ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দোতলায় ডান দিকের কামরাটি দলের চেয়ারপার্সনের। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলেই একটু খালি জায়গা। এরপর একটি সুসজ্জিত অফিস কক্ষ। বড় টেবিল, পেছনে কাঠের চেয়ার। চারিদিকে দেয়াল ঘেঁসে সোফা বসানো। ভবনের উত্তরের দেওয়াল লাগোয়া এই কক্ষটি এখন পরিপাটি করে সজ্জিত। রাখা হয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে। খালেদা জিয়ার অফিস করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই কক্ষ।
৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে এই প্রস্তুতি কি না? এমন প্রশ্নে দুই অফিস কর্মী রুস্তম ও রফিকের মত, দলের চেয়ারপার্সন যে কোনও সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছালে এই কক্ষে যেনো বসতে পারেন কাজ করতে পারেন সেভাবেই এটি প্রস্তুত রাখা হয়। প্রতিদিনই এটি খুলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়।
গত বছরই চেয়ারপার্সনের এই কক্ষসহ দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষ নতুন টাইলস বসিয়ে পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার কক্ষে তার টেবিলের ঠিক পিছনে তার নিজের ও দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি টাঙানো রয়েছে।
৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নয়াপল্টন যাওয়া উপলক্ষে কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সমাবেশের অনুমতি পেলে চেয়ারপার্সন সেখানে যাবেন, আসতে পারেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও। তবে আমরা সব কিছুই ঠিকঠাক করে রেখেছি।’
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, খালেদা জিয়া সোমবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন। ২০ দলীয় শীর্ষ নেতাদেরও ওই দিন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকার নির্দশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের শরিক নেতা।
ধারনা করা হচ্ছে ওই দিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ হলেও অবস্থান করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচির দিনে খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হন, তবে সেদিন পুলিশের বাধার কারণে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতেই পারেননি তিনি।