ঢাকা: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনারা সংলাপে বসুন, নইলে সারাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে তা মোকাবেলা করুন। গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। যাদের দিয়ে গুলি চালাবেন তারাই একদিন আপনার দিকে বন্দুক ধরবে- এটাই হলো ইতিহাস।’
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ সরকারকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে হামলা, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, সাংবাদিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ, সেন্সরশিপ প্রত্যাহার, সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, মাহমুদুর রহমানের মুক্তিসহ সাগর-রুনীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেন, ‘৫ জানুয়ারি আমরা সাংবাদিকদের দাবি ও অধিকার আদায়ের সমাবেশ করছিলাম, সেখানে মায়া বাহিনী আমাদের ওপর নেক্কারজনক হামলা চালায়। কিন্তু আমাদের সে আন্দোলন বৃথা যায়নি। আমাদের সেই দাবি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সংলাপের জন্য যে ৭ দফা পেশ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া। তাই এখন এটি জাতীয় দাবি।’
সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আবার সেখানেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে খালেদা যাতে কথা বলতে না পারেন সে জন্য পিপার স্প্রে করে তাকে অসুস্থ বানানো হয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কাজ আপনি তার কার্যালয়ে বসে করবেন, প্রেসক্লাবে নয়। কারণ এটা প্রেসক্লাবের নীতিবহির্ভূত।’
প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপরাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের উস্কানি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।