ভুল বোঝা এবং সেই ভুলকে ভালবেসে জীবন কাটিয়ে দেবার আনন্দ আলাদা। নিজের না পাওয়ার বেদনা থেকে জন্ম নেওয়া হিংসা এবং সেই হিংসা থেকে ঘৃণা যা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। রাস্তার মোড়ে বা মাঠের ভেতর মাইক লাগিয়ে ওয়াজ করার নিয়ম নেই ইসলামে। একজন মুসলমান যদি চিৎকার করে মহল্লার সবার বিরক্তির কারণ হয় তাহলেই সবাই ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবে। আর এই চিৎকারের ব্যবস্থা যারা করেছে তারা সেটাই চায় এবং এভাবে মানুষ ইসলাম ছেড়েছে। মসজিদের ভেতর যখন ইমাম সাহেব কথা বলেন তখন মাইকের দরকার হয়না। মুয়াজ্জিন যখন আযান দেন তখনও মাইকের দরকার হয়না। এই মাইকের প্রচলন কেন? উঁচু উঁচু বিল্ডিং আর যানবাহন বৃদ্ধির কারণে আযাণের শব্দ কারু কানে যাবেনা বিধায় মাইকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। মাইক কোম্পানীর মুনাফার জন্য মাইকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। যে মানুষ নামায পড়েন তার ভেতর সেন্স অফ টাইমিং বা আযানের সময়ে গাথা হয়ে যায়। আযানের সময় হলেই তার মন বলে যে নামায পড়তে হবে। বাইরে আকাশ আলো দেখেই অনুধাবণ করা যায় সময়। আযানের মধুর সুর শোনা না গেলেও মনের ভেতর সে সুর বাজে। যার নামায পড়ার ইচ্ছা আছে সে অনায়াসেই পড়তে পারে। যে বুঝতে চায় সে বুঝতে পারে। ইসলাম আমাদের মাঝে এসেছে শৃঙ্খলা নিয়ে শান্তি নিয়ে ভালবাসা নিয়ে। ইসলাম বা যেকোন আদর্শের অপব্যবহার করলে, যে এই কাজ করছে তার অপরাধ, ইসলামের অপরাধ নয়। মসজিদের ইমাম যদি উলটাপালটা বকে তাহলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেবার নিয়ম আছে। মসজিদের ইমামই যে সঠিকভাবে ইসলামের ব্যাখ্যা দিচ্ছে বা ইসলামকে পালন করছে সেটা ভেবে নেওয়াও ঠিক নয়। বিশ্বের সব দেশেই মুসলমান আছে । নামে মুসলমান। কিন্তু কাজে তারা কেউ ইসলামকে অনুসরণ করেনা।
যা নাই তা নিয়ে তর্ক করা বৃথা। তবে যেটা আছে সেটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। চট্রগ্রাম সিলেটে কেন এত মাজার আর দরগা আর মোল্লা? এর কারণ হলো এই দুই জেলাতে সব চাইতে অধিক সংখ্যক অপরাধী বাস করে। এরা মোল্লা পালে নিজেদের অপরাধ আড়াল করার জন্য। সেটা “ইসলাম” এর দোষ নয়। কেউ ইসলামের অপব্যবহার করলে যে করবে দোষ তার। সিলেট ও চট্রগ্রামের বাড়ী বাড়ী তল্লাসী করলে মিলে যাবে বাংলাদেশের ৭০% কালো টাকার সন্ধান। কেউ কি এই সন্ধান করতে চায়? চায়না। সবাই মাজার দরগা আর ইউটিউবে অশিক্ষিত মোল্লাদের চিল্লাচিল্লি শুনেই বেহেস্তে যাবার স্বপ্নে বিভোর থাকে। চট্রগ্রাম আর সিলেটের চোর ডাকাত ধর্ষক যৌতুকলোভী রক্তচোষা ও খুনীরা সব মোল্লাদের জুব্বার আড়ালে আরামে যার যার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স সামলাচ্ছে আর মোল্লারাও কামাচ্ছে। ব্যবহার করছে এতিমদের। মাদ্রাসা ব্যবসা, এতিম ব্যবসা, এইসব ব্যবসায়ীদেরকে নাম দেওয়া হয় “আলেম” “হুজুর” কত কি। আসলে সবগুলাই অপরাধী।
