https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
আজ আমি যে বিষয়ের দিকে আলোকপাত করবো সেটি খুব প্রাচীন বিষয়। গতরাতে ফেসবুকের বুকে একটি পোষ্ট দেখলাম পোষ্টটি ছিল এই বিষয়েঃ
“একজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়া শিক্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করলে সেই শিক্ষিতা স্ত্রীর স্বামী ও শশুর শাশুড়ীদের কি করা উচিৎ এবং কি বলা উচিৎ আর সেই শিক্ষিতা স্ত্রী বিয়ে করে সংসারে প্রবেশের পরে কি কি অধিকার থাকা/পাওয়া উচিৎ ইত্যাদি বিষয়ে” পোষ্টটির স্নাপশট দিচ্ছিনা।
“পরিবার” গঠন কর্মকান্ড চলে আসছে বহুযুগ ধরে। এই “পরিবার” গঠনের সাথে যে বিষয়টি উতপ্রোতভাবে জড়িত তা হলো “ব্যক্তিস্বার্থ “ – একাকী কোন মানুষ সম্পুর্ণ নয় সেজন্য সে তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পরিবার গঠন করে। একটি মানুষের জন্ম হয় নারীর ডিম্ব ও পুরুষের বীর্যের সংমিশ্রণে (Every human cell contains 46 chromosomes, arranged as 23 pairs (called autosomes), with one member of each pair inherited from each parent at the time of conception) ।
একাকী একজন নারী একটি সন্তানের জন্ম দিতে পারেনা অন্যদিকে একাকী একজন পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে পারেনা। যেকোন জাগাতে বীর্য ঢেলে দিলেই সন্তান জন্ম নেয় না। বীর্য ঢালার জন্য একটি যোনিপথের দরকার আর নারী ছাড়া অন্য কোন প্রানীর যোনিপথে এই বীর্য ঢুকলে সন্তানের অর্ধেকটা হতে পারে সেই প্রানীর আকৃতি নিয়ে।
যাই হোক যা বলছিলাম ।
ফেসবুকের এই পোষ্ট যিনি দিয়েছেন তিনি একজন শিক্ষিতা নারী। আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কি শিক্ষা দেওয়া হয় ??? দুঃখজনক হলেও সত্য আমি নিজেও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছি কিছুদিনের জন্য হলেও । আর এই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম অনুসারে টেক্সট বই মুখস্ত করে পরীক্ষাও দিয়েছি। আমি ভালো মুখস্ত করতে পারিনা। কিছু মনে থাকেনা। সেজন্য ফলাফল ভাল হয়নি। কোন বই পড়ার পরে বইয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি ভাবি যে এই বিষয়টি কোন পরিস্থিতিতে লেখা হয়েছে আর কেনই বা লেখা হয়েছে আর এই লেখা কেনই বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সট এর ভেতর মুখস্ত করে পরীক্ষা দেবার জন্য রাখা হয়েছে ? এইসব মুখস্ত করে শিখে শিক্ষিত হয়ে আমরা দেশ ও জনগণের জন্য কি কি অবদান রাখবো ? দেশ গঠনে এইসব বিদ্যা কতটূকু সাহায্য করবে ?
