https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
অস্বাভাবিক মৃত্যু বাংলাদেশে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
করোনা আসার পরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেজন্য করোনাকে তাদের বানিজ্যিক মুনাফার একটি উপাদান হিসাবেই আদোরে গ্রহন করে উল্লাসিত হয়েছে। আমি ব্যবসায়ী বলতে দেশের মন্ত্রী, আমলা্, হাসপাতা্ল, ল্যাব্, ডাক্তারদের কথা বলছি। মোড়ের মুদি দোকানীর কথা বলছিনা।
মনে আছে সেই ফরমালিন মিশ্রিত ফল, শাকসব্জির কথা? সদ্য প্রসব করা সন্তানকে সাথে নিয়ে হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা মায়ের কথা ? তাকে হাসপাতালের বিল আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল। করোনা তখনও আসেনি । প্রসূতির পেট কেটে সন্তানকে হত্যা করে ডাক্তার বলেছে পেটে বাচ্চা ছিলনা। মনে আছে সেই মায়ের কথা?
দিনের পর দিন হাসপাতালে মৃত বাচ্চাকে রেখে বিশাল অংকের বিল মৃত শিশুর মাবার হাতে ধরিয়ে দেবার কথা ? মনে আছে? এখন ওরা হাসপাতালের সামনে মরছে শিশুকে কোলে নিয়ে কারণ হাসপাতালের ভেতরে ভি আই পিদের লাশ।
সাড়া দেশে কেউ আর মানুষ নেই । সবাই এখন বনিক। বাংলাদেশ আসলে দেশ নয় একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। এখানে সব প্রানীই বিক্রি হয় আলুপেয়াজকাচামরিচের মত।
স্কুলের গেট থেকে তারিয়ে এনে একজন মা কে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করার কথা, মনে আছে?
শত শত জামাত শিবির বিএনপীর নেতাকর্মী গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যার কথা ? মনে আছে?
সবাইকে খবর দে , রাজাকারের কবর দে। মনে আছে ?
সেই শ্লোগানে মুখরিত হাঁসপাতালের চারিপাশের কথা ?
মনুষ্যত্ব দুনিয়া থেকে চলে গেছে বহু যুগ আগে। আমরা খেয়াল করিনি। অমানুষদের আমরা নেতা নেত্রী ডাক্তার বৈদ্য ভেবে বসে আছি।
শুধু যে বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা করছে তা নয়। বাংলাদেশীরাও বাংলাদেশে বাংলাদেশী হত্যা করছে প্রতিদিন নানাভাবে নানা কারণে নানা যুক্তিতে নানা কৌশলে । এটা এখন বলা মুশকিন যে কোন পেশাজীবি, মানুষ হত্যার সাথে জড়িত নয়(? )
শুধু কি বাংলাদেশ পুলিশ র্যাব আর ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশী হত্যা করে? ডাক্তারেও তাদের রোগীদের হত্যা করে তিল তিল করে দীর্ঘদিন ধরে। ঐ যে বলেন আমাদের ডাক্তার সাহেব বহুদিন আমাদের পরিবারের সকলের চিকিৎসা করছেন ? আসলে ডাক্তার সাহেব বহুদিন ধরে আমাদের পরিবারের মানুষকে রোগী বানিয়ে রেখেছেন যাতে বহুযুগ ধরে তিনি টাকা কামায় করতে পারেন ।
তারপরে শোনা গেলো, পাবলিকে কস্ট করে পড়ালেখা করে মেধা দিয়ে ডাক্তার হবার প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে । এখন তো ডাক্তারসহ সব পেশার জন্য সার্টিফিকেট কিনতে পাওয়া যায়। সেই ঘটনা জানেন তো ? শুধু বাংলাদেশেই নয় ভারতের বহু হাসপাতালে ডাক্তারেরা ভুয়া সার্টিফিকেটধারী। ভারত শুনলেই বাংলাদেশীরা নিমাংগ ভিজিয়ে ফ্যালে। প্রতারক, খুনী, সাম্প্রদায়িকতার তীর্থভূমি ভারত থেকে শিক্ষিত ও দীক্ষিত বাংলাদেশের চোর ডাকাত খুনী আর ধর্ষকেরা।
মানুষের মৃত্যুতে যারা শোক করে ওরা ক্লাউন। ওরা বহুরুপী। শোকবার্তা অর্থহীন প্রলাপ ।মৃত্যুর আগে কারু মৃত্যুকে কেউ ঠেকাইতে যায় নাই অথবা কোন অন্যায়কে রোধ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নাই। সবাই যে যেমন পারছে অন্যের ক্ষতি করে টাকা কামায় করছে। তারপর লাশের নীচে দোয়া করছে বসে বসে। শকুনের মত অপেক্ষা করেছিলো কবে একটি লাশের ছবি পোষ্ট করা হবে ফেসবুকে । এত দোয়াদরুদ সব জমা হয়ে আছে অব্যবহৃত। মানুষের মরা উচিৎ । বেশী বেশী মানুষের মরা উচিৎ তাহলে এত দোয়াদরুদের একটা সুরাহা হবে।
অন্যসব খুনীদের মত ডাক্তারেরাও মানুষ হত্যা করে প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে কথায় কথায় প্রেসক্রিপশন লিখে দেয় সেই সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেহে একের পর এক রোগের জন্ম দেয় আর ডাক্তারেরা একের পর এক প্রেসক্রিপশন লিখে ওষুধ কোম্পানী এবং নিজের মুনাফা বৃদ্ধি নিশ্চিত করে যাতে রোগী বহু রকমের রোগে আক্রান্ত হতেই থাকে আর ডাক্তারের কাছে আসতেই থাকে। দেশে যত রোগী বৃদ্ধি পাবে ততই অষুধ কোম্পানীগুলা মুনাফা করবে এবং ডাক্তারেরা তাদের ডাক্তারি সার্টিফিকেট কেনার টাকা সুদ সমেত অশুল করতে পারবে । ডাক্তারেরা ভারতের বিএসএফ এর চাইতেও ভয়ঙ্কর। ওরা গুলি করে হত্যা করে তাদের ট্রিগারকে উল্লাসিত করে আর ডাক্তারেরা প্রতিদিন ওষুধ দিয়ে রোগীর দেহে নানা ধরণের রোগ যাতে জন্মে সেই ব্যবস্থা করে হত্যা করে। নানারকমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে নানা রকমের রোগে ধীরে ধীরে মরার চাইতে একটি বুলেট অনেক শান্তির মৃত্যু দিতে পারে।
করোনা এসে এইসব ডাক্তারদের মাঝে এক মহা বিপত্তির সৃষ্টি করে দিলো। আহা! এত দিনের বিশাল ব্যবসা বাণিজ্যে একেবারে ছাই ফেলে দিলো।
করোনা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে ভি আই পি ওয়ার্ড রয়েছে । বাংলাদেশে ভি আই পি অর্থাৎ ভেরি ইম্পোর্টেন্ট পারসন কে বা কাহারা ? দুর্নীতিবাজ আমলা, ঠিকাদার, এমপি, মন্ত্রী যারা আবার চোর, ডাকাত, খুনী এবং ধর্ষক এরাই বাংলাদেশ ভি আই পি। তাদের চিকিৎসা করতেই হবে নাহলে মাথার উপর বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেবে। খুনি ডাক্তারেরা খুনীদের চিকিৎসা করতে বাধ্য হয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মরছে সব একে একে । এতদিন খুনীদের হাতে মৃতের মিছিল দেখেছি । আহা! খূনিদের মৃত্যুর এমন দীর্ঘ মিছিল জীবিত থাকতে দেখে যেতে পারবো কখনো ভাবিনি।
করোনাকে ধন্যবাদ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মিছিলে খুনীদের সামিল করার জন্য ।
এতদিন জানতাম বিনা চিকিৎসায় দরিদ্র মরবে। সেটা স্বাভাবিক। এখন দেখছি চোর ডাকাত ধর্ষক খুনি দুর্নীতিবাজ আমলাসহ, খুনি ডাক্তারসহ – ঢাকা চট্রগ্রাম সিলেটের পুজিপতিরা সব এত এত টাকা নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়ে গেছে। আমি বোধহয় এতদিন বেঁচে ছিলাম এটা দেখার জন্য। চট্রগ্রামের ডাক্তারদের করোনাতে মৃত্যু – আর চট্রগ্রামের ডাক্তারের লাশ বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন । এই সংবাদ শোনার পরে ভাবলাম – ক্ষমতা দম্ভ যৌতুক ঘুষ দুর্ণীতি সব কিছুর উর্ধে
করোনা সত্য
তাহার উপরে নাই। কি এক তেলেসমাতি কামডা করতেছে করোনা!!