একদিকে আছে বুদ্ধিজীবি বজ্জাত অন্যদিকে আছে মোল্লা বজ্জ্বাত । পূজিপতিদের স্বার্থে এইসব বজ্জ্বাতেরা রাতদিন সাধারণ মানুষের মগজ ধোলায় করে নানাভাবে । এরা কেউই ফ্রিতে মগজ ধোলায় করেনা। যারা মাদ্রাসা বা এতিম ব্যনিজ্য করে তাদের সাথে যৌন পল্লির দেহ ব্যবসায়ীদের মধ্য কোন পার্থক্য নেই। আর একদল লোক আছে যারা মার্কস, মাও, লেনিন ব্যণিজ্য করে। বাংলাদেশে যারা মার্কস, মাও, লেনিন ব্যানিজ্য করে ওরা হইল রেস্টুরেন্টের পেছনে কুন্ডলী মেরে শুয়ে থাকা ছাল উঠা কুকুরের মত। যারা অপেক্ষা করে কখন রেস্টুরেন্টের পাতিল সাফ করার জন্য বাসি খাবার ছুঁড়ে ফেলা হবে। এইসব কুকুর বা যৌনপল্লীর ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের জীবন অতিস্ট করে রাখে ।
ইসলাম, মাও, মার্কস, লেনিন, এদের জানার জন্য মোল্লা বা সিপিবিতে যাবার দরকার নেই। নিজেরা পড়া করলেই জানা যায়। জেনে কি লাভ? যদি না মানেন । মার্কস একজন জার্মান ইহুদী। জার্মানে সমাজতন্ত্র অচল। লেনিনের সোভিয়েতের মৃত্যু হয়েছে সেই কবে। মাও এর কমিউনিজম এখন চাঁদে। ঠিক ইসলামের মতই সকল মতবাদ বিলুপ্ত হয়েছে। এখন আছে সি আই এ, রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং, মার্ক জুকারবার্গ আর ইহুদীদের তৈরি সফটওয়ার যা দিয়ে ওরা খুঁজে বেড়ায় কে পুঁজিপতি ও তাদের দালালদের বিরোধিতা করলো। কোন কোন দেশের জমিজমা দখল করে সুন্দর সুন্দর বাড়ী বানিয়ে বিক্রি করে মুনাফা করা যাবে। কোন কোন ওষুধ বাজারে বিক্রি করে কোন কোন রোগ বাধিয়ে আরো কোন কোন ওষুধ বিক্রি করে আরো মুনাফা করা যাবে। আরো গবেষনা আরো ওষুধ আরো চিকিৎসা আরো অসুখ – মুনাফা তৈরী মেশিন যেন বন্ধ হয়ে না যায়। কোন কোন দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের দেখা মিলেছে তা হরফ করার জন্য কোন দেশের আর্মী পাঠানো হবে। স্থানীয় লোকজনকে তাদের বাসা থেকে বের করে হয় মেরে ফেলা হবে না হয় রিফুইজী হবার জন্য অন্য দেশের সীমান্তে পাঠানো হবে। কোন কোন দেশ পুঁজিপতিদের কথা না শুনে নিজেরাই আভ্যন্তরীন পুঁজিপতি হবার চেষ্টা করছে তাদের কে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে হবে আর সাধারণ মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে মোবাইল, ডাটা, ওরা সব ব্যস্ত থাক সাম্প্রদায়িক উস্কানী আর ভাই ভাইকে গলা টিপে মেরে ফেলার কা্জে। কোন কোন দেশে কতজন মানুষ হত্যা করা হবে, বসতহারা করা হবে, ধর্ষন করা হবে, গ্রেফতার করে ধরে নিয়ে টর্চার করা হবে আর জাতীসংঘে বসে বিশ্ব শান্তির বুলি কপচানো হবে। মিডিয়া কার? পুঁজিপতিদের। মিডিয়া কার খবর প্রকাশ করে?পুজিপতিদের। পূজিপতিরা নানা বিভাগে কাজ করে। কেউ কেউ ডনেশন সংগ্রহ করার কাজ করে। প্রথমে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় তারপর এই বোমার আঘাতে পংগুদের ভিডিও করে ডোনেশন সংগ্রহ করে। বোমা যারা মারে ওরা শান্তির জন্য গনতন্ত্রের জন্য বোমা মেরেছে আর তারপর এতিমদের ভিডিও করে তাদেরকে পন্য করে আর একদল ত্রানের ব্যবস্থা করে। সবই পুঁজিপতিদের খেলা।
আমরা সবাই পুঁজিপতিদের হাতের পুতুল।
নিজেদের ঘৃণা করি । নিজেদের হিংসা করি। নিজেদের মধ্য চুলাচুলি করি। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, বিশ্বাসের কারণে।
পুঁজিপতিরা এত শক্তিশালী কেন?
