প্রতারকেরা প্রতিযোগীতার মুখে

এই করোনা সমীরণনে বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রতারকেরা প্রবল প্রতিযোগীতার মুখে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বণে ব্যস্ত। প্রতারকেরা সব এখন লকড আইডিতে বসে শিকার খুঁজে প্রতারণা করছে।

কক্সবাজারের প্রতারক আনোয়ার পারভেজ রুবেল । বাবার নাম জাফর আলম মায়ের নাম উম্মেল হাফসা। অনেক চর্বি তার দেহে ফলে অনেক ব্রণ তার মুখে। অনর্গল মিথ্যা বলতে পারে। কাঁদতে পারে। সে বিয়ে করেছিল নারায়ণগঞ্জের একটি মেয়েকে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে লন্ডনে যায় ছাত্র ভিসা নিয়ে। সেখানে যেয়ে ভর্তি হয় একটি নাম কা ওয়াস্তা আইন কলেজে যেখানে আইনের সার্টিফিকে বিক্রী হয়। বৃটিশ সরকার পরে এই ধরনের কলেজগুলোর লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। এইসব কলেজে সার্টিফিকেট বিক্রী করে আবার ধুমধাম করে কনভোকেশন হয়। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ তার চোখে টপ টপ করে পানি ফেলে মুখের কালো কালো পুঁজে ভরা ব্রণের পাশ ভিজিয়ে আমাকে বলেছিলঃ

সে হোটেলে চাকুরী করে, ম্যাকডোনাল্ডসে চাকুরী করে কোনমতে চলে কলেজ থেকে আইনের সার্টিফিকেট কিনেছে , দশ বছর লন্ডনে থাকতে পারলেই বৃটিশ ইমিগ্রেশন পেয়ে যাবে। দশ বছর হতে আর বেশী বাকী নেই। এখন তার পড়া শেষ । ছাত্রভিসার মেয়াদ শেষ । দেশে ফিরে যেতে হবে খালি হাতে। যদি অন্য একটি কলেজে এমবিএ তে ভর্তি হয়ে ছাত্র ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে দশ বছর পূর্তি হলে স্থায়ীভাবে বৃটেনে থাকতে পারতো।

গল্পটি বলার সময় সে কাঁদছিল ।  কান্না, ভুয়া সার্টিফিকেট কেনা্র বেদনা, দশ বছর হলে বৃটিশ ভিসা পাওয়ার স্বপ্ন সবই মিথ্যা ছিল। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ রুবেল দশ হাজার বৃটিশ পাউন্ড মেরে দিয়ে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ ফিরে যায় তারপর নানা জালিয়াতি বাটপারি করে আরো অনেকের টাকা মেরে দিয়ে এখন ফেসবুকে টুপী লাগিয়ে বউ ছেলে সহ বিভিন্ন লাইভে লম্বা লম্বা কথা বলে । এই রকম আরো কোটি প্রতারক আছে বাংলাদেশে । যারা হীনমন্যতাকে পূঁজি করে প্রতারণা করে। আর একজন প্রতারক শরীফ খান বা Srf Khan, Munny Khan, Hafiz Khan, এরা সব ফেসবুক প্রতারক। ফেসবুকে এদের নানা ধরনের আইডি আছে । আওয়ামী গায়িকা  মেহরীন মাহমুদ শরীফ খানের প্রতারণাতে সাহায্য করে। মেহরীণ মাহমুদের সাথে প্রতারক শরীফ খানের ছবি দেখে অনেকেই প্রতারককে বিশ্বাস করে এবং টাকা ঋণ দেয় এবং প্রতারক শরীফ খান সেই টাকা  মেরে দেয়। বাংলাদেশের অনেক মহিলার টাকা প্রতারক শরীফ খান মেরে দিয়েছে। প্রতারক শরীফ খানের গল্প ছিল ১- বাড়ী ভাড়া দিতে পারেনা ২- মায়ের অসুখ ৩ – বোনের বিয়ে দিতে পারছেনা ৪ – বাড্ডাতে জমিটা বিক্রি হলেই টাকা ফেরত দিবে ৫ – দোকানে বিক্রি নেই ৬ – ছোট ভাই হাফিজের সব সময়ই পেটে ব্যাথা থাকে ৭ – ফটোগ্রাফী এক্সিবিশনের জন্য দিল্লী যাচ্ছে (সব টাকা মেহরীন মাহমুদের বন্ধু দিয়েছে) । রানা প্লাজাতে দোকান ছিল যখন তখন সে লাখো টাকাতে খেলতো কিন্তু রানা প্লাজা ভেঙ্গে যাবার পরেই সে রাস্তার ফকির হয়ে গেছে। অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে বাসায় ফেরে যাতে বাড়িওয়ালা তাকে খুঁজে না পায়। তাকে পেলেই ভাড়া চায়। ঘরে বাজার নেই। মুদি দোকানী বাকিতে দিচ্ছে না। হাফিজ ফিরে এসেছে খালি হাতে। কি খাবে ওরা। মেহরিণ মাহমুদের মত এত সম্পদশালী গায়িকা যাদের বন্ধু, শায়লা খানের মত আমেরিকার নাগরিক যার ধানমন্ডীতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ তাদের বন্ধু শরীফ খান ও তার পরিবার না খেয়ে থাকে আর ফেসবুকের আইডী থেকে বেছে বেছে প্রবাসী বা দেশী বয়স্কা মহিলাদের থেকেই টাকা ধার নেয় এবং তা পরিশোধ করেনা।

প্রতারক শরীফ খান বা প্রতারক আনোয়ার পারভেজ রুবেল এদের সবার নামে বেনামে প্রচুর ফেসবুক আইডি আছে আর সেইসব আইডিতে নানা রকমের হীনমন্যতাতে পরিপূর্ণ পোস্ট দিয়ে সেখান থেকেই শিকার ধরে। প্রতারক শরীফ খানের মেয়ে বা ছেলে বন্ধুরা সবাই ফটোগ্রাফারের কারিস্মা দেখে আভিভুত তারা কেউ মানতেই চায়না শরীফ খানে লুচ্চা চোর প্রতারক নিয়মিতে ইয়াবা সেবন করে। সাভারের পুলিশেরা তার বাসাতে যায় ইয়াবা ক্রয় এবং তার বোন মুন্নি খানের দেহ ভোগ করতে । দেহের বিনিময়ে মুন্নি খানই শরীফ আর হাফিজের চুরি ও প্রতারণার দায় থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে সাভারের থানা ও পুলিশকে দেহ দিয়ে খুশী করে রেখে।

৪ thoughts on “প্রতারকেরা প্রতিযোগীতার মুখে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.