বাংলাদেশে যারা কমিউনিষ্ট রাজনীতির সাথে জড়িত তারা তাদের স্বাস্থ্যহানির বিনিময়ে পুঁজিপতিদের মুনাফা করতে নানাভাবে সাহায্য করে । প্রায় সব বামেরাই সারাদিনরাত সিগারেট টানে। সিগারেট কোম্পানীর মালিকেরা সব পুঁজিপতি – সর্বহারা নয়। বামেরা সব ঘুমের ওষুধ ডিপ্রেশনের ওষুধ খায় দিনরাত সব অষুধই পুজিপতিরা তৈরি করে রেখেছে সর্বহারাদের লাশ বানাইবার জন্য। বামেরা একটু বেশী বেশী ডিপ্রেশনে ভোগে কারণ এরা দিনে বাম রাত ভারতের দালালদের ভাড়ুয়া সেজন্য নার্ভাস থাকে সব সময় পাছে লোকে ঘটনা জেনে যায়। সর্বহারা পল্লীতে হাগে আর ভারতের দালাল নব্য পুঁজিপতিদের মাঠের নীচে বসে সৌচকর্ম সমাধা করে। ডাক্তারেরা যেমন পুঁজিপতিদের ওষুধ বিক্রি করে জনগনকে চিরস্থায়ী রোগী করে রেখে মুনাফা করতে সাহায্য করে আর নিজেরা টাকা বানায় ঠিক তেমনি কমিউনিষ্ট পার্টির নেতাকর্মীরা নিজেদের ধীরে ধীরে হত্যা করে ধূমপান আর ডিপ্রেশন, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি খেয়ে।
যারা নিজেরাই সিগারেট, ঘুমের ওষুধ আর ডিপ্রেশনের ওষুধের কাছে আত্মসমর্পন করে বসে আছে তারা কিভাবে শোষিত জনগনকে উদ্ধার করবে ?
সবাই আসলে খুনী। কেউ সরাসরি গুলি চালিয়ে হত্যা করছে আর কেউ ধীরে ধীরে নিজেকে বা অন্যকে হত্যা করছে।
একটা সময় ছিল যখন এত ওষুধ কোম্পানী ছিল না। তবে তখন কোম্পানী বাহাদুর ছিল। তখন উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে নির্বোধেরা লড়াই করতো আর বুদ্ধিমানেরা কবিতা লিখে নোবেল পেতো , হুইস্কি টেনে, ফিটন গাড়ী চড়ে ফোর্ট বানাবার জন্য মানুষের থেকে দখল করা জাগা জমি ছেড়ে দিয়ে জমিদার, রায় বাহাদুর, চৌধুরী খেতাব পেতো। নির্বোধের যুগ যুগ ধরে মরে দেশপ্রমিক হয়ে বুদ্ধিমানেরা মরে করোনাতে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে। একদিন সবাই মরে শুধু সত্য বেচে থাকে সবাইকে স্বাগত জানাতে।
Happy Canada ?Day!!!
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্ট, কানাডা