বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
এ ক’দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আকস্মিক অকাল মৃত্যু। স্বাধীনতার বছরখানেক আগে কোকোর জন্ম। নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের খুব কষ্ট করতে হয়েছে। রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠায় স্বাধীনতার পর অনেকবার তার বাড়ি গেছি, তিনিও আমার বাড়ি এসেছেন। আসলে মুক্তিযুদ্ধ ঝট করেই আমাকে বড় বানিয়ে দিয়েছিল। তাই তখন অনেকের সান্নিধ্য পেয়েছি, পেয়েছি বন্ধুত্ব। এখন মুক্তিযুদ্ধ নেই, মুখে বললেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও তেমন নেই। চারদিকে নীতিহীন কেমন যেন এক থমথমে হতাশা ভাব। মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি, মমত্ব কেমন যেন শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। গত শনিবার সারা দিন ছিলাম বাইরে বাইরে, বনে-বাদাড়ে। সভ্য জগতের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাই কোকোর মৃত্যু সংবাদ কয়েক ঘণ্টা পরে পেয়েছি। বহুদিন পর সখীপুরের কালিয়ায় একটা জনসভা ছিল। শীতের মৌসুমে বেশ লোক হয়েছিল। কিন্তু সভায় বক্তৃতা করতে পারিনি। কোকোর মৃত্যু আমাকে বড় বেশি নাড়া দিয়েছে। স্বাধীনতার পর কোকোকে অনেকবার কোলে পিঠে নিয়েছি। সেই ছেলে আমাকে পিছে ফেলে চলে গেল। কতবার কত জায়গায় কতভাবে বলার চেষ্টা করেছি, আসার একটা নিয়ম থাকলেও কার আগে কে যাবে তার কোনো নিয়ম নেই। আরাফাত রহমান কোকোর ক্ষেত্রেও তাই হলো। খুবই বেদনাহত ভারাক্রান্ত বুকে সভায় গিয়েছিলাম। দু’কথা না বললে লোকজন বিরক্ত হবে, ব্যথা পাবে তাই প্রথমেই বিএনপির নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্দার শান্তি কামনায় সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। সখীপুরের মানুষ আগাগোড়াই আমাকে ভালোবাসে। তাই একটি মানুষও ছিল না যে, দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেনি। আমি বিএনপি করি না, বিএনপি জোটেরও কেউ নই। তাই বিএনপির নেতার ছেলের মৃত্যুতে প্রকাশ্য জনসভায় শোক প্রকাশে দু’চারজন আবার অবাক বিস্মিতও হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, দলাদলি হানাহানির বাইরেও মানবতা মনুষ্যত্ব বলে একটা কিছু থাকে। আমরা তারই প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা আমরা কাউকে দেখাতে করিনি বরং আত্দিক তাগিদে করেছি। সভায় বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা পুত্রহারা শোকাতুর একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না হোক একজন মা হিসেবে সমবেদনা জানাতে এখনই তার বাড়ি যান। সঙ্গে সঙ্গে এও বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার অনুরোধ রাখবেন কিনা জানি না। কিন্তু তার বাবা বেঁচে থাকলে তিনি অবশ্যই আমার অনুরোধ রক্ষা করতেন। সভা শেষে ফেরার পথে হঠাৎই শুনলাম, তিনি বিরোধী দলের নেত্রীর বাড়ি যাচ্ছেন। ঘরে ফিরে টিভিতে দেখলাম, গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির আশপাশে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীতে সয়লাব হয়ে গেছে। রাত সাড়ে ৮টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলেন বিরোধী দলের নেত্রীর গেটে। অবাক কাণ্ড, গেট বন্ধ। এতদিন সরকার বন্ধ করেছিল বাইরে থেকে, এবার বিএনপি বন্ধ করেছে ভিতর থেকে। ‘Tit for tat’- ইটকা জবাব পাত্থরছে দে দিয়া। কী অবাক বিস্ময়ের ব্যাপার! পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমন সভ্যতা-ভব্যতার অভাব হবে কিনা জানি না। কিন্তু লাখ লাখ মানুষের রক্তে অর্জিত দেশে আমাদের এসব মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুত্রহারা এক মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন, এ জন্য অবশ্যই তিনি জাতির কাছে এর মূল্য পাবেন। কিন্তু গেট বন্ধ রেখে যে অসৌজন্যতার পরিচয় প্রধান বিরোধী দল দিয়েছে তার মাশুলও তাদের গুনতে হবে। শান্ত স্বভাবের শিমুল বিশ্বাসকেও সেদিন উত্তেজিত দেখেছি? তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তাই তার অনুমতি নিতে পারেননি বলে গেট খোলা যায়নি। কোনো ভদ্রলোকের বাড়িতে কেউ গেলে অতিথিকে সম্মান করে বাড়িতে নিয়ে বসানো হয়। সে কাজটি তারা অনায়াসে করতে পারতেন। বেগম খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন, ঘুমন্ত খালেদা জিয়াকেই এক ঝলক দেখিয়ে দিতে পারতেন, সেটাই যথার্থ যুক্তিযুক্ত হতো। আমরা হাসপাতালের I.C.U. তে কত মুমূর্ষু রোগীকে কাচের পর্দার আড়াল থেকে দেখে থাকি। একটা দেশের পোড়খাওয়া প্রধানমন্ত্রী, তিনি অবশ্যই বুঝতে পারতেন পুত্রহারা মায়ের কী অবস্থা। শুনেছি, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ হিমালয়ের চেয়েও ভারী। