ইবির মেধাবী ছাত্র মেহেদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

ঢাকা: আর দশজন ছেলের মতোই বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র মেহেদী। পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হয়ে বৃদ্ধ বাবা-মার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। আর্থিক টানাপোড়েনে বড় হওয়া মেহেদী ভালো চাকরি করে বাবা-মার মুখে হাসি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। স্বপ্ন পূরণের দারপ্রান্তে এসেও আজ তিনি বড়ই অসহায়। মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আজ তার স্বপ্ন বিলীন হতে চলেছে। বিছানায় শুয়ে ব্লাড ক্যানসারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং মৃত্যুর পহর গুণছেন। চিকিৎসা ব্যয়-বহুল হওয়ার কারণে বিনাচিকিৎসায় মরতে বসেছেন মেহেদী।

ইবির ইংরেজি বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র মেহেদী সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। ক্লাস রুম থেকে শুরু করে চায়ের আড্ডা অবধি সবখানেই মেহেদী মাতিয়ে রাখতেন। কিন্তু সেই হাস্যোজ্জ্বল ছেলেটি আজ ঢাকার মহাখালীর ‘ক্যানসার হসপিটালে’ শুধু মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহেদীর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন, যা পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই বহন করা সম্ভব নয়। তাইতো মেহেদীর পরিবার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।’

মেহেদীর বাবা মো. রওশন আলী বলেন, ‘স্বল্প টাকার বেতনে চাকরি করে কোনো রকম ছেলে-মেয়ে মানুষ করার চেষ্টা করেছি। কখনোই টাকা-পয়সা জমানোর সামর্থ হয়নি। কোনো রকম কষ্ট করে জীবনযাপন করেছি। এখন আমি এতো টাকা কোথায় পাব? যা ছিল তা দিয়ে ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসা করে শেষ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব অসহায়। দয়া করে আমার সন্তানকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসুন।’

মেহেদীর সহপাঠীরা বলেন, পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কুষ্টিয়ার বেশকিছু কোচিং সেন্টারেও মেহেদী ইংলিশ ক্লাস নিতেন। মেহেদী অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার স্বপ্ন ছিল বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো চাকরি করার। ইতোমধ্যে তিনি বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। আমরা মেহেদীকে আবারও সুস্থভাবে ক্লাসে দেখতে চাই। দয়া করে আমাদের প্রিয় বন্ধুটিকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন।

মেহেদীকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

বিকাশ :  ০১৭২২৬৩৬৪১৭
ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং: ০১৭২২৬৩৬৪১৭-৯

মেহেদীর বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর:

মো. রওশন আলী
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৮৯৫৯
অগ্রণী বাংক
আলমডাঙ্গা শাখা
আলমডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা।

মোবাইল: ০১৭২২৬৩৬৪১৭, ০১৬৭৭১৩৮৮৩৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *