ঝড়ের বেগে লাইক পাওয়ার জন্য আপনার
ফেসবুক
প্রোফাইলে ভূরি ভূরি মিথ্যে কথা লিখছেন?
কিংবা প্রোমোশন, ইভেন্ট, রিলেশনশিপ,
ছুটি কাটানো, পার্টি নিয়ে প্রচুর গালগল্প
ছড়াচ্ছেন নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করানোর
জন্য? তাহলে ভবিষ্যতে আপনি দুর্বল
স্মৃতিশক্তির সমস্যায় ভুগবেন। প্রতি ১০ জনের
মধ্যে একজন কিশোরীই স্বীকার করেছেন
পার্টি নিয়ে তারা ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস
লাগান, তার প্রায় অর্ধেকের বেশিই মিথ্যে।
সম্প্রতি ইউরোপে কয়েক বছর ধরে এক
সমীা চালানোর পরই উঠে এসেছে এই আলোড়ন
সৃষ্টিকারী তথ্যটি।
১৮-২৮ বছর বয়সীদের মধ্যে এই
মিথ্যে লেখা বা ভুল বলার
প্রবণতাটা থেকে যায়। রোজ রোজ প্রোফাইল
আপডেটের চক্করে তারা প্রায়ই ভুলে যান কখন
কী বলেছেন। ফলে আকাশকুসুম কল্পনা আর
বাস্তবের তালজ্ঞান হারিয়ে মনে পড়তে চায়
না কোনটা সত্যি আর কোনটা বানানো। আর
এরপরেই ধাক্কা খায় স্মৃতিশক্তি। তাদের
অনেকেই ডিজিটাল অ্যামনেসিয়ার শিকার।
মানে যারা ফেসবুকের পেজকেই বাস্তব
ভাবেন, চোখের
সামনে ঘটে চলা ঘটনা তাদের মন ও
মস্তিষ্কে কোনো প্রভাবই ফেলে না।
৬৮ শতাংশ লোকজন, তা সে যে বয়সেরই হন
না কেন, পার্টি, ইভেন্ট নিয়ে সোস্যাল
মিডিয়ায় প্রায়ই মিথ্যে বলতে পিছপা হন না।
লন্ডনের সোসাইটি অব
নিউরো অ্যানালাইসিসের কিনিক্যাল
সাইকোলজিস্ট রিচার্ড শ্যেরির মতে, যখন
মনে কোনো অবদমিত ইচ্ছে থাকে, তা পূরণ
না হতে হতেই এক ধরনের হতাশা আমাদের
মধ্যে চেপে বসে। ফলে সাইবার ওয়ার্ল্ডেই
তা পূরণ করতে গিয়ে ফেসবুকে একের পর এক
মিথ্যে সাজাই। তবে পরে এর থেকে নানা রকম
মানসিক অবসাদ, খারাপ লাগাগুলোও মানুষের
মনের ওপর জাঁকিয়ে বসে। এমন কি কয়েক বছর পর
তাদের অনেকেই ভয়ঙ্কর
অনুতাপে ভুগতে দেখা গেছে বলেও রিচার্ড
শ্যেরি তার বক্তব্যে জানিয়েছেন। সূত্র :
ইন্টারনেট।