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিধবা মায়ের কাছে সন্তানের শোক তার চেয়েও ভয়াবহ ভারী। সারা দুনিয়ার ভর বুকে চেপে বসলেও মা অত ব্যথা পান না, যতটা পুত্র শোকে কাতর মা পান। তাই ঘুমন্ত খালেদা জিয়াকে দেখিয়ে দিলে কারও কোনো ক্ষতি হতো না। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তো একজন মা, বেগম খালেদা জিয়ার মতোই একজন মহিলা।
তাহলে এখানেও কি রাজনীতি? আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কিসের রাজনীতি? কার স্বার্থে এমন রাজনীতি? দুজন মহীয়সী নারী একত্রিত হলে, তারা যদি দেশের কল্যাণে এক হন তাহলে যারা তাদের এমন জঘন্যভাবে বিভক্ত রেখে ফায়দা লুটছে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন সে জন্য এত ষড়যন্ত্র? হতেও পারে। আমরা সাদা চোখে তো আর সব কিছু দেখতে পাই না। দুরবিনে যা দেখা যায় তা তো বিশেষজ্ঞরা দেখেন। সাধারণ মানুষ সেখানে লাচার। কালিয়ার সভাতেই বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছিলাম, পুত্রের মৃত্যুর ব্যথা স্মরণ করে সাধারণ মানুষের ব্যথা, জাতীয় ব্যথা উপলব্ধি করে অবরোধ প্রত্যাহার করুন। সাধারণ মানুষ জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। দিন এনে যারা দিন খায় তারা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বহির বাণিজ্যে ধস নেমেছে। পণ্যমূল্যের চেয়ে পরিবহন মূল্য বেশি, কোথায় মানুষ দাঁড়াবে? দয়া করুন, দয়া করুন, আল্লাহর ওয়াস্তে দয়া করুন। কেউ শুনে না, সবাই ক্ষমতার নেশায় উন্মাদ। দেশটা যে শুধু দুই নেত্রীর নয়, কিংবা আওয়ামী লীগ-বিএনপির নয়, দেশটা যে ১৬ কোটি মানুষের কেন যেন নেতানেত্রীরা একবারও ভাবতে চান না। বিরোধী দলের নেত্রীর ছোট ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর দিনেও গুলশানের কার্যালয় থেকে আন্দোলনের কথা না বলে বিএনপি থাকতে পারেনি, এটা কেমন কথা? অন্তত শনিবারের দিনটা তো আন্দোলন-সংগ্রামের কথা না বলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা চোখের পানি ফেলতে পারতেন। তাতে আর কিছু না হোক ঝাপসা চোখ কিছুটা পরিষ্কার হতো, তাতে বিবেকও জাগ্রত হতে পারত। কারও বাড়ি কিংবা অফিসের সামনে ইট-পাথর-বালিভর্তি ট্রাক ফেলে অবরোধ করে রাখা যেমন যুক্তিযুক্ত নয়, ঠিক তেমনি কাউকে শোক জানাতে গেলে তাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়াও খুব একটা সম্মানের কাজ নয়। আবার এক নির্বোধ পুলিশ ওই একই দিনে বেগম জিয়ার নামে মামলা দিয়েছে। বুদ্ধিমান একদিন পরে দিতে পারত না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী, প্রিয় দুলাভাই ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী হেয়ার রোডে গিয়েছিলাম। সেদিনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আমরা ঢুকতে পারিনি, অনুমতি মেলেনি। অথচ যারা এক সময় আমার বোসকা বোসকি টানত তাদের যে ক’জন এখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আছে তারা নির্বিবাদে আসা-যাওয়া করছিল। হেয়ার রোড থেকে গিয়েছিলাম সুধা সদনে। অনেকের ধারণা সুধা সদন তার মায়ের নামে। আসল সত্য তা নয়। দুলাভাই ড. ওয়াজেদ মিয়ারই আরেক নাম সুধা মিয়া। সুধা সদনের গেটও বন্ধ ছিল। চলে এসেছিলাম। ঘণ্টাখানেক পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভবন থেকে ফোন আসে, আপনি শোকবইয়ে স্বাক্ষর করতে সুধা সদনে গিয়েছিলেন। কেউ ছিল না তাই স্বাক্ষর করতে পারেননি। এখন থেকে যে কোনো সময় সুধা সদনের শোকবইয়ে আপনি স্বাক্ষর করতে পারেন। মন ভালো ছিল না, বিক্ষোভ ভরা মন নিয়ে আর যেতে ইচ্ছা করেনি। কিন্তু আমার সাদামাটা স্ত্রী বাধ্য করেছিল সুধা সদনে শোকবইয়ে স্বাক্ষর করতে। মনে হয় সেদিন আমাদের সঙ্গেও অমন করা ভালো হয়নি।
