন্তু বিচার পায়নি। কারণ আওয়ামীলীগের ভেতরে ঐক্য আছে বিএনপির ভেতরে ঐক্য নেই। ঐক্যবদ্ধ হোন। একজন আর একজনের পাশে এসে দাঁড়ান । উৎসবে ও অসুখে। তাহলেই আপনারা শক্তিশালী হবেন। অধিকার দাবী করে পাওয়ায় যায়না অধিকার আদায় করতে হয়। আর অধিকার আদায় করার সংগ্রামে যে শক্তির সবচাইতে বেশী দরকার তা হলো একে অন্যের প্রতি ভালবাসার শক্তি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই সবার পাশে থাকেন তাহলে বাইরে কেউ আপনাদের দমন করতে পারবেনা। বিজয়ের জন্য দরকার ঐক্য । অধিকার ছিনিয়ে নেবার জন্য দরকার ঐক্য । পদের জন্য দৌড়াইলে ভোটাধিকারের জন্য দৌড়াইলে আপনার পেছেন ট্রাক দৌড়াবে। কারণ আপনি যাকে ভোট দেবার জন্য দৌড়াচ্ছেন সে দরকার হলে দল বদল করতে পারে। আপনি যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য ট্রাকের নীচে পিষ্ট হচ্ছে সে হয়তো আপনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত না। নিজের জীবনের মূল্যায়ন নিজে করুন।
বিএনপি ইউকে, বিনপি ইতালি, বিএনপি ফ্রান্স, বিএনপি অস্ট্রেলিয়া, বিএনপি বেলজিয়াম, অন্যান্য সকল ইউরোপিয়ান, আমেরিকান, মধ্যপ্রাচ্যের সকল বিএনপীর সদস্যরা মহুয়ার চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠান। মহুয়াকে বাঁচান। বাবু তো আপনাদের জন্যই প্রান দিয়েছে। এখন মহুয়াকে বাঁচিয়ে সেই ঋন পরিশোধ করুন।