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দরকার কি? ১৬-১২-১৯৭১ থেকে ২৮-৬-২০২০ – লাখো বাংলাদেশী বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জনগনের জন্য কোন কোন অবদান রেখেছে? উত্তর হলো — “শূন্য “
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেকোন বাণিজ্যের মত এক একটি বাণিজ্য কেন্দ্র সেজন্যই দেশগড়ার চাইতে টাকা বানাবার চিন্তা মাথায় রেখেই ঠীকাদারেরা ভারত থেকে টেক্সট বই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মগজ ধোলায়ের দিকটা লক্ষ্য রেখে। আর সেকারণেই এইসব গ্রাজুয়েটের কাছ থেকে আমরা এ ধরণের পোষ্ট দেখি ফেসবুকে।
ফিরে আসি পরিবারতন্ত্রে। ইসলামের অনুশাসন অনুসারে – একজন স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে – সংসারের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার। স্বামী স্ত্রী দুইজনেই যদি মুসলমান হয় তাহলে ইসলামের অনুশাসন অনুসারে তাঁরা
ক- অপচয় করতে পারবেনা
খ – অন্য মুসলমানদের জীবিকা নির্বাহে সাধ্যমত সাহায্য করবে
স্ত্রী যতই শিক্ষিতা হোক আর যতই টাকা আয় করুক স্ত্রী তার টাকা যদি সংসার খরচের জন্য স্বেচ্ছায় প্রদান করে তাহলে সেটা হবে স্ত্রীর বদান্যতা, স্বামীর অধিকার নাই স্ত্রী কাছ থেকে টাকা চাইবার । অন্যদিকে স্ত্রীর কিছু দায়িত্ব আছে। সন্তানের দেখাশোনার দায়িত্ব মায়ের।
একটি সন্তানের জন্ম দিতে পুরুষের চাইতে নারীর অবদান অনেক বেশী থাকে আর সেকারণেই যেকোন সংসারেই পুরুষের চাইতে অনেক বেশী শ্রম দেয় নারী। বাইরে সারাজীবন কাজ করলেও পুরুষ এত শ্রম দেয় না যত শ্রম নারী দেয় একটি সন্তান প্রসব করার মাধ্যমে আর সেকারণেই পুরুষের উপরে নারীর ভরণপোষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি পরিবারে স্ত্রী এবং পুরুষ ৫০% অংশীদার। স্ত্রী যদি ঘরে বাইরে দুইজাগাতেই কাজ করে তাহলে সে ঘরে বা বাইরে কোন এক কাজে কম দক্ষতা দেখাবে। ফলে ঘরের কাজ করার জন্য তাকে বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা লাগবে। একজন মা তার সন্তানকে যেভাবে লালন পালন করবে একজন বাইরের শ্রমিক ঠিক একইভাবে সন্তানের লালন পালন করবেনা। কারণ ভালবাসা কিনতে পাওয়া যায়না।
আসলে মা এবং সন্তানের মধ্য এই ভালবাসার রহস্য কি? সন্তান মায়ের গর্ভে তিল তিল করে দীর্ঘ নয় মাস ধরে বড় হতে থাকে। এই নয় মাসে সে মায়ের গর্ভকেই নিজের ঘর মনে করে। মায়ের গর্ভই সন্তানের প্রথম পৃথিবী। মায়ের গর্ভে সন্তান যখন পরিপূর্ণ মানুষের রুপ ধারণ করে এবং বাইরের পৃথিবীতে অর্থাৎ তার দ্বিতীয় পৃথিবীতে প্রবেশ করে তখন প্রথম পৃথিবীর সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম প্রেম কেউ ভুলে যায়না। এই বিচ্ছেদ বেদনা থেকেই সে মাকে খুঁজে । মায়ের বুকে মুখ গুজে চুপচাপ শান্তিতে ঘুমায়। সন্তান প্রসবের পরে মায়ের সাথে সন্তানের এই বিচ্ছেদে মা –ও বিমর্ষ হন। নয় মাস পেটে ছিল যে শিশু সে এখন বাইরে। নয় মাসের এই শিশুধারণে মায়ের সাথে সন্তানের একটি বন্ধন সৃষ্টি হয়। অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গের অসাধারণ ভালবাসার বন্ধন। তখন সন্তানটি থাকে শুধু মায়ের। কিন্তু সন্তান জন্মের সাথে সাথে সন্তানের বাবা দাবী করে বসে “এই শিশু তার ঔরসে “ জন্ম হয়েছে – এই পরিবার তার একক সম্পত্তি – তার স্ত্রী যেমন তার সম্পত্তি ঠিক তেমনি এই শিশুটিও তার একক সম্পত্তি। এখানেই স্বামী ৫০% অংশীদারত্ব আইন যেমন ভংগ করে তেমনি অবমাননা করে ইসলামের অনুশাসন। বাস্তবতা একটু ভিন্ন । বাস্তব জগতে মা একজন শ্রমিক মাত্র । এই নারীকে এই পরিবার গঠনের জন্য একটি আসবাব হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই সন্তান প্রসবের জন্যই বিয়ে করে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই নারী বা স্ত্রী বা সন্তানের মা সন্তান উতপাদের যন্ত্র, কাপড় ধোঁয়ার যন্ত্র রান্না করার বাবুর্চী এবং যৌন মিলনে চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে একটি বীর্যপাতের গর্ত। এই ধারণাই সমাজে প্রতিষ্টিত হয়ে গেছে।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত হয়ে নারীরা এই ধারণাকে সমাজ এবং সংসার থেকে উচ্ছেদ করতে পারে। সেটা না করে এরা বাইরে অফিসে চাকুরি করে অন্য আর একজনের গোলামী করে নারী স্বাধীনতার বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। নিজের ৫০% অধিকার নিজেকেই আদায় করে নিতে হবে ।
৫০% অংশীদার বাণিজ্য “পরিবারে” -এ একজন স্বামী যখন তার ১০০% অধিকার দাবী করে তখনই সমস্যা শুরু হয়।
নারীর অধিকারের দাবী আসলে “১০০% স্বাধীনতার” দাবী নয় । ৫০% অংশীদারীত্ব অধিকারের দাবী। দাবী আদায় করে নিতে হয়। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। পরিবার গঠনের শুরুতেই দুই পরিবার বাণিজ্যিক লেনদেনের মাঝে জড়িয়ে যায় এবং পরিবার গঠনের মূল কারণ থেকে দূরে সরে যায়।
কিছু অহেতুক লোক দেখানো অনুষ্টান অনেক ফালতু টাকা খরচ আর সেইসব খরচ পোষাবার জন্য দুই পরিবারের ভেতর হানাহানি দর কষাকষি করে পরিবার গঠনের শুরুতেই দ্বিপাক্ষিক লড়াই শুরু হয়ে যায় যা দীর্ঘদিন পরিবারের শান্তি বিঘ্নিত হতেই থাকে।
“শিক্ষিতা স্ত্রীকে বাইরে কাজ করতে দিতে হবে” – [বাংলাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফালতু শিক্ষক আর ফালতু “টেক্সট” মুখস্ত করে] সে গ্রাজুয়েট হয়েছে কি স্বামীর সংসারের কাজের বুয়া হবার জন্য ? সে যে কত ফালতু শিক্ষা পেয়েছে সেটা এই পোষ্ট পড়েই অনুধাবন করা যায়। প্রথমেই সে যেটা করেছে তা হলো “সমাজের অন্যান্য পেশাজীবি মানুষের পেশাকে অবমূল্যায়িত করেছে এবং তাদেরকে নিজের চাইতে ছোট হিসাবে প্রতিষ্টিত করতে চেয়েছে । একজন আর্কিটেক্ট ঘরবাড়ির ডিজাইন করে একজন গৃহকর্মী সেই ঘর সাফ করে। দুই পেশারই উপযোগীতা রয়েছে এবং কোন পেশাই কোন পেশার চাইতে ছোট বা বড় নয়।
একজন আর্কিটেক্ট যে বেতন পায় এবং তার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে তা একজন গৃহকর্মীর নাই । একজন গৃহকর্মীর বেতনও অনেক কম। এর কারণ কি? এর কারণ হলো মানুষের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে “গৃহকর্মী” পেশা এবং শোষণের সুবিধার্থেই সমাজে মানুষকে বিভিন্ন পেশাতে বিভিন্ন রকমের মজুরী নির্ধারণ করা হয়েছে । কম মজুরীর মানুষদের বেশী মজুরীর মানুষেরা শোষন করে পুজিপতীর মুনাফা বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
জোর যার মুলুক তার, চোর ডাকাত খুনী ধর্ষক দ্বারা প্রশাসিত ও পরিচালিত সমাজে কিছু মানুষ তাদের নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছে দেশ ও জনগণের সম্পদ আর বঞ্চিত হচ্ছে গোটা দেশের সাধারণ মানুষ তাদের ভাত কাপড় বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক অধিকার থেকে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ আটকে যাচ্ছে , ঝুলে থাকছে শোষকের ফাঁদে এবং শ্রেনীভেদ ও শোষণের উপাদান হয়ে।
শিক্ষাব্যবস্থা যেহেতু বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান সেহেতু পূঁজিবাদী সমাজের দাসদাসীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে শ্রেণীবিন্যাস এবং শোষনের প্রক্রিয়া ভালভাবেই রপ্ত করে নিয়েছে। তারাও কোন এক পূঁজিপতীর মুনাফার উপাদান হতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে ঘরে বসে বুয়ার কাজ করার জন্য নয় । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে বহুজাতীক পুঁজিপতিদের কর্মচারী হয়ে সমাজের শ্রেণীবিন্যাস ও শোষন টিকিয়ে রাখার জন্য।