‘৭২ সালের কোনো একদিনের কথা। নতুন দেশ, নতুন স্বপ্ন। সবার মধ্যেই এক অনাবিল সৃষ্টির আনন্দ। ঠিক সেই সময় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুুল হামিদ খান ভাসানী মতিঝিলের ন্যাপ অফিসে অনশন করেছিলেন। এখনকার মতো তখন নেতানেত্রীরা হৃদয়হীন ছিলেন না। জনগণের মধ্যেও ন্যায়-অন্যায়ের বাছ-বিচার ছিল। হুজুর মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে একই রকম স্নেহ এবং বিশ্বাস করতেন। পত্রিকায় খবর দেখেই ছুটে গিয়েছিলাম হুজুরের কাছে ন্যাপ অফিসে। তখন কাজী জাফর আহমেদ ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক। কেবল দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমাকে নিয়ে চারদিকে এক দারুণ আগ্রহ। দোতলা বা তিন তলায় উঠতেই শত শত লোকের মধ্যে ‘কাদের সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকী’ একটা সাড়া পড়েছিল। হুজুরের কান পর্যন্ত যেতে বেশি সময় লাগেনি। কাদরি এসেছে শুনে আশরাফ গিরানীকে দরজার মুখ থেকে আমাকে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঘরে ঢুকেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলাম। কান্নায় বুক ভেসে গিয়েছিল। সে কান্নার জন্য চোখে গ্লিসারিন মাখতে হয়নি, চোখের পানির জন্য বুকের ব্যথাই যথেষ্ট ছিল। সত্যিই নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। তাকে বারবার অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেছিলাম। অনশনে তিনি মারা গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। ওই অবস্থাতেও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। ন্যাপ অফিস থেকে গিয়েছিলাম গণভবনে। নেতাকে বলেছিলাম, আপনি গেলেই হুজুরের অনশন ভাঙা সম্ভব। তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলছিলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম, আমাকে বসতে পর্যন্ত দেয়নি। কাজী জাফর আমার বসার চেয়ারটা পর্যন্ত সরিয়ে নিয়েছে।’ আমি জানতাম না, আমার আগে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন। কাজী জাফর আহমেদ বঙ্গবন্ধুর সামনে থেকে চেয়ার সরিয়ে নিয়েছিলেন এ কথা নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। জাফর ভাই একজন প্রবীণ সংগ্রামী নেতা। এক সময় তাকে টুঙ্গির মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি চেয়ার নিয়েছিলেন কি নেননি আমি দেখিনি, বঙ্গবন্ধু উত্তেজিত হয়ে যা বলেছিলেন তাই আমি ব্যক্ত করেছি। জাফর ভাই এ নিয়ে আমাকে বুঝাতে চেয়েছেন। আমি নিজেও জানি, সেই আমলের রাজনীতিতে বিরোধিতা ছিল, কিন্তু কোনো বেয়াদবি ছিল না। বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে না দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। যে যতই বলাবলি করুন, এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই জয়ী হয়েছেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে নিদারুণ পরাজয়ের পর মা হিসেবে, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম বিজয়। দেশের মানুষ আশা করেছিল, দুই মায়ের সাক্ষাতে দেশ যে জ্বলে-পুড়ে খাক হচ্ছে তা কিছুটা কমবে। কিন্তু তা না হয়ে তুষের আগুন আরও জ্বলে উঠেছে।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ২ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা। আমরা যখন মেট্রিক দিয়েছিলাম তখন পরীক্ষার সময় দেশময় একটা সাড়া পড়ে যেত। কিন্তু এখন এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা কবে আসে কবে যায় অনেকেই খবর রাখে না। কিন্তু তবু এসএসসি, এইচএসসি ছাত্রজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। সবাই চিন্তিত ছেলেমেয়েরা ঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা, নাকি তখনো অবরোধ থাকবে। মাছের মায়ের যেমন পুত্র শোক নেই, আজকালকার নেতানেত্রীদেরও দেশের মানুষের প্রতি কোনো মায়া-মমতা নেই। বিরোধী দলের নেত্রী তার পুত্র শোকে মুহ্যমান। তার এই শোক থেকেও তো দেশের পুত্রহারা মায়েদের ব্যথা অনুভব করতে পারেন। দুজন বসে আমাদের এ জ্বলন্ত আগুন থেকে মুক্তি দিতে পারেন। দেশের আপামর জনসাধারণ চায়, দুই দল বা দুই নেত্রী আর দেরি না করে মুখোমুখি বসুন। দেশবাসীকে এই চরম দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমি আবারও আরাফাত রহমান কোকোর আকস্মিক অকাল মৃত্যুতে গভীর মর্মবেদনা ব্যক্ত করছি এবং পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে তার আত্দার মাগফিরাত এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক সইবার শক্তি কামনা করছি।
লেখক : রাজনীতিক।