কারণ আমাদের সবার মনের মাঝে সুপ্ত একজন পুঁজিপতি ঘুমিয়ে আছে (শোষিতেরাই শোষকদেরকে শক্তিশালী করেছে)
আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি পূজিপতি হবার। সেজন্য ধনী পুঁজিপতির ছেলেকে বন্ধু বলতে গর্ব বোধ করি। হাতে দামী মোবাইল নিয়ে ঘুরতে আনন্দ হয়। গাড়িওয়ালার মেয়েকে বান্ধবী বানিয়ে ফেসুবকে ছবি দিয়ে সবাইকে চিৎকার করে বলতে চাই “আমিও ক্ষমতাবান মানুষ” গাড়ি, বাড়ী, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বানিয়ে আমিও অন্য সবার মত ভাল ভাল খাবার রান্না করে ফেসবুকে পোষ্ট দিতে পারি। এই স্বপ্ন কারুর পূরণ হয় কারুর হয়না। কেউ কেউ জিঞ্জিরা থেকে কিনে আনে পুঁজিপতি হবার স্বপ্ন সাধণের মাল মশলা। জমিজমা বিক্রি করে ঋণ করে দালাল ধরে চলে যায় দূর দেশে সেখানকার পুঁজিপতিদের রাস্তা সাফ করতে অথবা রান্না করতে অথবা গাড়ি ড্রাইভ করতে অথবা ওদের স্বামী বা স্ত্রীর যৌন পন্য হতে।
সবাই স্বপ্ন দ্যাখে পুঁজিপতি হবার।
মার্কসবাদীরা সব পূঁজিপতিদের মুনাফা নিশ্চিত করতে বেনসন টানে যাতে ফুসফুকের চিকিৎসা করানোর জন্য পুঁজিপতিদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পুঁজিপতিদের ওষুধ খেয়ে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে আবার ১৪০০ বছর আগের ইসলামিক দোয়া মহফিলের আয়োজন করা যায়। মার্কসবাদী আর বড় বড় টিপ লাগানো হোলী খেলোয়াড় আর মঙ্গল শোভাযাত্রার লিডারদেরও নামাযে জানাজা হয়। সব কিছুই নীতিহীন বিশৃঙ্খল । না ঘরের না ঘাটের।
বাংলাদেশের মার্কসবাদীরা যেহেতু ভুয়া এবং পুঁজিপতিদের দালাল সেজন্যই ভারতের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয় রামপালে। পুঁজিপতি চীনের সহায়তায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয় বাঁশখালিতে। পরমানু বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপিত হয় রুপপুরে। বাংলাদেশের কৃষি, শিল্পের কবর রচনা করা হয় কত সহজেই।
অপরাধীরা যেমন অপরাধ ঢাকার ঢাকনা হিসাবে ইসলামকে ব্যবহার করে ঠিক তেমনি ভুয়া মার্কসবাদীরা তাদের দালাল চরিত্র লুকাবার জন্য ইসলামের বিরোধিতা করে। সবাই কাজ করে যার যার স্বার্থে পুঁজিপতিদের জন্য।
সবাই হৃদয়ে পুঁজিপতি
চেতনায় শোষক
সেজন্যই সব নীতি সব আদর্শ বিলুপ্ত হয়েছে সবার মন থেকে।
সাধারন মানুষ মরছে ক্ষুধায়, অসুখে, গুলি খেয়ে, নির্যাতিত হয়ে।
শোষিতের পাশে কেউ নেই সবাই শোষকের চারিপাশে অপেক্ষা করছে রক্ত চোষার নতুন কৌশল জানার তারপর ভাইয়ের রক্ত চুষে বিদেশীদের ব্যংকে পৌঁছে দিয়ে কমিশন পাবার।
আপা সুন্দর, যৌক্তিক আর সময়োপযোগী লেখা।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
You are my inhalation, I possess few blogs and often run out from to brand.
Wow, superb blog layout! How long have you been blogging for? you made blogging look easy. The overall look of your website is great, let alone the content!
Pretty section of content. I just stumbled upon your blog and in accession capital to assert that I acquire actually enjoyed account your blog posts. Anyway I will be subscribing to your augment and even I achievement you access consistently rapidly.
I always was interested in this subject and stock still am, thankyou for posting.
It¦s really a great and helpful piece of information. I¦m satisfied that you simply shared this helpful info with us. Please keep us informed like this. Thank you for sharing.
Wow, incredible weblog layout! How lengthy have you ever been running a blog for? you make blogging glance easy. The overall glance of your web site is magnificent, as neatly as the content material!