অফিস থেকে ঘরে ফিরে কাজের বুয়াকে হুকুম করলেই টেবিলে ভাত চলে আসবে তারপর পরিপাটি ড্রইয়িং রুমে বসে ভারতের ১০০ চ্যানেলে নানা রকমের সিরিয়াল দেখে পরিপাটি বিছানায় ঘুমিয়ে যাবে রাজা ও রানী। রাজা, রানী, কৃতদাস, পুঁজিপতি, চোর, ডাকাত, খুনী, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক সবাই মিলেমিশে বেশ চমতকার জাহান্নামে সুখে শান্তিতে সবাই বাস করবে, করছে । বিয়ের আগে কিভাবে দরদাম কষতে হবে সেটাই এই ফেসবুক পোস্টের মূল বক্তব্য
কানাডাতে একজন গৃহকর্মীকে ন্যূনতম বেতন দিতে হয়। বেতন ধার্য করে শ্রমবিভাগ। গৃহকর্মী নিপীড়ন করলে জেল জরিমানা হয়। সমাজের অন্যান্য পেশাজীবিদের মত একজন গৃহকর্মী তার প্রাইভেট গাড়িতে চড়েই কাজে আসেন। ঘটনা এমন কেন? ফিরে যাই বাংলাদেশে । বাংলাদেশে যদি একজনও বেকার পুরুষ না থাকে। ধরে নিলাম বাংলাদেশে কৃষি , শিল্প, প্রযুক্তি, সব ক্ষেত্রেই এত উন্নতি করলো যে দেশে কোন পুরুষ বেকার রইল না । বাংলাদেশে উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেলো যে ওরা দেশের ১৭ কোটি মানুষের সব চাহিদা মিটিয়েও চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পন্য রপ্তানী করা শুরু করে দিলো । প্রবাসীরা সব দেশে ফিরে এলো কারণ দেশে তাদের কাজের চাহিদা রয়েছে। একজন গৃহকর্মী বেতন পেলো একজন স্কুল মাস্টারের মত।
তখন আর একজন নারীকে বিয়ের আগে ফেসবুক পোষ্ট দেবার দরকার হবেনা যে “বিয়ের পরে সে বাইরে কাজ করবে কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে দেশের সেবা করার জন্য, এই সেবার মাধ্যমে সে তার ঋণ পরিশোধ করবে”।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এইসব মৌলিক অধিকার ভোগ করার কারণে দেশের কাছে জনগণ ঋণী থাকে আর সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য সে সমাজে অবদান রাখে যাতে সমাজে সবার মৌলিক অধিকার অক্ষুন্ন থাকে। সেই অবদান একজন শিক্ষিতা বা অশিক্ষিতা গৃহবধুও রাখেন একটি সুস্থ সবল সুন্দর শিশুর জন্ম দিয়ে তার প্রতিপালন করে একটি সুন্দর পরিবার গঠন করে যাতে এই শিশুটিও বড় হয়ে দেশ ও দেশের জনগণের সেবা করতে পারে। মা হলেন একজন আর্কিটেক্ট – দেশপ্রেমিক তৈরির আর্কিটেক্ট।
প্রকৃতি আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রকৃতি থেকে আমরা ভারসাম্য রক্ষা করতে শিখি।
প্রকৃতি থেকে আমরা অস্তিত্ব রক্ষা করার কৌশল শিখি।
প্রকৃতি থেকে আমরা প্রতিরক্ষা শিখি।
প্রকৃতি থেকে আমরা ভালবাসতে শিখি।
প্রকৃতি থেকেই আমরা পরিবার গঠন করতে শিখি। পরিবার গঠন করি সবাই মিলে শান্তিতে থাকার জন্য । ভাল থাকার জন্য। ঘরে বা বাইরে আমরা কাজ করি একে অন্যকে রক্ষা করার জন্য । কারণ আমরা একা একা টিকে থাকতে পারিনা।
বিবাহ একটি অপ্রাকৃতিক বাণিজ্য যা করা হয় প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য। যৌন মিলন একটি প্রাকৃতিক কাজ আর এই কাজ একা একা করা যায়না । সেজন্যই অংশীদার দরকার। ভালবাসা না থাকলে এই অংশীদার বাণিজ্য একটি কসাইখানাতে পরিনত হয়। একটি পরিবারে স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনেই ৫০% অংশীদার ।কেউ কারু দাস বা প্রভু নয়। কেউ কারু একার সম্পদ নয় । দুইজনেই দুইজনের সম্পদ। তথা দেশের সম্পদ।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা।
F*ckin’ tremendous things here. I’m very glad to see your post. Thanks a lot and i’m looking forward to contact you. Will you kindly drop me a e-mail?