সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। ব্যক্তিগত বিবাদ ভুলে এখন সবার উচিৎ একাতবদ্ধ হওয়া । সাবধান করা এবং সাবধান থাকা।
ফেসবুকে গান কবিতা লিখে বিশ্বের বড় বড় দার্শনিকদের কোটেশন
পোস্ট করে নিশ্চিন্তে ঘুমাবার সময় এটা নয় । একজনের ভুলের খেসারত দিতে হয় এক বা একাধিক নিরীহ মানুষের।
যেসব পরিবারে প্রতিবন্ধি সদস্য আছে তাদের উচিৎ হবে এই মানুষটাকে সবসময় চোখে চোখে রাখা। বৃদ্ধ বাবা মা ভাই বোন সবাইকে নিরাপদে রাখা। অযথা বাইরে না যাওয়া । বিকেলে বাসায় ফিরে এসে ছাদ বাগান করুন। যাদের ছাদ নেই তাঁরা উঠোনে বসে চাঁদের সাথে সব দর্শন শেয়ার করুন। রাতে বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না। বাসাতে অনেকের সাথে থাকুন । একা থাকবেন না। বাসাতে অপরিচিত লোকদের দরজা খুলবেন না। যদি খুলেন সবাই মিলে দরজাতে দাঁড়িয়ে থাকুন । অন্যায়ভাবে কেউ আপনার বাসার কোন সদস্যকে
ধরে নিতে আসলে সবাই রুখে দাঁড়ান এবং চিৎকার করে পাড়াপ্রতিবেশীদের জড়ো করুন। প্রতিবেশিদের সাথে সেভাবেই ব্যবস্থা করে রাখুন যাতে একে অন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে কিছু সংবাদ মন খারাপ করে দিচ্ছে। যেমন একজন নিরীহ মানুষকে ধরে মেরে তাকে জ্বলিয়ে হত্যা করা হয়েছে
“ধর্ম সম্পর্কে কটু কথা বলার অপরাধে”
(আইন শৃংকঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এখন ব্যস্ত হাজী সেলিমের টাকা গুনতে আর পথ থেকে “রায়হান”দের ধরে পরিবারগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতে আর ধর্ষকখুনীদের সাথে বসে তাস পেটাতে )
ঘরে ঢুকে যারা নারী ধর্ষন করে তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারেনা
রাস্তায় পিটিয়ে মানুষ হত্যা করলে কেউ বাঁধা দেয় না
তাদের এখন ধর্মের মান সন্মান নিয়ে ব্যাপক চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গেছে
এরা খুনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য এরা বেতন পাচ্ছে।
১৯৭১ সালের নয় মাস এমন অবস্থা ছিল।
কেউ আসতো মুক্তিযোদ্ধা সেজে কেউ আসতো রাজাকার সেজে । হত্যা লুটপাট ও দখল ছিল এদের মূল উদ্দ্বেশ্য। আপনার যদি জমিজমা বাড়িঘর থাকে তাহলেও আপনি এদের টার্গেট হতে পারেন । না থাকলেও টার্গেট হতে পারেন ।
ক্রসফায়ার, চারিদিকে গণধর্ষন
হত্যার প্রতিবাদের আওয়াজ ক্ষীণ হতে না হতেই ধর্ষণের প্রতিবাদ করা হলে শুরু হলো
চললো প্রতিবাদীদের উপরে লাঠিচার্জ এবং গ্রেফতার
তারপর আবার হত্যা আবার ধর্ষন
এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এদের হাতে তুলে দিয়েছে পুরাতন ইস্যু ঘষেমেজে নতুন করে।
“ধর্মের অবমাননা” – এত দিন গ্রেফতার চলছিল আওয়ামীলীগের কারুকে কটু কথা বলার অপরাধে
এখন ধর্ম নিয়ে একদল লোকের মধ্য এত দরদ উথলে উঠছে
এরা সেই একই অপরাধী যারা এতদিন অপরাধীদের জন্য কাজ করে আসছে। এইসব খুনীদের একটাই ধর্ম – টাকার বিনিময়ে খুন করা এবং বিভিন্ন জাগাতে অরাজগতা সৃষ্টি করা । যাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমিজাগা দখল করতে পারে। এবং যুগ যুগ ধরে ক্ষমতায় থেকে একদিন নিজেদের রাজা বা জমিদার ঘোষনা করতে পারে।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো কানাডা